বেনাপোল দিয়ে তিন চালানে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি, কমছে দাম
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আড়াই বছর পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনটি চালানে মোট ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে, যা আমদানিকারকরা ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস নিয়েছেন।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ২৫ আগস্ট প্রথম চালানে ১৫ টন, ২৮ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে ৩০ টন এবং ১ সেপ্টেম্বর রাতে তৃতীয় চালানে আরও ১৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শহরের বড় বাজারের মুদি দোকানদার আশিষ কুমার দে বলেন, 'গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা ছিল। এখন ৭০ টাকায় বিক্রি করছি।'
প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানির মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৮ টাকা। মানভেদে এগুলো ৫৭ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর বলেন, 'আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ রেখেছিল। পরে ভারতও রফতানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।'
এই পেঁয়াজের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বন্দর থেকে চালান খালাসের কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ লিংক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, গত সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত এসএম ওয়েল ট্রেডার্স ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, 'আড়াই বছর পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দুটি চালানে ৪৫ টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে এবং খালাস শেষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।'
