শুল্ক স্থগিতাদেশের ডেডলাইন সামনে, যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান বাংলাদেশের

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) প্রস্তাবিত 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্ট'-এর খসড়ার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ এবং বেশকিছু শর্তে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও ন্যায্য একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিজস্ব আইন বাংলাদেশকে অনুসরণ করার প্রস্তাব দেয় ইউএসটিআর। তবে এ ক্ষেত্রে অন্য একটি দেশের আইন অনুসরণ করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত রাখার প্রস্তাব করে প্রস্তাবিত চুক্তির সংশোধিত খসড়া যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত এপ্রিলের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করেন, যা পরে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ৬:৩০টায় ইউএসটিআর এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। আগামী ২৯ জুন তাদের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। তারপর এ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
এর আগে, গত ১২ জুন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক সংক্রান্ত একটি 'নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট' (গোপনীয়তা চুক্তি) স্বাক্ষরিত হয়, যা কোন দেশের সরকারই প্রকাশ করবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এরপর, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে প্রস্তাবিত পারস্পরিক শুল্ক চুক্তির (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্ট) খসড়া পাঠানো হয় এবং ১৭ জুন অনলাইনে মিটিংয়ে দুই দেশ চুক্তিটি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্ট' নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়ে তার খসড়া বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইন বাংলাদেশকে অনুসরণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এতে রাজী না হয়ে ওই খসড়ার উপর বাংলাদেশের মতামত ২৫ জুন খলিলুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে, যা গতকাল বৃহস্পতিবারের সভায় ইউএসটিআরের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তাতে বাংলাদেশের ওপর রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।
এছাড়া, ইউএসটিআরের কার্মকর্তাদের মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলোদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে রাজি হয়নি বলে বুধবার টিবিএসকে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। আলোচনা চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাড়তি সময় চাওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি (ড. খলিলুর রহমান) যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর পদক্ষেপ
সম্ভাব্য চুক্তিটি করার আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, যা ইউএসটিআরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তুলে ধরেছেন খলিলুর রহমান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেন থেকে গম আমদানির প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা সংস্থা- বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। এছাড়া, জ্বালানি বিভাগ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গত এপ্রিলের পর থেকে এপর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে যে এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগ নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি থেকে।
রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কোন পর্যায়ে রয়েছে, জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে টিবিএসকে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের বিষয়ে—বাংলাদেশ সরকার সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। ইউএসটিআরের প্রত্যেকটি চিঠির জবাব সময়মত দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্ট' করার জন্য যে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তার ফিরতি মতামতও জানানো হয়েছে। আগামী ২৯ জুন ইউএসটিআরের সঙ্গে একটি বিশেষ মিটিং হবে। তখন ঠিক হবে এই চুক্তি কেমন হবে, কবে করা হবে।"
গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশের উপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করাসহ বিভিন্ন দেশের উপর বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তখন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চেয়ে অনুরোধ করার পাশাপাশি—দেশটির সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা ও আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
তার প্রেক্ষিতে তিন মাসের জন্য রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ কার্যকর স্থগিত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ বাড়তি কর কার্যকর করা হয়।
রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ
আগামী ৯ জুলাই বাড়তি ট্যারিফ কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে রপ্তানিকারকদের মধ্যে এনিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কোন পর্যায়ে আছে, সে সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিজিএমইএ) -এর পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও কোন অগ্রগতি জানেন না তারা।
বিজিএমইএ'র সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবু টিবিএসকে বলেন, "আমেরিকার রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ থেকেই মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিং করেছি। তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন যে, আমাদের আরও সুনির্দিষ্ট, আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত।"
"বুধবার আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে যে, সরকার বিষয়টি নিয়ে খুবই সিরিয়াসলি কাজ করছে। রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্টের খসড়ার উপর মতামত বৃহস্পতিবার ইউএসটিআরের কাছে তুলে ধরেছেন ড. খলিলুর রহমান।"
তিনি আরও বলেন, "সরকার ১২ জুন যে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর স্বাক্ষর করেছে, সেখানে কি আছে তার কিছুই আমরা জানি না। যেহেতু জি-টু-জি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) গোপনীয়তার চুক্তি, তাই এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সরকারকে বিব্রতও করতে চাই না। তবে আমাদের দাবি একটি—কোনোমতেই বাংলাদেশের উপর আরোপিত শুল্কহার যাতে প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি না হয়।"
বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকার যদি মনে করি, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা করতে আরও সময়ের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আরও ৯০ দিনের জন্য বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত চেয়ে সরকার অনুরোধ করতে পারে। তবে চুক্তি এমন হতে হবে যে, প্রতিযোগী দেশের চেয়ে আমাদের ট্যারিফ যাতে বেশি না হয়।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ টিবিএসকে বলেন, "বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ দিতে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ৯ জুলাই ৩৭ শতাংশ শুল্ক স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে, তাই এ বিষয়ে আমাদের কনসার্ন বাড়ছে। কিন্তু, সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা কত দূর এগিয়েছে, তার কিছুই আমরা জানি না।"
আলোচনায় প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিযোগী দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। এসব দেশ এখনও আলোচনা পর্যায়ে থাকলেও—বাংলাদেশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এবং এই চুক্তির আওতায় আরেকটি চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২৬ জুন ইউএসটিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানি বাড়ানোর যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন ড. খলিলুর রহমান। এজন্য সরকার কি কি পরিকল্পনা করছে, সেগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি পারস্পরিক আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যে যে ভুল ছিল, সেটিও তুলে ধরেছেন তিনি।
শুল্ক আরোপের হিসাব নিয়ে আপত্তি
বাংলাদেশের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের সময় যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে, বাংলাদেশ আমেরিকান পণ্যের উপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশ মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের এই হিসাবে ভুল রয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর বাংলাদেশের আরোপিত প্রকৃত শুল্কহার আরোপের চিত্র ইউএসটিআর এর সভায় তুলে ধরেছেন খলিলুর রহমান। আগামী অর্থবছরের বাজেটে মার্কিন পণ্য আমদানিতে বাজেটে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলোও তুলে ধরা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাড়তি শুল্ক আরোপের পর তা ৩ মাস স্থগিত চেয়ে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি—আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস; এবং ইউএসটিআরকে চিঠি দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ওইসব চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে দেশটি থেকে এলএনজি, গম, উড়োজাহাজ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানি করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ১৯০টি পণ্যে বাংলাদেশ শুল্ক কমানোর অঙ্গীকার করে ঢাকা। এছাড়া, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানি সহজ করতে সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়।
এরপর গত ৯ এপ্রিল ইউএসটিআরের সাথে অনলাইনে এনিয়ে বৈঠক করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তখন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ কি কি সুবিধা চায়, সেটিও লিখিতভাবে জানতে চায় ইউএসটিআর। এরপর বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ২১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরের সাথে বৈঠক করে। তখন ইউএসটিআর ৬টি মূল পয়েন্টে আলোচনার বিষয়ে সম্মত হয়। পরবর্তীতে ৪ জুন পুনরায় ইউএসটিআরকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য।