আমদানির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম
আমদানি ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করছে।
ভোক্তারা আশা করেছিলেন, আমদানির ফলে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমবে। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা—ভারতে কম দামে কিনে আমদানি করা পেঁয়াজ এখন বাজারে নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজের প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
একই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দামও বেশি। ফলে আমদানির সুফল ভোক্তারা বাস্তবে পাচ্ছেন না, যা দাম কমার প্রত্যাশায় থাকা ক্রেতাদের হতাশা আরও বাড়িয়েছে।
রাজধানীর শান্তিনগর, নিউমার্কেট ও লালবাগসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, আমদানি করা পেঁয়াজের খুচরা দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পুরনো দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি প্রায় ১৫০ টাকায়, আর নতুন পেঁয়াজ কেজি ৯০–১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগের ব্যবসায়ী মিরাজ আহমেদ জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ এখনও খুবই সীমিত।
তিনি বলেন, 'যদিও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে, কিন্তু সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই দাম বেশি থাকছে।'
তিনি বলেন, 'ভারতীয় পেঁয়াজ শুধু শ্যামবাজারে কয়েকটি পাইকারি বাজারেই পাওয়া যায়। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করলে খুচরা বাজারে ১২০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব না।'
এদিকে, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, যার ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম সামান্য কমেছে। কয়েকটি সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৫০ টাকার আশেপাশে।
খুচরা বাজারে শিম মানভেদে কেজিতে ৬০–৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০–১০০ টাকা। বরবটি, বেগুন ও করলা কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন ৬০–৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ঢেঁড়স ও পটলও কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০–৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন ৩৫–৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০–৫০ টাকা।
মরিচের বাজারেও দেখা গেছে স্বস্তি। দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৮০–২০০ টাকা। এখন দাম নেমে এসেছে ৫০–৬০ টাকায়—অর্থাৎ আগের দামের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
নতুন আলুর সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। নতুন আলু এখন কেজি ৩৫–৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত সপ্তাহে ছিল ৮০–১০০ টাকা।
পুরনো আলু কেজিপ্রতি ২০–২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবজির মতো ডিম ও মুরগির দামও তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ফার্মের ডিম এখন ডজন ১১৫–১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে কেজি ১৫০–১৬০ টাকায়, আর সোনালি মুরগি কেজি ২৭০–৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
