আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশে আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী: বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশ সফরে আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিন শেষে সার্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, চীনের বাণিজ্যসচিব আমাকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি আগামী মাসে তাদের বাণিজ্যমন্ত্রীসহ প্রায় ২০০ বিনিয়োগকারী নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।ওনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। ওনারা চান আমরা যাতে আজকের মতো সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ তথ্য জানাই। তাদের সাপোর্ট দিতে পারলে তারা দ্রুত বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এই ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল উদ্দেশ্য- বাংলাদেশ সম্পর্কে যে নেগেটিভ ন্যারেটিভ এতদিন ধরে হয়ে আছে, সেটার পজিটিভ টার্ন করানো। আজ জার্মান টিমের সঙ্গে বসেছি। তাদের টিমের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সদস্যই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের কাছে জানতে চেয়েছি জার্মান বিনিয়োগ বাংলাদেশে আনার জন্য আমাদের আরও কি করা উচিত।
এরই মধ্যে চীনের হানডা কোম্পানির সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সমঝোতা চুক্তি হয়েছে বলেও জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, সম্মেলনে যে ব্যবসায়ীরা এসেছেন, তারা শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের কনজ্যুমার মার্কেট ধরার জন্য বিনিয়োগ করতে চান।
এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আশিক বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের জন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে। নীতিগতভাবে আমরা মনে করি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য মিলিটারিতে কিছু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্যাংক বানাতে হবে না, আমাদের স্পেসশিপ, ফাইটার জেট বানানোর দরকার নেই। আমরা সীমিত আকারে অ্যাডভান্স রেডিও, ট্যাংকের এক্সেল, স্মল বুলেট ও স্মল আর্মস ইত্যাদি বানাতে পারি। এগুলোরও কিন্তু অনেক চাহিদা।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের একটি বড় ইনিশিয়েটিভ হলো বাইরে থেকে এমন বিনিয়োগকারী খুঁজে বের করা, যারা টেকনোলোজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতে রাজি হবেন। আমরা ওনাদের কাছ থেকে কেনার ওয়াদা করব, পাশাপাশি তাদের রপ্তানি করার সুযোগ দেব। ইকোনোমিক জোনের মতো একটি মিলিটারি ইকোনমিক জোনের কনসেপ্টে কিছু অফার করব।
তিনি বলেন, তবে এটা দীর্ঘ পথ। একটি মিলিটারি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে হলে সেখানে নীতি তৈরী করতে হবে। সিকিউরিটি পলিসি, ডিজিটাল ডেটা পলিসি, আইটি অধিকারসহ এ ধরনের অনেক বিষয় আছে, সেগুলো সমাধান করে আমাদের এগোতে হবে। এগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।