আ.লীগের মিছিলে অংশ নেওয়া খুলনা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বরখাস্ত

খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া খুলনা সিটি করপোরেশনের কর আদায় শাখার ডিমান্ড সহকারী রবিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে বরখাস্ত করে চিঠি ইস্যু করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সচিব শরীফ আসিফ রহমান।
রবিউল আলমের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম।
এর আগে, দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের মিছিল করার অভিযোগে তাকে সিটি করপোরেশন থেকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
রবিউল আলমকে বরখাস্ত করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'খুলনা সিটি করপোরেশনের কর আদায় শাখার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, রোববার রবিউল আলম রাজনৈতিক মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই অপরাধে হরিণটানা থানায় হওয়া মামলায় আজ তাকে পুলিশ আটকও করেছে।'
খুলনা সিটি করপোরেশন (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা ১৯৯৩ এর ৩৭(২) ধারা অনুসারে কেসিসির কোনো কর্মচারী সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কাযকলাপে জড়িত থাকতে পারবেন না। রবিউল আলম ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এবং কেসিসি চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।'
এদিকে, আজ দুপুরের দিকে রবিউল আলমের আটকের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, 'ভিডিও ফুটেজে তাকে জিরোপয়েন্ট এলাকায় মিছিল করতে দেখা গেছে। এ কারণে তাকে হরিণটানা থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অন্য এলাকার মিছিলগুলোতে তিনি ছিলেন কী না তা যাচাই করা হচ্ছে।'
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরিণটানা থানার জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বাতিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার ও শেখ হাসিনাকে যথাযথ মযাদায় দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ওই বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
রবিউল আলমকে ওই বিক্ষোভ মিছিলে মোটরসাইকেল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তিনি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন, তবে মোটরসাইকেলে সিটি করপোরেশনের স্টিকার লাগানো ছিল।