বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় 'মিস আর্থ' খ্যাত মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক পোস্টে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
পোস্টটিতে বলা হয়, 'মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই দমনমূলক আইনটি অস্পষ্ট ও অতিরিক্ত বিস্তৃত বিধানের মাধ্যমে অতীতে দীর্ঘ সময় ধরে বিচার ছাড়াই এবং কোনো আদালতের নজরদারি ছাড়াই মানুষকে স্বেচ্ছাচারভাবে আটক করতে ব্যবহৃত হয়েছে।'
এতে আরও বলা হয়, 'এসব ঘটনাকে যথাযথ প্রক্রিয়াগত নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান ও সর্বোত্তম চর্চার চরম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।'
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘনার আটক প্রক্রিয়া গোপন করা হয়েছিল এবং অভিযোগ রয়েছে যে তাকে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়।
বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, 'মেঘনাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো অপরাধে অভিযুক্ত করা না হলে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।'
একই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার বন্ধ এবং এই আইন বাতিল করার দাবি জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
গত বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যক্রমে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতে অভিনেত্রী ও মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আগামী ৩০ দিনের জন্য হেফাজতে নেয়।
পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারার আওতায় সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই হেফাজতে রাখতে পারে। সাধারণত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়।