Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
July 23, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JULY 23, 2025
তানজিম সাকিব একা, নাকি সমাজে এই মতের মানুষ আরো আছেন! 

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
21 September, 2023, 01:30 pm
Last modified: 21 September, 2023, 01:52 pm

Related News

  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি; দেখুন ভিডিও
  • সমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের
  • নারী কেন নারীবিদ্বেষী হন?
  • পুলিশের ডিজিটাইজেশনে ৪ উদ্যোগ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে চালু হচ্ছে শর্টকোড
  • নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

তানজিম সাকিব একা, নাকি সমাজে এই মতের মানুষ আরো আছেন! 

অশ্লীল ভিডিও, সাকিবের ফেসবুক মতামত (যা তিনি সরিয়ে নিয়েছেন), নরসিংদী স্টেশনে নিজের পছন্দমতো পোশাক পরার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে লাঞ্ছনার ঘটনা, ভিসি স্যারের তালেবানি শাসনকে সমর্থন- সব এক সুতোয় বাঁধা।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
21 September, 2023, 01:30 pm
Last modified: 21 September, 2023, 01:52 pm
অলংকরণ-টিবিএস

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেটটি শিকার করে বেশ হিরো হয়ে উঠেছিলেন তরুণ ক্রিকেটার তানজিম সাকিব। হিরো হওয়ার সাথে সাথে মানুষ তাকে 'ফলো' করতে শুরু করে। আর তাতেই বের হয়ে আসে তার পুরোনো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস। যে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে পড়ে এই তরুণ ক্রিকেটারের এমন সব মন্তব্য যা নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ভুল ধারণাপ্রসূত। আর এই মতামত নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে হৈচৈ পড়ে গেছে।   

তবে প্রথমেই বলে রাখি সাকিব কিন্তু এই মতামতের পক্ষে একা নন। যেমন একদিন আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "আমি ওপেন কালচার চাই না, তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত। আমি এটা নিয়েই থাকতে চাই"। একজন ভিসি যখন এরকম কূপমন্ডুক মন্তব্য করতে পারেন, তখন তরুণ ক্রিকেটার সাকিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আর কী বলার থাকতে পারে। আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে তালেবান শাসকরা নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকারের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা ভয়াবহ। সেই তালেবানের শিক্ষা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বক্তব্য দিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য।

তবে ক্রিকেটার সাকিবের মতামত নিয়ে মানুষ দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একদল বলছেন এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। অন্য দলটি বলছে সাকিব যদি সমাজের পিছিয়ে পড়া কোন সাধারণ মানুষ হতেন, তাহলে তার ব্যক্তিগত মতামত ও সামাজিক মাধ্যমের স্ট্যাটাস নিয়ে হয়তো কিছুই ঘটতো না। কিন্তু খুব সম্প্রতি তিনি ভালো খেলে নাম কামিয়েছেন এবং সাকিব দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেন বলে যখন আমরা সবাই ভাবছি, ঠিক সেই মুহুর্তে তার ব্যক্তিগত মতামতও আলোচনার দাবি রাখে। কারণ ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় খেলাগুলোর একটি এবং শিশু থেকে বুড়ো সবাই ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ফলো করেন। কাজেই ক্রিকেটারদের দায় তৈরি হয়, খেলার মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে সমাজকে সুন্দর ও আলোকিত করার।

আমি অবশ্য দৃষ্টি দিতে চাই সাকিবের এই মানসিকতা কেন তৈরি হলো, সেটার উপরে। হয়তো উনি একজন উদীয়মান ক্রিকেটার বলে তার মতামত নিয়ে তোলপাড় চলছে। কিন্তু যদি দেখতে চেষ্টা করি যে দেশের আর কতজন মানুষ নারী, নারীর পর্দা, চাকরি ও স্বামীর প্রতি আনুগত্য নিয়ে কী কী ধারণা পোষণ করছেন- সাধারণত মানুষ যে পরিবেশে বড় হয়, সেই পরিবেশের ও পরিবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব থাকে তার উপর। এরপর আসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সমাজ, বন্ধুবান্ধব, রাজনীতি ও শিল্প-সংস্কৃতির প্রভাব।

তাই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে পুরো সমাজের উপর, শুধু ক্রিকেটার সাকিবের ঘটনায় নয়। আমরা যদি একটু পেছনের দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারবো দেশে প্রতিনিয়ত, নানাভাবে নারীবিদ্বেষ বাড়ছে। বিষয়টি বুঝতে একটি সাম্প্রতিক জরিপের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। জরিপটির ফলাফলে দেখা গেছে, ১৮ বছরের কমবয়সী দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ছেলে মনে করে, নারীদের বাড়ির বাইরে খুব বেশি বের হওয়া উচিৎ নয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ' বিভাগের গবেষণায় খুব উদ্বেগজনক এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ৫৬.৬৫ শতাংশ ছেলেরা মনে করে যে, পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদেরই চূড়ান্ত মতামত প্রদানের ক্ষমতা থাকা উচিত। ৫৭.৪৫ শতাংশ ছেলে তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণে বলপ্রয়োগের চিন্তা করে থাকে।

১৮ বছরের কমবয়সী প্রায় ৬১.৬৫ শতাংশ ছেলেদের 'শিশু পর্নোগ্রাফি' দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক কিশোরের কাছে পর্নোগ্রাফিই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞানলাভের একমাত্র উৎস বলে গবেষণাটি জানিয়েছে। আমরা জানি যে বাংলাদেশে কিছু নামধারী ধর্মীয় বক্তা তাদের বক্তৃতায় নারীদের সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের মানসিকতাকে প্রভাবিত করেন। এখন যদি তরুণরাও সেই পথে পা বাড়ান, তাহলে তো দেশের মানুষের মগজধোলাই হতে বাধ্য।

২০২১ সালে 'বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজ বিস্তার এবং নারীর প্রতি সহিংসতা' শীর্ষক আরেকটি গবেষণা বলেছে যে দেশীয় অনলাইন ও মিডিয়াতে নারীর প্রতি অবমাননাকর, অশালীন, যৌন আবেদনময় ও পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বা আধেয় বাড়ছে।

নারীর পোশাক বা আচরণ দেখে মুহুর্তেই কোন মেয়েকে 'ভাল মেয়ে' বা 'মন্দ মেয়ে' হিসাবে বিচার করার প্রবণতা বাড়ছে। 'মন্দ মেয়ে' বলে মনে হলে তাদের উপর আক্রমণের মানসিকতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই আক্রমণ করাটাকেও আক্রমণকারীরা যৌক্তিক বলে মনে করেন। যে নারী স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেন, তাদের প্রতি অন্য মানুষ কটুক্তি, সমালোচনা, তির্যক মন্তব্য ও অপমানজনক আচরণ করতেই পারেন, এমনটাই মনে করেন অসংখ্য নারী ও পুরুষ।

আসলে নারীর পোশাকের প্রতি, স্বাধীন আচরণ ও চলাফেরার প্রতি অন্য নারী ও পুরুষের যে ক্ষোভ এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। এর সাথে সম্পর্ক আছে হীনতা, নীচতা, নিজেদের পরাধীন জীবন, চিন্তার বন্দীত্ব, যৌন ঈর্ষা ও নিজের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে অনিরাপদ বোধ (ইনসিকিউরিটি)। অন্য নারীকে পোশাক ও আচরণের জন্য যারা হেয় করেন, সেটা প্রধানত হলো নিজের ভেতরে থাকা নারীবিদ্বেষ (ইন্টার্নালাইজড মিসোজিনি)। আমাদের দেশে ইন্টার্নালাইজড মিসোজিনি বাড়ছে। এই বিদ্বেষ থেকেই ব্যাপক সংখ্যক নারী, নারীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, আর পুরুষ তো আছেনই। তরুণ ক্রিকেটার সাকিব এই দলেরই একজন। 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যদি এতটাই সৎ ও সুফি জীবনযাপন করেই থাকেন, তাহলে ফেসবুকে চলমান অশ্লীল ও নারীকে নির্যাতন করার ভিডিও গেমগুলো লাখ লাখ ভিউ পাচ্ছে কিভাবে? এই ভিডিওগুলো আমাদের সমাজে মানুষের মানসিকতার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে? নাকি মানুষের মনোজগতকে নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক করে তোলার জন্যই তৈরি করা হচ্ছে?

