সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছে ৪.৬১ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৭.৫৮ মিলিয়ন ডলার।
আগের বছর একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮০২.৮৭ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর রপ্তানি কমেছে ৪.৬১ শতাংশ।
ইপিবি'র তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমায় সামগ্রিক রপ্তানি আয় কমেছে।
রপ্তানিকারকেরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্কের প্রভাবেই দেশটির বায়ারদের অর্ডার (কার্যাদেশ) কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রপ্তানির পরিমাণ কমা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট রপ্তানির পরিমাণ ৫.৫৬ শতাংশ বেড়ে ১১.৬৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
দেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সেপ্টেম্বরে এই খাতে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। ইপিবি'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিট পোশাক রপ্তানি ৫.৭৫ শতাংশ এবং বোনা পোশাক রপ্তানি ৫.৫৪ শতাংশ কমেছে।
চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর স্থানীয় রপ্তানিকারকেরা আশা করেছিলেন অর্ডার কিছুটা বাড়বে। কারণ, তাদের ধারণা ছিল প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটা।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান বাবলু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম অর্ডার বাড়বে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো—যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক অর্ডার বরং কমেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'উচ্চ শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা ব্যয় কমে গেছে। পোশাকের চাহিদা কমছে। ফলে ক্রেতারা নতুন অর্ডার দিচ্ছেন না।'
বাবলু বলেন, 'সাধারণত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য মন্দা মৌসুম। কিন্তু এতটা পতন হবে তা আমরা আশা করিনি।'
