Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 04, 2025
কর্মক্ষেত্রে নারীর আইনি অধিকার: কেন পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ?

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
08 March, 2024, 12:15 pm
Last modified: 08 March, 2024, 09:39 pm

Related News

  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা: যা ছিল ঘোষণাপত্রে
  • হেফাজতের দুঃখপ্রকাশকে সাধুবাদ, ভবিষ্যতে নারীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান এনসিপি নেত্রীসহ ছয় নারীর
  • সমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের
  • নারী কেন নারীবিদ্বেষী হন?

কর্মক্ষেত্রে নারীর আইনি অধিকার: কেন পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ?

সরকার ও এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে নানান ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের তিন ভাগের এক ভাগ আইনি অধিকার ভোগ করেন। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু আফগানিস্তান।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
08 March, 2024, 12:15 pm
Last modified: 08 March, 2024, 09:39 pm
শাহানা হুদা রঞ্জনা। অলংকরণ: টিবিএস

আমরা প্রতিবছর নানাভাবে নারী দিবস পালন করছি। মাঝেমাঝে মনেহয় এই দিবস পালন ছাড়া নারীর অর্জনটা কোথায়? বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে যে-সব নারী এগিয়ে এসেছেন, তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই, যারা উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন তাদের গল্প শুনি, কর্মক্ষেত্রে নারী সহকর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়, কোন কোন পরিবারে নারী সদস্যদের সম্মানে ভালো খাবারও রান্না হয়।

নারীরা বেগুনি পোশাক পরে দিবসটির প্রতি তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান হয়, সবাই ভালো ভালো কথা বলেন, নারীর উন্নয়নের পক্ষে নানান উদ্যোগ আলোচিত হয় এবং এর মাধ্যমেই দিবসটির পরিসমাপ্তি ঘটে। দিবসটি পালনে আনুষ্ঠানিকতার কোন কার্পণ্য থাকে না বটে, কিন্তু অর্জন খুব সামান্য। নারী দিবসের মূল উদযাপণও শহর বা বলা যায় রাজধানী কেন্দ্রিক।

এই যে আমাদের নারী শক্তি প্রতিদিন তাদের সংসার, স্বামী, সন্তান, আত্মীয়-পরিজনসহ কর্মক্ষেত্র সামলে চলেছেন, এর বদলে তারা আদৌ কি কিছু পাচ্ছেন? পেলে কী পাচ্ছেন, কতটা পাচ্ছেন? তারা কি ভালবাসা পাচ্ছেন, না-কি মর্যাদা, আর্থিক সুবিধা, সম্পত্তির মালিকানা?

প্রকৃত চিত্র খুবই দুঃখজনক ও অমর্যাদাকর। এখনো আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান অধঃস্তন। নারীকে দেখা হয় যৌনতার প্রতীক ও দাস হিসেবে। প্রতিদিন নারীরা যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে বড় বলি নারী ও কন্যাশিশু।

সরকার ও এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে নানান ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের তিন ভাগের এক ভাগ আইনি অধিকার ভোগ করেন। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু আফগানিস্তান।

বিশ্বব্যাংকের 'নারী, ব্যবসা ও আইন-২০২৪' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে নারীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও উন্নতির ক্ষেত্রে যে-সব বাধা পান, তার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক আগেই ১৯০টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে রয়েছে নেপাল। এরপর ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। 

এবার এতে দুটি সূচক তুলে ধরা হয়েছে। একটি সূচকে কাগজপত্রে নারীরা কতটা আইনি অধিকার ভোগ করেন, তা বলা হয়েছে (সংস্করণ ১)। এখানে আটটি মাপকাঠি যেমন: অবাধ চলাচল, কর্মক্ষেত্র, মজুরি, বিয়ে, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব, ব্যবসার উদ্যোগ, সম্পদ ও অবসরভাতা সুবিধা।

দ্বিতীয় সূচকটি (সংস্করণ ২) এবারের প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি করা হয়েছে আইনকানুন কতটা রয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে দুটি মিলিয়ে। বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বুঝতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখানে দুটি নতুন মাপকাঠি যোগ করা হয়েছে নিরাপত্তা ও শিশুর পরিচর্যা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের আইনি কাঠামোয় নারীর অধিকার বাস্তব অধিকার পরিস্থিতির চেয়ে ভালো। যেমন নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে অনেক আইন থাকলেও, প্রয়োগ কম এবং বিচার পাওয়ার হার আরো কম।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সত্ত্বেও, বৈশ্বিক বিচারে নারীর অবস্থান কীভাবে পাকিস্তানের পরে হয়? আমাদের পরে শুধু আফগানিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র।

