Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 26, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 26, 2025
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবাদে আউটসোর্সিং রপ্তানি বছরের প্রথম ৬ মাসেই প্রায় এক বিলিয়ন ডলার

অর্থনীতি

সাজ্জাদুর রহমান
22 August, 2025, 09:10 am
Last modified: 22 August, 2025, 09:09 am

Related News

  • পরিবারগুলোর সবচেয়ে বড় উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি, শিক্ষায় বাড়তি ব্যয় নিয়ে: জরিপ
  • ব্যবহারকারীদের অজান্তেই গোপনে এআই দিয়ে ভিডিও এডিট করছে ইউটিউব
  • সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ও চীন
  • বাণিজ্যে ঝুঁকি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ৩–৫ বছর পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
  • কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি নিয়েও প্রথম চাকরির জন্য হিমশিম খাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের স্নাতকপাশরা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবাদে আউটসোর্সিং রপ্তানি বছরের প্রথম ৬ মাসেই প্রায় এক বিলিয়ন ডলার

সাজ্জাদুর রহমান
22 August, 2025, 09:10 am
Last modified: 22 August, 2025, 09:09 am

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

কম জনবল, কম সময়, কিন্তু আউটপুট বা ফলাফল আরও ভালো। এভাবেই দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি গ্রহণ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি), আইটি-এনাবলড সার্ভিসেস (আইটিইএস), বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাত ও ফ্রিল্যান্সারদের কাজে আমূল পরিবর্তন আনছে।

এআই টুলস দেশের তরুণ কর্মশক্তির টেকনিক্যাল দক্ষতা ও ইংরেজি পারদর্শিতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দক্ষতার ঘাটতি কমাচ্ছে। এর সহায়তায় অটোমেশন দ্রুততর হচ্ছে, আরও উন্নত ও উচ্চমূল্যের কাজের সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে দৃশ্যমান এআই রপ্ত করার সুফল। বাংলাদেশ ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসেই আউটসোর্সিং রপ্তানি থেকে ৯০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরে হওয়া ৮৫ কোটি ডলার আয়ের চেয়েও বেশি। তথ্যটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)-এর সভাপতি তানভীর ইব্রাহিম।

টিবিএসকে তিনি বলেন,"এআই আমাদের দেশে দক্ষতার ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে একটা আশীর্বাদস্বরূপ। ফলে আমাদের কাজের অর্ডারও এখন বেড়েছে।"

উদাহরণ হিসেবে মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশনের কথা বলা যায়। আগে যেখানে ১,০০০ দক্ষ কর্মী তৈরি করতে এক দশক সময় লাগত। এখন এআই ব্যবহার করে প্রতিবছরই ১,০০০ কর্মী তৈরি সম্ভব হচ্ছে।

"বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটরাও বেশিরভাগক্ষেত্রে বৈশ্বিক আউটসোর্সিংয়ের জন্য দরকারি প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা দক্ষতার অভাবে ভোগেন। কোডিং নিয়ে কথা না-ই বললাম। কিন্তু তারা চাকরির জন্যও মরিয়া। এখন আমাদের ৭৫ শতাংশ কোডিংয়ের কাজ করছে এআই, আর বাকি ২৫ শতাংশ মানব কর্মী। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচছে" – বলেন তানভীর, যিনি অটোমেশন সলিউশনজ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টরও।

ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রেও এআই উল্লেখযোগ্যভাবে খরচ ও সময় কমিয়ে দিয়েছে।

এই রুপান্তর স্পষ্টভাবে দেখা যায় একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের কাহিনিতে। কো (কেওডব্লিও) কোম্পানি'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাওসার আহমেদ ২০২০ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন, ঠিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়। পিছু হটার পরিবর্তে তিনি এআই-এ বিনিয়োগ করেন, প্রকৌশলী নিয়োগ দেন এআই-চালিত ইমেজিং সলিউশন তৈরি করতে।

নতুন প্রযুক্তির ওপর তিনি যে বাজি ধরেছিলেন, তাই এখন ফল দিচ্ছে। এখন কোম্পানির ৩০–৪০ শতাংশ ইমেজিংয়ের কাজ করে এআই। একটি থ্রিডি ডিজাইন, যা করতে আগে ছয় ঘণ্টা লাগত, এখন শেষ হয় মাত্র এক ঘণ্টায়। কাওসার টিবিএসকে বলেন,  " এআই আসার আগে যে কাজ আমরা ১০০ জন নিয়ে করতাম, সেখানে এখন ২৫–৩০ জনেই করতে পারছে।"