নারী সম্পর্কে নেটদুনিয়াতে যেসব অবমাননাকর আধেয় প্রচারিত হচ্ছে, তা দেখছে বা গ্রহণ করছে অসংখ্য মানুষ। 'গেম' নামের এইসব অশ্লীল প্রডাক্ট সহজে পাচ্ছে গ্রাহকরা। সবচেয়ে বিপদজনক হলো এইসব অনলাইন গেমে নারীর যে ইমেজ দেখানো হয়, তা সমাজে প্রচলিত 'মন্দ মেয়ে'র ইমেজকে আরো শক্তিশালী করে। খেলাচ্ছলে তারা দেখাচ্ছে নারীর প্রতি টিটকারি, অবমাননা, প্রতিশোধ, ভার্চুয়াল সেক্স।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমনটা ঘটছে? কেন বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ নারীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন? কেন কুরুচিপূর্ণ এবং নিম্নমানের চিন্তাভাবনা লালন করছেন মনে? আর কেনইবা বাংলাদেশে পর্নো ম্যুভির কনটেন্ট ঠিক করে দিচ্ছে যে এই সমাজে কে 'ভাল মেয়ে', আর কে 'মন্দ মেয়ে'? এই 'ভালো' বা 'মন্দ' নারীর সাথে সমাজ কী আচরণ করবে সেটাও নির্ধারণ করছে এই সেক্টরটি। অর্থাৎ ডিজিটাল পর্নোগ্রাফির জগৎ সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে একধরণের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে একটা বড় অংশ অশ্লীল ভিডিও গেমস ও দেশীয়ভাবে তৈরি পর্নোগ্রাফি দেখে শুধু অশ্লীলতা আস্বাদনের জন্য নয়। এর চাইতেও বেশি দেখে নারীকে নিন্দা, নির্যাতন ও অপমান করার জন্য। নারীকে নিপীড়নের উপায় খুঁজে বের করার এবং নারীর পিঠে 'মন্দ মেয়ে'র তকমা লাগানোর জন্য।

এসব অশ্লীল ভিডিও, সাকিবের ফেসবুক মতামত (যা তিনি সরিয়ে নিয়েছেন), নরসিংদী স্টেশনে নিজের পছন্দমতো পোশাক পরার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে লাঞ্ছনার ঘটনা, ভিসি স্যারের তালেবানি শাসনকে সমর্থন- সব এক সুতোয় বাঁধা।

এসবই নেতিবাচক ও কুপমন্ডুক পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফল, যে পরিবেশ নব্বইয়ের দশক থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আমাদের সমাজে সুস্থ শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিশু ও যুব সংগঠন, বইপড়ার অভ্যাস, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কার্টুন, নাটক, থিয়েটার, সংগীত, আবৃত্তির অভ্যাস সব কেমন যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে বেড়ে উঠেছে উগ্রবাদী চিন্তা।    

ক্রিকেটার সাকিবের পুরোনো পোস্টগুলোতে যা লেখা ছিল, তা পড়লে বোঝা যায় খুবই অনুদার একটি পরিবেশের প্রভাব রয়েছে তার উপরে। শুধু তাই-ই নয় তার চিন্তার মধ্যেও ভুল রয়েছে। "স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।"

আরেকটি পোস্টে সাকিব লিখেছিলেন, "ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক, নিজের সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না।"

তরুণ ক্রিকেটারের এইসব অবান্তর মতামতের জবাব দেয়া যায় ধরে ধরে। এই দীর্ঘ আলোচনায় আমি যাবো না, শুধু বলতে চাই হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রথম স্ত্রী ও প্রথম মুসলিম নারী বিবি খাদিজা ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ী। এরকম আরো বহু উদাহরণ আছে, যা পড়তে হবে। দেশের সংবিধান, ইতিহাস, শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস ও অর্থনৈতিক মুক্তির উপায় জানতে হবে। পড়াশোনা না করে, পর্ন ও অশ্লীল গেমের দর্শক শ্রোতা হলে চিন্তা কলুষিত হতে বাধ্য।

ইহজগতে নারীকে গৃহবন্দী করার, পরাধীন করার, দাসী বানানোর এবং নানাভাবে খাঁটি মুসলমান বানানোর ও পরকালে বেহেশতে নেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন অনেকে। এই দায়িত্ব তাদের কে দিয়েছে? নিজের কথা ভাবুন, সমাজের সমস্যার কথা ভাবুন, যানজট, জনদুর্ভোগ, শিক্ষার মানোন্নয়ন এসব নিয়ে ভাবুন। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান। দেখবেন আল্লাহ আপনাদের সহায় হবেন।

বুঝতে পারি না কেন সমাজটা এতটা আনন্দবিমুখ হয়ে উঠেছে? কেন আনন্দ উপভোগ করা মানুষদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে আরেকটি শ্রেণি? অন্যের আনন্দ রুদ্ধ করার জন্য সমাজের নেতিবাচক মানসিকতার মানুষগুলো কেন জোট বাঁধছে। অথচ মানুষকে যতো বেশি বিনোদন বিমুখ করে ফেলা হবে, সমাজে অপরাধ ততোই বাড়বে এবং বাড়ছে।

অবদমন একধরণের ভয়ংকর মানসিক ও শারীরিক চাপ তৈরি করে। যারা যত আনন্দ করতে পারেন, নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, জীবনকে উপভোগ করতে পারেন, তারা অপরাধ ততো কম করেন। এই যে আমাদের সমাজে একটা নিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি চালু হয়েছে এবং গোপনে সবকিছুই চলছে, এই কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু-কিশোর ও তরুণরা। নিজের মতো করে ভাল থাকার বিরুদ্ধে আমাদের এই বিপরীত যাত্রা কেন? 

একটি সমাজে যখন বিচারবোধ কমে যায়, তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমতা তৈরি হয়। পাশাপাশি বাড়ে বিষন্নতা, বিরক্তি, আগ্রাসন, অসহিষ্ণুতা ও অবসাদ। সেই সমাজ হয়ে পড়ে ডিমনেশিয়াগ্রস্ত সমাজ। আমরা আনন্দ নিয়ে বাঁচতে চাই, আনন্দের মধ্য দিয়ে দায়িত্বও পালন করে যেতে চাই। চাইনা একটি ডিমনেশিয়াগ্রস্ত সমাজ ও অসুস্থ প্রজন্ম। শেষে এসে আবার বলছি তানজিম সাকিব এই সমাজের একটি চেহারা, বাকিরাও এমনটাই বিশ্বাস করেন। সেই নেতিবাচক অন্ধবিশ্বাস থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পাবো, তা ভেবে দেখা দরকার।

  • লেখক- যোগাযোগকর্মী ও কলামিস্ট

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

তানজিম হাসান সাকিব / নারীর প্রতি সহিংসতা / নারীবিদ্বেষ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল উত্তরার বিমান বিধ্বস্তের দৃশ্য
  • জামিন দিলে সব টাকা শোধ করে দেব, পালিয়ে যাব না: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম
  • “আমি এখানে আর থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো” বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আয়ানের চিৎকার
  • শাড়ির রঙে শনাক্ত: মেয়ে ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীর মা
  • মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সাহায্যে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক স্ট্যাটাস
  • ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ আশ্রয় ‘বাণিজ্যিক বাজুকা’ দাগার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ!

Related News

  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি; দেখুন ভিডিও
  • সমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের
  • নারী কেন নারীবিদ্বেষী হন?
  • পুলিশের ডিজিটাইজেশনে ৪ উদ্যোগ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে চালু হচ্ছে শর্টকোড
  • নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

Most Read

1
বাংলাদেশ

সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল উত্তরার বিমান বিধ্বস্তের দৃশ্য

2
বাংলাদেশ

জামিন দিলে সব টাকা শোধ করে দেব, পালিয়ে যাব না: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম

3
বাংলাদেশ

“আমি এখানে আর থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো” বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আয়ানের চিৎকার

4
বাংলাদেশ

শাড়ির রঙে শনাক্ত: মেয়ে ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীর মা

5
বাংলাদেশ

মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সাহায্যে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক স্ট্যাটাস

6
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ আশ্রয় ‘বাণিজ্যিক বাজুকা’ দাগার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ!

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net