এই প্রশ্নের উত্তর ছিল বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে। সেখানে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হান্স টিমার বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের সঙ্গে এখানকার নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অঞ্চলের নারীরা অর্থনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। তারা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগ ও সম্পদের মালিকানার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছেন।

দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ কম। এরমধ্যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নতি, নারীশিক্ষার হার বৃদ্ধি, জন্মহার হ্রাসসহ আরো কিছু অগ্রগতি সত্ত্বেও শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ আনুপাতিক হারে বাড়েনি। বরং তা এক জায়গাতেই অনেক দিন স্থবির ছিল।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টি মেলানো যায় না। সমাজের গভীরে প্রোথিত রীতিনীতির কারণে নারীরা পিছিয়ে পড়ছেন, বিশেষ করে পরিবারের শ্রমের বিভাজন এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে।

বাংলাদেশের সমাজে নারীর আয় এখন আর সেকেন্ডারি বিষয় না, এটা অপরিহার্য। শুধু পারিবারিক ও সামাজিক প্রয়োজনে নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও দরকার। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুসারে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। দেশে সংখ্যায় নারী বেশি হলেও শ্রমক্ষেত্রে সুযোগ কম। অনেক নারী উদ্যোক্তা ব্যবসায় আসছেন কিন্তু তারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এদের অনেকেই পড়াশোনায় পিছিয়ে আছেন, মূলধন কম, সহজে ঋণ পাচ্ছেন না, আছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও পারিবারিক চাপ।

অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশ বাড়লেও কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও উপযোগী কাজের পরিবেশের অভাবসহ নানাকারণে নারীরা শ্রমবাজারের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। শহরে নারী ও পুরুষের কাজের অসমতার হার আগের চাইতে বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে কর্মদক্ষ নারীদের যতজন শ্রমশক্তিতে থাকার কথা, ততটা নেই।

শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি, কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় সরকারি চাকরিতে নারীর হার পাঁচ বছর ধরে বাড়ছে না, থেমে আছে প্রায় একই জায়গায়। (প্রথম আলো, ২০২১) 

পড়াশোনার মাঝপথে বিয়ে বা বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের অনেকে শ্রমশক্তির বাইরে থেকে যাচ্ছেন। শহরে অনেক নারী সামাজিক ও পারিবারিক কারণে শ্রম থেকে ঝরে পড়ছেন। সংসারের দায়িত্ব, সন্তান প্রতিপালন, কেয়ারগিভারের সংকট, গৃহ সহায়তাকরীর সংকট, ডে-কেয়ার হোমের অভাব, সংসারের বয়স্ক মানুষের দেখাশোনা করার দায়িত্ব এবং সর্বোপরি স্বামীর অনিচ্ছার কারণে অনেক নারী চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন।

অথবা নারী ভাবেন কিছু সময়ের জন্য জন্য চাকরি ছাড়বেন, পরে আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একবার চাকরি ছেড়ে দিলে, আবার প্রবেশ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সংসারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীকেই কাজ থেকে ছুটি নিতে হয়, এমনকি চাকরি ছাড়তেও হয়। পুরুষের চেয়ে আয় বা পজিশন বেশি হলেও নারীকেই কর্মক্ষেত্র থেকে বের হয়ে আসতে হয়।

শহরাঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারানো নারীদের একটা বড় অংশ গ্রামে ফিরে গিয়ে নিম্ন মজুরি বা মজুরি ছাড়াই পরিবারের কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম ২০২০ সালের ডিসেম্বরে 'পুটিং উইমেন ইন দ্য সেন্টার অব অ্যাগ্রিকালচার' শিরোনামে এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, গত ২৫ বছরে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। তবে এদের মাত্র ১৫ শতাংশ নারী মজুরি পাচ্ছেন।

কৃষিক্ষেত্রের শ্রম কম মূল্যায়িত বলে, সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। অথচ অসমতা দূর করতে হলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে শিল্প ও সেবা খাতে। নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে লিঙ্গভিত্তিক অসমতা থেকে মুক্তি নাই।  

