প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহতের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩) হত্যা মামলায় আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারি (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তুষার ও হৃদয় রাজধানীর বনানীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা।
এতে বলা হয়, গতকাল (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র্যানকন ভবনের সামনে স্থানীয়ভাবে 'আলামিনের দোকান' নামে পরিচিত একটি দোকানের সামনে পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ও হাসছিলেন।
তাদের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রী। এ সময় মাহাথির, মেহেরাজ ও আবু জর পারভেজের কাছে গিয়ে জানতে চান, তারা হাসছেন কেন।
এ নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং বিষয়টি মিটমাট করে দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে পারভেজ ও তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় কথা বলছিলেন, তখন মামলার আসামিরা কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
এতে বলা হয়, পারভেজ ও তার বন্ধুরা দৌঁড়ে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে, মেহরাজ, আবু জর, মাহাথি ও রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পারভেজ ও তার বন্ধু তারিকুল ইসলামকে ধরে ফেলেন। এরপর আসামিরা অজ্ঞাত সহযোগীদের সঙ্গে মিলে দুজনকে নির্মমভাবে মারধর করেন।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, আবু জর ও মাহাথির পারভেজকে শক্ত করে ধরে রাখেন এবং মেহরাজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আঘাত করেন।
এছাড়াও, তারা তারিকুল ইসলামের ওপরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে তার মাথার মাঝখানে এবং বাঁ হাতের কনুইয়ের নিচে গুরুতর জখম করে।
বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈনউদ্দিন বলেন, 'পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।'