ই-কমার্স, রিটেইল, অ্যাপারেল, অটোমোটিভ, খাদ্য ও আবাসন খাতের জন্য ছবি ও ভিডিও তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের দ্রুততম বর্ধনশীল আউটসোর্সিং ফার্মগুলোর একটি। এখানে এখন প্রায় ৬০০ জন কাজ করছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তাদের রপ্তানি ২০ শতাংশের বেশি বাড়ে; আর এ বছর তা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

অগমেডিক্স বিডি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী রাশেদ নোমান জানান, এআই ব্যবহারের ফলে আউটসোর্সিং বাজার দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে, এআই টুলসগুলো কর্মীর দক্ষতা ও কাজের মান বাড়াচ্ছে।

টিবিএসকে তিনি বলেন, "আমরা আরও বেশি কাজের অর্ডার পাচ্ছি, আগামী দিনগুলোয় তা আরও বাড়বে।" রাশেদ আরও জানান, কাজের চাহিদা মেটাতে শুধু জুলাই মাসেই ৪০ জন ডেটা অ্যানালিস্ট নিয়োগ দিয়েছে অগমেডিক্স।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা ১,৩০০ জন, মাসিক কাজের অর্ডারের পরিমাণ ১০ লাখ ডলারের বেশি। শুরুতে মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন ছিল সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল, এখন তাদের নিজস্ব এআই টুলস কাজকে অনেক সহজ করেছে।

রাশেদ বলেন, "তখন আমাদের দীর্ঘসময় ধরে টাইপ করতে হতো, তারপর আবার নির্ভুলতা যাচাই করতে হতো। এতে অনেক সময় ও জনবল খরচ হতো। এখন সেটা অনেক সহজই করা যায় আমাদের নিজেদের তৈরির এআই টুলস দিয়ে। এর ফলে আমরা আরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিতে পারছি।"

বিপিও থেকে বাংলাদেশের আয় এখনো নগণ্য

এ বছরই প্রথমবারের মতো বিপিও ও আইটিইএস থেকে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করতে যাচ্ছে। তবে এশীয় জায়ান্ট ভারত ও ফিলিপাইনের তুলনায় এ আয় এখনো নগণ্য।

বৈশ্বিক পর্যায়ে আউটসোর্সিং পরাশক্তি প্রতিবেশী ভারতের আধিপত্য রয়েছে আইটি ও আইটি সংশ্লিষ্ট পরিষেবার বাজারে। গত বছর দেশটি এখাতের রপ্তানি আয় করেছে প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে, বিপিও, বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট (বিপিএম) ও আইইটিএস রপ্তানির মাধ্যমে ফিলিপাইনের রপ্তানি আয় ছিল সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলার।

ব্যাক্কো -এর সভাপতি তানভীর বলেন, এইখাতে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের আউটসোর্সিং আয় আরও বাড়বে। "প্রতি মাসে প্রায় ১৫টি কোম্পানি যুক্ত হচ্ছে," উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এখাত থেকে বাংলাদেশের প্রকৃত আয় ঘোষিত অঙ্কের অন্তত দ্বিগুণ, কারণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি আয় এখনো আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসে না।

অগমেডিক্সের প্রধান নির্বাহী রাশেদ বলেন, আউটসোর্সিং খাতে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ রয়েছে, তবে সাফল্য নির্ভর করছে দক্ষ জনশক্তির ওপর।

তিনি বলেন, "আমাদের শিক্ষার্থীদের নিজেদের আরও উন্নত করতে হবে এবং প্রযুক্তি ও ডেটা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।"
ব্যাক্কো'র তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৪৫০টি বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) কোম্পানি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ কাজ করছে। এছাড়া আরও প্রায় সাড়ে ৬ লাখ যুক্ত রয়েছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে।

ফ্রিল্যান্সাররা উপরে উঠছেন ভ্যালু চেইনে

যেসব ফ্রিল্যান্সার একসময় কম দক্ষতা ও স্বল্প পারিশ্রমিকের কাজ করে টিকে ছিলেন, তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভ্যালু চেইনে উপরের স্তরে উঠছেন—উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছেন, কাজের মান উন্নত করছেন এবং তুলনামূলক ভালো আয়ের কাজে সরে যাচ্ছেন।

