রিং শাইন টেক্সটাইল কেলেঙ্কারি: ১৩ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি বিএসইসির

বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড-এর নামে নতুন শেয়ার ইস্যু করে কোনো টাকা বিনিয়োগ না করেই শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রে রয়েছেন বিতর্কিত সাবেক কর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফারুক। বিএসইসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
ভারতীয় নাগরিক অশোক কুমার চিরিমার, যিনি রিং শাইন টেক্সটাইলস -এর সাপ্লাই চেইন এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন, প্রতারণামূলক এই কেলেঙ্কারিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, রিং শাইন টেক্সটাইলস -এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোট ১৩ জন ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানির স্পনসর, সাবেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও), কোম্পানি সচিব, এবং কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত আবদুল কাদের ফারুক ও অশোক কুমার চিরিমার।
প্রতারক চক্রটি প্রতি শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে মোট ১১২ কোটি টাকার শেয়ার বরাদ্দ দেয়, কিন্তু কোম্পানির হিসাবে এক টাকাও জমা দেয়নি।
বরং অভিযোগ রয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সহায়তায় তারা কোম্পানির তালিকাভুক্তির পর—পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এরপর তাদের বিনামুল্যে পাওয়া বরাদ্দকৃত শেয়ারগুলো বিক্রি করে বাজার থেকে প্রস্থান করে।
সাধারণত প্রি-প্লেসমেন্ট শেয়ার একটি লক-ইন সময়সীমার আওতায় থাকে। তবে তৎকালীন বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে এসব শেয়ার বিক্রির অনুমতি দেয়। ফলে যেখানে কোম্পানির ১২ জন স্পনসর ডিরেক্টর তাদের বরাদ্দকৃত শেয়ার বিক্রি করেননি, সেখানে ৭৬ জন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর মধ্যে ৬৪ জন প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডার বিক্রি করে দেন তাদের শেয়ার। বর্তমানে প্রতি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে ইস্যু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য নেমে এসেছে মাত্র ৩ টাকা ২০ পয়সায়।
শেয়ার ইস্যু: চার হাজার টাকা মূলধন থেকে শত কোটি টাকার কারসাজি
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে মাত্র ৪,০০০ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানিটি মূলত বিভিন্ন মানের গ্রে ও ফিনিশড ফ্লিস ফেব্রিক এবং রঙিন সুতা উৎপাদন করে দেশের টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে সরবরাহ করতো।
২০০২ সালে প্রথমবারের মতো পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯.৯৫ কোটি টাকা করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিশাল অঙ্কে মূলধন বৃদ্ধি করে তা দাঁড় করায় ২৮৫.০৫ কোটি টাকায়। এই বৃদ্ধি আসে ২৭ কোটি ৫১ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে, যার প্রতিটির মূল্য নির্ধারিত হয় ১০ টাকা। এই নতুন শেয়ারগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়: ১১ জন বিদেশি স্পনসরকে, যাদের সম্মিলিত অংশীদারিত্ব দাঁড়ায় ৫৯.৪৪ শতাংশে, এবং ৭৩ জন দেশীয় বহিরাগত বিনিয়োগকারীকে, যাদের অংশীদারিত্ব হয় ৪০.৫৬ শতাংশ।
২০১৯ সালে, এম খায়রুল হোসেন বিএসইসি'র তৎকালীন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায়, রিং শাইন টেক্সটাইল শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পায়।
তবে এখানেই তৈরি হয় ঘোর অনিয়মের সুযোগ।
বিএসইসির একজন কর্মকর্তা টিবিএস-কে বলেন, "সাধারণত, প্লেসমেন্ট শেয়ারগুলো তালিকাভুক্তির পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিক্রয়যোগ্য থাকে না বা 'লক-ইন' অবস্থায় থাকে। কিন্তু খায়রুল হোসেন কমিশনের সময়ে আইপিওটির অনুমোদন দেওয়া হলেও, পরবর্তীতে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে শেয়ার বিক্রির অনুমতি দেয়। এতে কারসাজিকারীরা আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে তাদের বিনিয়োগহীন শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে মূলধন তুলে নিতে সক্ষম হয়।"
৪০ শতাংশ শেয়ার ছিল ৬৪ ব্যক্তির হাতে
বিএসইসি'র নথি অনুযায়ী, রিং শাইন টেক্সটাইল ২৭ কোটি ৫১ লাখ শেয়ার বরাদ্দ দিয়েছিল মোট ৭৬ জনের নামে। এদের মধ্যে ছিলেন কোম্পানির স্পনসর-পরিচালকগণ, ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা, কর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা, এবং ঐ সময়ের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও।
প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্য ইস্যু হয়েছিল ১০ টাকা করে, যার মোট মূল্য দাঁড়ায় ২৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ শেয়ার কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল—প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির হিসাবে কোনো অর্থ জমা পড়েনি। ৭৬ জন শেয়ারগ্রহীতার কেউই, এমনকি কোম্পানির স্পনসর-পরিচালকরাও, বরাদ্দ পাওয়া শেয়ারের বিনিময়ে কোনো অর্থ প্রদান করেননি।
বিএসইসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কোম্পানির প্রি-প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর সময় ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মোট ৮ লাখ ৩২ হাজার শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে সরাসরি ফারুকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৪ জন ব্যক্তিও রয়েছেন। নতুন ইস্যু করা মোট শেয়ারের মধ্যে তারা একাই পেয়েছেন ২৯ .২ শতাংশ।
ফারুকের পরিবারের মধ্যে তার দুই স্ত্রী নাসরিন আক্তার বানু এবং হোসনে আরা বেগম যথাক্রমে ৫৬.৭৩ লাখ (১.৯৯ শতাংশ) এবং ৬১.৯২ লাখ (২.১৭ শতাংশ) শেয়ার পেয়েছেন। তার মেয়ে রেজওয়ানা রহমান রিনি পেয়েছেন ২০.৫৫ লাখ শেয়ার। জাকিয়া খন্দকার এবং মনিরা খন্দকার এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ—যথাক্রমে ১.১৯ কোটি এবং ১.১৩ কোটি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।
মতিউরের পরিবার ১৫.৭৫ লাখ শেয়ার পেয়েছে
তৎকালীন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের পরিবারের সদস্যদের মোট ১৫.৭৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার ফেসভ্যালু প্রতি শেয়ার ১০ টাকা হিসেবে মোট মূল্য দাঁড়ায় ১.৫৭ কোটি টাকা। তবে কোম্পানির সূত্র বলছে, এই নতুন বরাদ্দকৃত শেয়ারগুলোর জন্যও তাদের কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।
মতিউরের পরিবারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল শুজ ৫ লাখ শেয়ার পেয়েছে, আর মতিউর নিজে পেয়েছেন ২.৫ লাখ শেয়ার। এছাড়াও তার সাথে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে মোট ৮.২৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল কাদের ফারুক যেভাবে প্রতারণায় জড়িত
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একটি চিঠির তথ্য অনুসারে, কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়ায় আব্দুল কাদের ফারুক এবং তার এক বন্ধুকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিক অশোক কুমার চিরিমার। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ফারুক বাজারে সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তকরণের বিশেষজ্ঞ এবং ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে আইপিওর মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
কমিশন পরবর্তীতে জানায়, প্রক্রিয়াটির শুরু থেকেই এটি একটি সংগঠিত আর্থিক প্রতারণার পরিকল্পনা ছিল, যা আর্থিক বিবরণীকে সাজানো (উইন্ডো ড্রেসিং) করে জনসাধারণের তহবিলের অবৈধ সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। চিঠিতে আরও বলা হয়, এই পুরো প্রক্রিয়াটি চিরিমার ও ফারুক দ্বারা পূর্বনির্ধারিত একটি সংগঠিত আর্থিক অপরাধ, যার সঙ্গে সংবিধিবদ্ধ অডিটর, ইস্যু ম্যানেজার এবং কোম্পানির প্রি-প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডাররাও জড়িত ছিলেন।
অশোকের আশ্বাসের পর, রিং শাইন টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা একটি বৈঠক করে, যার ফলে একটি সমঝোতা হয়, যেখানে ফারুককে মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়া হয়, যা পোস্ট-আইপিও এবং পোস্ট-আইপিও রাইট ইস্যুকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এই ৪০ শতাংশ শেয়ার কাদেরের নিয়ন্ত্রণে এমনভাবে স্থির হয়েছিল যে, তিনি যেকোনো সময়, যেকোনো পক্ষ বা কোম্পানিকে ইচ্ছামতো শেয়ার স্থানান্তর বা বিক্রি করতে পারবেন।
কোম্পানির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের পর, কাদের রিং শাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঙ্গ ওয়ে মিনের সঙ্গে যোগসাজশে কৃত্রিম হিসাব-নিকাশ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রস্তুত শুরু করেন, যাতে পাবলিক প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা যায়, বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএসইসির সিদ্ধান্ত
রিং শাইন টেক্সটাইল সংক্রান্ত আইপিও প্রসপেক্টাসে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করার অভিযোগে কোম্পানির স্পন্সর, প্রাক্তন পরিচালকগণ, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক, প্রাক্তন সিএফও এবং কোম্পানি সচিবসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, আব্দুল কাদের ফারুকের সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করে রিং শাইন টেক্সটাইলের শেয়ার প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত দুর্নীতির ঘটনায়, যেখানে ইস্যু ম্যানেজারের পরিবর্তে ফারুককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে বিএসইসি প্রাক্তন পরিচালকগণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দুই প্রতিষ্ঠান — এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড – এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঁচ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে বিএসইসি।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে আইপিও প্রসপেক্টাস এবং ডিউ ডিলিজেন্স সনদে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানির অভিযোগের ভিত্তিতে। একইসঙ্গে, উক্ত দুই ইস্যু ম্যানেজারের নিবন্ধন সনদ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে কমিশন।
এছাড়া, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর রিং শাইন টেক্সটাইলের ভুয়া ও বানোয়াট আর্থিক বিবরণী প্রণয়নের দায়ে বিএসইসি চারটি অডিটিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্ত অডিটিং ফার্মগুলো হলো: আহমেদ অ্যান্ড আখতার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস; শিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কো, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস; মাহফেল হক অ্যান্ড কো, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং এটিএ খান অ্যান্ড কো, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট পার্টনারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
রিং শাইন টেক্সটাইলের বহিরাগত প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকে অভিযোগ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্লেসমেন্ট হোল্ডার তাদের নামে শেয়ার বরাদ্দ নিলেও—কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ জমা দেননি, বা আংশিক অর্থ পরিশোধ করেছেন—যা অর্থ আত্মসাতের শামিল।
এছাড়া, রিং শাইন টেক্সটাইলের প্লেসমেন্ট দুর্নীতির মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত এফএআর গ্রুপ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফারুক এবং ভারতের নাগরিক অশোক কুমার চিরিমার-এর বিরুদ্ধেও দুদকের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে বিএসইসি। কমিশন বলেছে, কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দ, অর্থ উত্তোলন এবং বাজারে তা বিক্রির পুরো চক্রে এই দুজনের প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় ভূমিকা ছিল।