খুলনায় বাটা-ডমিনোস-কেএফসিতে হামলার ঘটনায় ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনায় বাটা, ডমিনোস ও কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। পৃথক এ তিনটি মামলায় অন্তত ২ হাজার ৯০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮এপ্রিল) রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেন ওই তিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজাররা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোরে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর আবু হাসান বিষয়টি ইউএনবি-কে নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তিনি জানান, "হামলা ভাঙচুরও লুটপাটের অভিযোগ এনে শিববাড়ি মোড়ের বাটা শোরুমে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ১২০০-১৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া কেএফসির ম্যানেজার সুজন মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। অনুরূপভাবে, ডমিনোস পিজ্জাতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শামসুল আলম আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কেডিএ এভিনিউ সড়কের কেএফসি ও ডমিনোস এবং শিববাড়ি সংলগ্ন টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশের বাটার শো রুমে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতা ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, ডমিনোস, বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুমে হামলা চালায়। এ সময় কেএফসি ভবনের গ্লাসগুলো ভাঙচুর করা হয়।
পাশাপাশি কেএফসির আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী টিভি, ফ্রিজ, ওভেন বাইরে বের করে ভাঙচুর করা হয়। অনুরূপভাবে বাটার শো রুম থেকে জুতা লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য কাজ চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।