ঢাকার ফ্রিল্যান্সার সাইফুল ইসলামের কথাই ধরুন। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য ডেটা এন্ট্রির কাজ করছিলেন। কিন্তু এখন এআই টুলস হাতে থাকায় তিনি শুধু ডেটা এন্ট্রি করেই থেমে থাকছেন না, বরং বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন প্রবণতা ও চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতা চিহ্নিত করছেন।

আউটসোর্সিয়ের জগতে প্রবেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ডেটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সই ছিল বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের প্রধান প্রবেশদ্বার; যেখানে ডেটা সংগ্রহ, স্প্রেডশিট ম্যানেজমেন্ট ও  অ্যাডমিন সাপোর্টের মতো রুটিন কাজগুলোই থাকত। কিন্তু এখন এআই আসার পর কাজের সুযোগ আরও বিস্তৃত হয়েছে।

লোগো, ওয়েবসাইট, ব্যানার এবং সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য এখন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। অনেকে আরও জটিল কাজ, যেমন ভিডিও এডিটিং, মোশন গ্রাফিকস, এমনকি থ্রিডি মডেলিং ইত্যাদির দিকে সরে যাচ্ছেন। কনটেন্ট রাইটিংও একটি বড় খাত হয়ে উঠেছে—যেখানে ব্লগ, কপিরাইটিং, অনুবাদ, প্রুফরিডিং ও এডিটিং সবই অন্তর্ভুক্ত।

আশিক মাহমুদ, যিনি কয়েক বছর আগে সাংবাদিকতা ছেড়ে পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন, এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ক্লায়েন্টদের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স অ্যাসাইনমেন্ট করেন, পাশাপাশি কনটেন্ট রাইটিংও চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত বুধবার তিনি টিবিএসকে বলেন, "এআইকে আমি খুব ইউজফুল মনে করি। এর সাহায্যে গ্রামার ঠিক আছে কিনা চেক করি এবং কনটেন্ট আরও উন্নত করি।"

এআই ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ

তবে সুযোগের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও আছে।

উন্নত এআই টুলসের উচ্চমূল্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় বাধা। চ্যাটজিপিটি, অ্যাডোব ফায়ারফ্লাই কিংবা পেশাদার ভিডিও এডিটিং স্যুটের খরচ মাসে ২০ থেকে ১০০ ডলার—যা অনিয়মিত আয়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যয়বহুল। ফলে অনেকে ফ্রি বা ট্রায়াল ভার্সনে নির্ভর করছেন, যেখানে সীমিত সুবিধা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি।

আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো ক্লায়েন্ট প্রত্যাশা। বিদেশি নিয়োগকর্তারা প্রায়ই ধরে নেন, এআই তাৎক্ষণিকভাবে কম খরচে ফল দেবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, মানবিক বিচক্ষণতা ও সৃজনশীলতার মূল্য এভাবে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।

"ক্লায়েন্টরা জিজ্ঞাসা করেন কেন আমি ৫০ ডলার চার্জ করি, যখন এআই কয়েক মিনিটে ড্রাফট বানিয়ে দেয়। তারা ভুলে যান আমি ঘন্টাখানেক ধরে সেটি যাচাই করি, তথ্য মিলাই, ব্যবহারযোগ্য করি," বলেন ঢাকার এক ফ্রিল্যান্সার।

ডিজিটাল সাক্ষরতার ঘাটতিও রয়েছে। তরুণরা দ্রুত নতুন টুলস শিখলেও, ফ্রিল্যান্সারদের বড় অংশ ক্লাউড-ভিত্তিক কাজ, উন্নত সফটওয়্যার কিংবা প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিছিয়ে।

তবুও খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাংলাদেশ বিপিও ও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এআই-চালিত রূপান্তরের একেবারে শুরুতেই আছে। ডেটা অ্যানালিটিকস, হেলথকেয়ার সাপোর্ট, ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ও বহুভাষিক কনটেন্ট সেবার বৈশ্বিক চাহিদা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বিশেষায়িত ও উচ্চমূল্যের ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ দেখছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নতুন সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে, তবুও অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার এ প্রযুক্তি থেকে পূর্ণ সুবিধা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এআই ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ

তবে সুযোগের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও আছে। এআই নতুন সুযোগের দ্বার খুললেও— অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার এ প্রযুক্তির পূর্ণ সুবিধা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

