বাংলাদেশের উচিত নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোট ও রাশিয়া-উভয়ই বাংলাদেশকে তাদের পাশে চাবে, তবে আমাদেরকে নিজেদের স্বার্থ দেখতে হবে। কোনদিকে বাংলাদেশের স্বার্থ বেশি, সেটি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাণিজ্য স্বার্থ ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ থাকে। তাছাড়া, একটি দেশের সরকারের সঙ্গে আরেকটি দেশের সরকারের সুসম্পর্ক দেশের স্বার্থ নাও হতে পারে। দেশের স্বার্থ আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
বিশ্ব বর্তমানে মোটামুটি চারটি ব্লকে বিভক্ত। রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। এর কোনটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ বেশি সেটি চিহ্নিত করে, সেভাবে বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য স্বার্থ রয়েছে, তা অবশ্যই অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
বাংলাদেশকে দেখতে হবে যে, কোন দিক থেকে কতোটুকু চাপ আসে এবং তা আমরা কতোটা কৌশলীভাবে এভোয়েড করতে পারি।
আমরা বাংলাদেশের অবস্থান মাঝামাঝি রাখার চেষ্টা করছি। সরাসরি কোনো পক্ষে যাচ্ছি না। তবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মিটিং করে আসলেন।
আবার প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, আমরা রাশিয়ার পাশে থাকবো। কারণ, দেশটি মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে ছিল। তবে রাশিয়া কোনো অন্যায় করলে তা আমরা মানবো না।
তবে এটিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধে ইউক্রেনও আমাদের পাশে ছিল। কারণ, তখন ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত ছিল।
আমার মনে হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া এক ধরনের যুদ্ধ বিরতিতে পৌঁছবে। তা হলেও যুদ্ধ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সীমিত হতে পারে। তখন এই যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৎপরতাও কমে আসবে।
- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম তৌহিদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বিশেষ প্রতিবেদক আবুল কাশেমের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন।