ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার মূল্যায়নে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগসংক্রান্ত 'ওলবাচিয়া পদ্ধতি' মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক প্রস্তাব নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের তথ্যমতে, 'ওলবাচিয়া পদ্ধতি'তে এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশায় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করানো হয়, যা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস ছড়ানোর হার কমাতে সহায়তা করে।
বৈঠকে কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেরিট ইনকরপোরেশনের প্রতিনিধি ড. কাজী জামিল ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রথম প্রস্তাবে ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর ওপর সারোলজিক্যাল ও এপিডেমিওলজিক্যাল জরিপ পরিচালনার কথা বলা হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আপস্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি সহায়তা করবে। এই জরিপের মাধ্যমে মানুষের রক্তে ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি শনাক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের সহায়তায় ওলবাচিয়া পদ্ধতিসহ বিভিন্ন মশা নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি মূল্যায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৈঠকের শেষে উভয় প্রস্তাবই অনুমোদন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সরকার, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন ৪৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট ২,২৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।