মজুরি ৩ বছর পর পর মূল্যায়নে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

জাতীয় ও খাত ভিত্তিক মজুরি ৩ বছর পর পর মূল্যায়নের মাধ্যমে বাড়ানো এবং মর্যাদাপূর্ণ মানদণ্ড নির্ধারণের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
কমিশন মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় এবং খাতভিত্তিক মজুরি নিশ্চিতকরণে শ্রমিক ও তার পরিবারের মর্যাদাকর জীবনযাপনে সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, 'উপযোগী মজুরির অধিকার নিশ্চিতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ মানদণ্ড স্থির করা এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। একইসাথে মজুরি নির্ধারণ পদ্ধতি উন্নয়ন, বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সংস্কারে স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠন করা। জাতীয় ও খাত ভিত্তিক মজুরি ৩ বছর পর পর মূল্যায়নের মাধ্যমে বৃদ্ধি এবং মর্যাদাপূর্ণ মানদণ্ড নির্ধারণ।'
নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সুপারিশে বলা হয়েছে, 'শ্রমিকের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার আইনি অধিকার নিশ্চিত করবে। খাত ও পেশাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করবে। দুর্ঘটনায় বা অবহেলাজনিত কারণে নিহত-আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ মানদণ্ড পুনর্মূল্যায়ন করা। একইসাথে মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে মানদণ্ড ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করা।'
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে।