গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাক ও পরিবহণ শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঈদুল ফিতরের ছুটি বাড়ানো এবং চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গাজীপুরে পৃথক দুই স্থানে বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন পোশাক ও পরিবহণ শ্রমিকরা। এতে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে এক স্থানে দেড় ঘণ্টা ও অপর স্থানে আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ইউটা ফ্যাশন কারখানা কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা দেয়। কিন্তু শ্রমিকেরা ১২ দিনের ছুটির দাবি জানায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ দাবি না মানায় শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে সেনা সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে সকাল ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, সব কারখানায় ঈদের ছুটি ১০ দিন করা হয়েছে। কিন্তু ইউটা ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা তা না মেনে ১২ দিন ছুটির দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে প্রায় এক ঘণ্টা পর মহাসড়কে হোতাপাড়া এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়।
অন্যদিকে, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সকাল ১১টা থেকে সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ করেন। পরে তারা বাসন থানার সামনে নলজানি এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে জয়দেবপুর-রাজবাড়ী সড়কে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশের আশ্বাসে তারা সরে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সিএনজি চালকদের অভিযোগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হালিম মোল্লার নেতৃত্বে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে হুমকি দেওয়া হয় এবং কখনো কখনো জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজি অটোরিকশায় চাঁদাবাজির সময় চালকরা দুই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে দেন। তারা হলেন এহসানুল হক (২৫) ও মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা কিছু দাবি নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বাসন থানার সামনে অবস্থান নেয়। পরে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিকরা চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।