যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ কত?

১৪টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, আর বাকি দেশগুলোকে ১ আগস্ট পর্যন্ত এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। নতুন শুল্কের আওতায় পড়েছে বাংলাদেশ-ও, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিতে দিতে হবে ৩৫ শতাংশের মতো চড়া শুল্ক। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান খাত– তৈরি পোশাকের জন্য এটি বড় আঘাত, কারণ বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় রপ্তানির গন্তব্য।
বাংলাদেশ এখনও জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। দেশের মোট রপ্তানিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখে তৈরি পোশাক।
তাই সঙ্গতকারণেই জেনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে কী পরিমাণ রপ্তানি করে, আর আমদানিই বা করে কত? তাহলেই প্রভাবটাও স্পষ্ট হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) এর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।
এই বাণিজ্যের মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে ২.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য — যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১.৫ শতাংশ কম, অর্থাৎ প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা বছরের তুলনায় ১.১ শতাংশ বা প্রায় ৮৯.৩ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।