ইন্টারনেটের দামে ফ্লোর প্রাইস, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষাসহ আইএসপিএবির ৭ দাবি

আইএসপি ইন্টারনেটের দামে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়া) নির্ধারণ, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষাসহ সাত দফা দাবি পেশ করেছে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি।
টেলিকম বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবির আয়োজনে আজ শনিবার প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা; আইএসপি শিল্পের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় এসব দাবি পেশ করা হয়।
দাবিগুলো হলো- ইন্টারনেটের দামে ফ্লোর ও সিলিং প্রাইস নির্ধারণ, সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য ৮০০ টাকা নির্ধারণ (৫০ এমবিপিএস), অ্যাক্টিভ শেয়ারিং চালু করা (সেবার মান ভালো হবে, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে), লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি আইএসপির কাছে থাকা, এনটিটিএনের সার্ভিস চার্জ এক অংকে নামিয়ে আনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রেভিনিউ শেয়ার তুলে দেওয়া এবং স্থানীয় তথা দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, এমদাদুল হক। সার্বিক প্রেজেন্টেশন দেন মোবারক হোসেন।
আমিনুল হাকিম বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীতিগতি সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। যা আত্মবিরোধী।
তিনি বলেন, কম মূল্যে সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সেবা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এটা সস্তা রাজনীতির পর্যায়ে পড়েছে। সরকার ছাড় না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার আইএসপি খাত থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ কর ও রাজস্ব নেয়, সেখানে সাশ্রয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা কম দামে ভালো ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। এজন্য একটি ভালো পলিসি দরকার।
কর্মশালায় আইএসপি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, অ্যাক্টিভ শেয়ারিংয়ের অভাবে দেশের প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। এটা কমাতে এরই মধ্যে আমরা ১ জিবিপিএসের একটা কমন ক্যাবল লাইন করেছি ধানমন্ডিতে, যার মাধ্যমে ৭৭টি আইএসপি একসঙ্গে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে।
টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে -এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।