বাজারে কমেছে মুরগির দাম, সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে

রমজানের প্রথম সপ্তাহে অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। এছাড়া, রোজার শুরুতে লেবু, বেগুন ও শশার দাম বাড়তি থাকলেও এখন কিছুটা কমে এসেছে। তবে, বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
এদিকে, প্রায় এক মাস ধরে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট থাকলে তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজা শুরুর কারণে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ২১০-২২০ টাকায় উঠেছিল। তবে তা কমে এখন ১৯০-২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৯০ টাকা প্রতিকেজি। কেজিতে প্রায় ২০-৩০ টাকা কমেছে। ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১২০-১৩০ টাকায়।
এদিকে, রোজায় বাড়তি চাহিদা থাকায় শুরুতে লেবু, বেগুন ও শশার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে তা এখন কিছটা কমে এসেছে। বর্তমানে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০-৯০ টাকায়। আর শশা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতিকেজি। যদিও গত সপ্তাহে লেবুর হালি, বেগুন ও শশার কেজি ১০০ টাকার বেশি উঠেছিল।
তবে সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি করলা ৬০-৮০ এবং ঢেঁঢ়স ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, পেপে, চিচিঙ্গাসহ অন্যান্য সবজি কেনা যাচ্ছে ৪০-৬০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজি কেনা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।
শাহজাদপুরের সবজি বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, 'রোজার প্রথম দুইদিন লেবু, বেগুন আর শশার দাম বেশি ছিল। তখন মানুষ বেশি কিনে। এ কারণে সাপ্লাই কমে গেছিল। আমরাও বেশি দামে কিনে আনছি। তবে এখন কিছুটা দাম কমতির দিকে। অন্যান্য সবজি আগের মতোই দাম আছে।'
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের দাম কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।
রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল তাও এখন অনেকটা কমে এসেছে। বেশিরভাগ দোকানে পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল রয়েছে। গত দুই-একদিনে সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারী বিক্রেতা মামুন হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'গত পরশু থেকে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এখন এভেইলেবল। কোন সংকট নেই। নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে।'
যদিও মহল্লার দোকানগুলোতে স্বাভাবিক না হলেও আগের চেয়ে সরবরাহ অনেক বেড়েছে। শাহজাদপুরের মুদি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, মাঝখানে কিছুদিন তো বোতল সয়াবিন তেল একেবারেই দেয়নি। কিন্তু এখন দিচ্ছে। আগের মতো পুরোপুরি না হলেও সংকট নাই এখন।
এদিকে, বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।