চালের দাম আরও কমেছে, বেড়েছে ডিমের দাম

বোরো মৌসুমের চাল বাজারে পুরোদমে আসায় খুচরা পর্যায়ে চালের দাম আরও কমেছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ৪ থেকে ১২ টাকা। তবে ঢাকার বাজারে বেড়েছে ডিম ও গরুর মাংসের দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরুর মাংসের দাম এখন বেশি। আর সম্প্রতি তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) শাহজাদপুর, নতুনবাজার ও বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২-৫৫ টাকা; মাঝারি চালের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও পাইজাম ৫৮-৬০ টাকা কেজি এবং সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে মিনিকেট ৮২-৯০ টাকা কেজি ছিল।
অন্যান্য চালের মধ্যে মানভেদে নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা এবং বাসমতি চাল প্রতিকেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম ডজনে প্রায় ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়; গত সপ্তাহে এ দাম ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা।
তবে এ সময়ে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে এখন ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে গরুর মাংসের কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহজাদপুরের বিক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, 'আসন্ন ঈদুল আজহার কারণে এখন খামারিরা গরু ছাড়ছেন কম। সবাই কোরবানির হাটে ওঠানোর জন্য ধরে রাখছেন। আমরা এখন বেশি দাম দিয়ে কিনে আনছি।'
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি বাড়তি দামে আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, পেঁপে, টমেটো, ধুন্দল ও লাউ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁকরোল ও বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতা ইমাম হোসেন বলেন, 'বর্তমান সময়ে সবজির আবাদ কম হয়। এ সময়ে দাম এমনই থাকে। বেশিও না, আবার কমও না।'