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও জানিয়েছে দেশে সার্বিক কর্মসংস্থান বাড়লেও শহর এলাকায় নারী শ্রমিকের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। বিশেষ করে শিল্পখাতেই নারী শ্রমিক কমার প্রবণতা বেশি। এদের একটা অংশ গ্রামে ফিরে গিয়ে নিম্ন মজুরিতে কিংবা বিনা মজুরিতে গৃহস্থালি ও কৃষিকাজে যুক্ত হচ্ছেন। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও, নারীর কাজ আয়মূলক হচ্ছে না। বরং যে-সব খাতে নারীর কাজের মজুরি ও পদ এবং ক্ষমতা পুরুষের সমান, সেইসব কাজ থেকে নারী ছিটকে পড়ছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির ৮০ শতাংশের বেশি অনানুষ্ঠানিক এবং এই খাতে নারীই বেশি যুক্ত, এটা উন্নয়নের পথে বড় বাধা বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।

এছাড়াও দেশের সিংহভাগ নারীকে নানাধরণের শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে হয়। ঘুরেফিরে যে প্রশ্নটা আসে তা হচ্ছে ঘরে-বাইরে, শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে নারীর অর্জন যতটুকুই হোক না কেন, নারী নিরাপত্তা ও অধিকার কতটা পাচ্ছেন?

বিভিন্ন সামাজিক বিধিনিষেধ, নিয়ম-কানুনের বেড়াজালে পড়ে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। অধিকাংশ নারী প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায়িত হতেই পারেননা। একজন পুরুষের চাইতে নারীকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রোজগার করার জন্য পথে নামতে হয়। ফলে সরকার যদি চায় নারীরা বেরিয়ে এসে দেশের অর্থনীতিকে জোরালো করবে, তাহলে নারীর জন্য বাজেটসহ বিভিন্ন অবকাঠোমোগত সুবিধা দেয়াটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এছাড়াও পুরুষপ্রধান পরিবারগুলোতেও যখন অভাবের কারণে একটার পর একটা সম্পদ হাতছাড়া হতে থাকে, তখন ব্যয়ের জেন্ডার ইস্যুটা উঠে আসে। কারণ অভাব অনটনের সময় নারীর সম্পত্তিই প্রথমে হাতছাড়া হয়। অর্থনৈতিক সংকট হলে প্রথমে পাড়া প্রতিবেশীর থেকে ধার করে মানুষ। এরপর ছোটখাট জিনিস যেমন স্বর্ণালংকার ও হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল বিক্রি করা হয়, যেগুলোর মালিক সাধারণত নারীই হয়ে থাকে। অভাবের সময় যৌক্তিক কারণেই নারীর মালিকানাধীন ছোটখাট জিনিস আগে বিক্রি করা হয়। সেক্ষেত্রে সবদিক থেকেই নারীই সর্বস্বান্ত হয় প্রথমে। সম্পদের সামান্য মালিকানা সহজেই হাতছাড়া হয়ে যায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী দিবসের এক অনুষ্ঠানেই সম্পত্তিতে নারীর অধিকার সংরক্ষণের কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন পিতার অর্জিত সম্পত্তির অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে যেন শরীয়া আইনের অপব্যবহার করা না হয়। বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন যে, "হ্যাঁ আমরা শরীয়া আইন মেনে চলবো, সেই সাথে এমন কোন উপায় বের করতে হবে, যেন ইসলামি আইনের নাম ব্যবহার করে নারীকে কেউ স্বামী ও পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে না পারে।"

আমরা স্বপ্ন দেখি নারীর সমানাধিকারের পথ প্রশস্ত হবে, সম্পত্তিতে নারীর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ও নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। সমাজে প্রচলিত পক্ষপাতমূলক আচরণ, সিদ্ধান্ত, নিয়ম, সংস্কৃতি সব ভেঙে পড়বে। কারণ এইসব বাধার কারণে সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্টের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য। প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে নারীকে সমান সুযোগ দিতে হবে। এইসব দাবিকে সামনে রেখেই প্রতিবছর নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু আদতে দাবির কতটা পূরণ হচ্ছে?


  • শাহানা হুদা রঞ্জনা: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক

    বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয় 

Related Topics

টপ নিউজ

নারী অধিকার / নারী দিবস / নারী অধিকারকর্মী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই
  • ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা
  • জাতীয় গ্রিডে আসতে চলেছে রূপপুরের বিদ্যুৎ

Related News

  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা: যা ছিল ঘোষণাপত্রে
  • হেফাজতের দুঃখপ্রকাশকে সাধুবাদ, ভবিষ্যতে নারীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান এনসিপি নেত্রীসহ ছয় নারীর
  • সমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের
  • নারী কেন নারীবিদ্বেষী হন?

Most Read

1
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি

2
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই

3
বাংলাদেশ

‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা

4
আন্তর্জাতিক

১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

5
বাংলাদেশ

জাতীয় গ্রিডে আসতে চলেছে রূপপুরের বিদ্যুৎ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net