পারভেজ হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হৃদয় ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. হৃদয় মিয়াজীর (২৩) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে উপস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিট পুরিশের (ডিএমপি) এক উপ-পরিদর্শক বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন।
এদিন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে র ্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কুমিল্লা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, হৃদয় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব। পারভেজ হত্যা মামলার আসামি তালিকায় তার নাম ৫ নম্বরে রয়েছে।
৫ জন গ্রেপ্তার
পারভেজ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ২১ এপ্রিল মহাখালীর ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকা থেকে আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হাসান জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানিকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তাদের কেউই প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন বা মামলার এজাহারে নামও নেই।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একেএম মইন উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এতে জড়িত ছিলেন বলে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান।'
এর একদিন পর কুমিল্লা থেকে মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যা মামলার অপর আসামি মাহাথির হাসানকে আজ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ।
এ ঘটনায় শনিবার পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।