আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়' শীর্ষক বিএসআরএফ মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, 'এই প্রতিনিধিদলে আমাদের অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা থাকবেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে যারা কাজ করে ইউএসটিআর, তাদের সাথে আলোচনা করে কিছু ট্যারিফ ও ননট্যারিফ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে।'
বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি, এই পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ে আমাদের কার্যক্রম কি হবে? এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজে সচেতন। আমাদের যেসব দেশের সাথে বাণিজ্য রয়েছে, বিশেষ করে রপ্তানি বেশি, আমদানি কম। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম, ক্রেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দেশ। সেজন্য আমাদের কাছে বিষয়টি চিন্তার। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের বাণিজ্য ঘাটতি নিরূপণ করছে, সেটা পণ্যের ক্ষেত্রে করছে, সেবার ক্ষেত্রে করছে না। এজন্য আমরা কিছু কর্মসমষ্টি তৈরি করেছি।'
'এই কর্মসমষ্টি নিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, অর্থ উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিবসহ একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন, সেখানে যে ইউএসটিআর রয়েছে, যারা এই শুল্ক নিয়ে কাজ করেন, তাদের সাথে আলোচনা করে কিছু ট্যারিফ ও ননট্যারিফ কাঠামো রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা আরো নিদিষ্ট কিছু পদক্ষেপ চিহ্নিত করবো,' বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আপনেরা জানেন যে ডব্লিউটিও-এর ফ্রেমওয়ার্কে আমরা সারা দুনিয়ার সাথে বাণিজ্য করি। সেখানে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের, যে ২.২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য অন্যান্য দেশের থেকে আমাদের দেশে আসে। এছাড়া আমাদের কিছু পণ্য আছে, যা দুই দেশকেই সুবিধা দেয়। সেসব পণ্যের শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন রকমের অবকাঠামোগত চিন্তা করছি। যেখানে আমাদের পণ্যের মান বাড়বে, গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে ও বাণিজ্য বাড়বে।'