উন্নত এআই টুলসের উচ্চমূল্য তাদের জন্য একটি বড় বাধা। চ্যাটজিপিটি, অ্যাডোব ফায়ারফ্লাই কিংবা প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং স্যুটের খরচ মাসে ২০ থেকে ১০০ ডলার—যা অনিয়মিত আয়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেশ ব্যয়বহুল। ফলে অনেকে ফ্রি বা ট্রায়াল ভার্সনের ওপর নির্ভর করছেন, যেখানে সুবিধা যেমন সীমিত, তেমনি নিরাপত্তার ঝুঁকিও বেশি।

আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো ক্লায়েন্টদের প্রত্যাশা। বিদেশি নিয়োগকর্তারা প্রায়ই ধরে নেন, এআই তাৎক্ষণিকভাবে কম খরচে ফল দেবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, এক্ষেত্রে মানবিক বিচক্ষণতা ও সৃজনশীলতার মূল্যকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।

"ক্লায়েন্টরা জিজ্ঞাসা করেন কেন আমি ৫০ ডলার চার্জ করি, যখন এআই কয়েক মিনিটে ড্রাফট বানিয়ে দেয়। তারা ভুলে যান আমি ঘন্টাখানেক ধরে সেটি যাচাই করি, তথ্য মিলাই, ব্যবহারযোগ্য করি," বলেন ঢাকার এক ফ্রিল্যান্সার।

ডিজিটাল সাক্ষরতার ঘাটতিও রয়েছে। তরুণরা দ্রুত নতুন টুলস শিখলেও, ফ্রিল্যান্সারদের বড় অংশ ক্লাউড-ভিত্তিক কাজ, উন্নত সফটওয়্যার কিংবা প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিছিয়ে— যেসব দক্ষতা থাকলে এআই থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়।

তবুও সংশ্লিষ্ট শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বিপিও ও ফ্রিল্যান্স খাত এখনো এআই-চালিত রূপান্তরের একেবারে প্রাথমিক ধাপে রয়েছে। বিশ্ববাজারে ডেটা অ্যানালিটিকস, স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এবং বহুভাষী কনটেন্ট সেবার চাহিদা বাড়ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বিশেষায়িত ও উচ্চমূল্যের খাতে প্রসার ঘটাতে পারে।

 

Related Topics

টপ নিউজ

আউটসোর্সিং / রপ্তানি আয় / তথ্যপ্রযুক্তি / এআই / বাংলাদেশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • 'দুই ল্যাপটপ, ছয় প্লাগ': কোরিয়ায় ক্যাফের আসন দখল করে সারাদিন পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের, বিপাকে মালিকেরা
  • স্ত্রী গর্ভবতী ও কিডনি জটিলতা জানিয়ে শুনানিতে তৌহিদ আফ্রিদির জামিন চান আইনজীবী
  • নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টাকে হেনস্তা আওয়ামী নেতা-কর্মীদের, ডিম নিক্ষেপ
  • মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার আছে: ফজলুর রহমান
  • নতুন বোর্ডরুম, পুরনো চর্চা: ব্যাংকের এমডিরা হটসিটে
  • ২০০-এর বেশি রপ্তানিকারককে টাকা দিতে পারছে না সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো, প্রতিকার চেয়ে আজ গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠক

Related News

  • পরিবারগুলোর সবচেয়ে বড় উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি, শিক্ষায় বাড়তি ব্যয় নিয়ে: জরিপ
  • ব্যবহারকারীদের অজান্তেই গোপনে এআই দিয়ে ভিডিও এডিট করছে ইউটিউব
  • সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ও চীন
  • বাণিজ্যে ঝুঁকি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ৩–৫ বছর পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
  • কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি নিয়েও প্রথম চাকরির জন্য হিমশিম খাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের স্নাতকপাশরা

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

'দুই ল্যাপটপ, ছয় প্লাগ': কোরিয়ায় ক্যাফের আসন দখল করে সারাদিন পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের, বিপাকে মালিকেরা

2
বাংলাদেশ

স্ত্রী গর্ভবতী ও কিডনি জটিলতা জানিয়ে শুনানিতে তৌহিদ আফ্রিদির জামিন চান আইনজীবী

3
বাংলাদেশ

নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টাকে হেনস্তা আওয়ামী নেতা-কর্মীদের, ডিম নিক্ষেপ

4
বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার আছে: ফজলুর রহমান

5
অর্থনীতি

নতুন বোর্ডরুম, পুরনো চর্চা: ব্যাংকের এমডিরা হটসিটে

6
বাংলাদেশ

২০০-এর বেশি রপ্তানিকারককে টাকা দিতে পারছে না সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো, প্রতিকার চেয়ে আজ গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠক

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net