বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল হোলসিম গ্রুপ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হোলসিম গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান মার্টিন ক্রিগনার।
আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ক্রিগনার বাংলাদেশের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা, এ শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং বাংলাদেশের বাজারে হোলসিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিশ্ববিখ্যাত সিমেন্ট ও নির্মাণ সামগ্রী প্রস্তুতকারক হোলসিম গ্রুপ হলো লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের মূল কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি সুনামগঞ্জের ছাতকে দেশের একমাত্র একীভূত সিমেন্ট কারখানা পরিচালনা করছে এবং দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।
ক্রিগনার বলেন, 'বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকার যেভাবে আমাদের সহায়তা করে চলেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।'
বাংলাদেশে হোলসিমের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল চৌধুরী গত এক বছরে সিমেন্ট শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশে এ শিল্প আরও উন্নতি করবে।
ইকবাল চৌধুরী জানান, প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বাংলাদেশে 'অ্যাগ্রিগেটস' চালু করেছে, যা দেশের শত শত মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে ড. ইউনূস লাফার্জ প্ল্যান্টে পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
ক্রিগনার জানান, সুনামগঞ্জের ছাতকে তাদের যে কারখানা রয়েছে, সেখানে জ্বালানি হিসেবে 'পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক' ব্যবহার করা হয়। এ প্রক্রিয়ার পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা সরকারের ব্যবসাবান্ধব ও বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব অবস্থান নিশ্চিত করে বাংলাদেশে হোলসিমের আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
ক্রিগনার বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন সাথী উপস্থিত ছিলেন।