গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপির বিশাল র্যালি

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফাহ শহরের নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীতে একটি বিশাল র্যালি আয়োজন করে বিএনপি।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা ফিলিস্তিনিদের উপর চালানো গণহত্যা, নৃশংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে এই র্যালি আয়োজন করা হয়।
বিকেল ৪টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সিনিয়র নেতাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপির র্যালিতে নয়াপল্টনে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
মির্জা আব্বাস বলেন, 'অন্য যেকোনো সভার চেয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল অস্বাভাবিক বড় হয়েছে।'
তিনি বিশ্বের মুসলিম নেতাদের নীরবতার সমালোচনা করে বলেন, 'নারী ও শিশুসহ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা ও দমন-পীড়ন চলছে, অথচ মুসলিম বিশ্ব নেতারা চুপ করে আছেন।'
বিএনপি নেতা আরও বলেন, 'মুসলিম বিশ্ব কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এতটা সাহস দেখাতে পারত না।'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেন।
তারাও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চালানো গণহত্যা ও নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানান।
সমাবেশ শেষে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল বের করেন।
তীব্র গরম উপেক্ষা করে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই নয়াপল্টনে মিছিলে অংশ নিতে আসতে শুরু করেন।
কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল ও আশপাশের এলাকার বিএনপি সমর্থকদের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
সমর্থকরা জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বিএনপি ও ফিলিস্তিনের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন এবং ইসরায়েলি গণহত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন।
নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া সমাবেশটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ ও মগবাজার হয়ে বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে, বুধবার বিএনপি ঘোষণা দেয়, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরে প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ দেশের বিভিন্ন প্রধান শহরেও একই ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।