পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থা নিয়োগের পরিকল্পনা

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক আইনি ফার্ম, কোম্পানি বা লিটিগেশন ফান্ড নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এজন্য ইতোমধ্যে বেশকিছু আন্তর্জাতিক ফার্ম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, গৃহীত পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গৃহীত কেসগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধার হওয়া অর্থ থেকে একটি নির্দিষ্ট শেয়ার ফার্মগুলোকে ফি হিসেবে প্রদান করবে সরকার।
সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১১টি মামলার বিপরীতে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি ইনিশিয়েটিভ, ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারির সহায়তা নিচ্ছে সরকার।
এসব প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় দেশে ও বিদেশে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ সম্পদ চিহ্নিত করা ও অনুসন্ধান করা হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠানো, অবৈধ সম্পদ অবরুদ্ধ, জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য আদালতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করার এবং বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে অবৈধ সম্পদ প্রত্যর্পণ ও ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১১টি কেস বাদে অর্থ পাচারের অন্যান্য কেসের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার কাজ চলমান রয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়েছে।