জাতীয় নির্বাচন: আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বাংলাদেশকে অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইইউ

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সহায়তা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
আজ (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মিলার বলেন, ইইউ'র সহায়তার মধ্যে আর্থিক অনুদান, কারিগরি দক্ষতা প্রদান এবং প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'এই সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক প্যাকেজ, আমাদের অভিজ্ঞতা ও কারিগরি জ্ঞান রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছি।'
এটি বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউ'র দ্বিতীয় বৈঠক। মিলার বলেন, রাজনৈতিক এই পরিবর্তনের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ইইউ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
'ইইউ বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত অংশীদার। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সেই লক্ষ্যকে সমর্থন করি, যার মাধ্যমে তারা এমন নির্বাচন করতে চায় যা গত বছর বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ,' বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে সিইসি নাসির সাংবাদিকদের জানান, ইইউ প্রতিনিধি দল বাজেটসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে।
'আমরা তাদের বলেছি যে আমাদের কোনো আর্থিক সমস্যা নেই। সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে। তবে তারা অন্যান্যভাবে সহায়তা করতে চায়। তারা জানতে চেয়েছে আমাদের কী দরকার, আর আমরা বলেছি যে ইউএনডিপি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মূল্যায়ন করেছে,' বলেন তিনি।
সিইসি জানান, ইইউ আগামী মাসে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। কর্মশালায় ভোটার শিক্ষা, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, 'তারা এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায়, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবে। আর সেটিই আমাদের লক্ষ্য—একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। আমরা স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করব, যেখানে প্রত্যেকে যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'