বিক্ষোভ থেকে প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর: মোট গ্রেপ্তার ৬০, মামলা ৪; তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান সরকারের

সোমবার দেশের বিভিন্ন শহরে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ চলাকালে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
'[এসব] সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এসব হামলা ও ভাঙচুর জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের চরম লঙ্ঘন,' বলা হয় বিবৃতিতে।
এখন পর্যন্ত ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে চলমান তদন্তে আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে জানানো হয়।
এছাড়া তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন কোনো তথ্য কারও কাছে থাকলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
অভিযানের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিক্ষোভ চলাকালে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন জনতা। এসব বিক্ষোভ থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়।
এর মধ্যে খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে কেএফসি, ডমিনো'স পিৎজা, বাটা, কোকা-কোলা, পিৎজা হাটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এসব ফুড চেইন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা হয়।
'সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে,' বলা হয় বিবৃতিতে।
'সকলে মিলে আমরা নিশ্চিত করতে পারি, যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে চায় তারা যেন কোনোভাবেই পার না পায়,' বলা হয় বিবৃতিতে।