Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 15, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 15, 2025
সবারই 'প্রোফাইল' ভাল, পাঠ্যপুস্তকের ভুল তাই চলতেই থাকবে  

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
18 January, 2023, 02:45 pm
Last modified: 19 January, 2023, 02:20 pm

Related News

  • এনসিটিবি’র সামনে হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা
  • ফেব্রুয়ারিতেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষা উপদেষ্টা 
  • ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠ্যপুস্তক পাবে সব শিক্ষার্থী: প্রেস উইং
  • নতুন বই হাতে পেতে অপেক্ষা, এনসিটিবি’র ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহের পরামর্শ
  • বছরের প্রথম দিনে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা 

সবারই 'প্রোফাইল' ভাল, পাঠ্যপুস্তকের ভুল তাই চলতেই থাকবে  

সত্তর-আশির দশকে স্কুলে পড়ার সময় আমরা যে পাঠ্যপুস্তক বা টেক্সট বই পড়েছি, সেই বই হয়তো আধুনিক ছিল না কিন্তু ভুলে ভরাও ছিল না। সহজ, সরল ও সাদামাটা ধরণের বইগুলোর ছাপা ছিল ম্লান, বইয়ের পাতা ছিল অনুজ্জ্বল ও সস্তা নিউজপ্রিন্টের। সবচাইতে জরুরি পাঠ্যক্রম ছিল স্কুলের এসব বই। সেসময় ইন্টারনেট, গুগল, বিভিন্ন তথ্যসাইট ছিল না। যা শিখতে হতো এই পড়ার বই থেকেই শিখতে হতো। ...মাঝখানে অনেক যুগ পার হয়ে গেছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে নানা সরকার নানাভাবে সাজিয়েছে। যে যেভাবে পেরেছে ইতিহাসের উপর কাঁচি চালিয়েছে। পাঠ্যবই কলেবরে বেড়েছে, কিছু ছবি রঙিন করা হয়েছে, পাতাগুলোও একটু ভাল হয়েছে এবং নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু গুণগত মান কতটা বেড়েছে তা গবেষণার দাবি রাখে।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
18 January, 2023, 02:45 pm
Last modified: 19 January, 2023, 02:20 pm
অলংকরণ- টিবিএস

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান 'অনুসন্ধানী পাঠ' বইয়ের একটি অংশে জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করার বিষয়টা নিয়ে যে শোরগোল শুরু হয়েছে, তা সত্যিই বেশ বড় ঘটনা। বিশেষ করে ড. জাফর ইকবাল স্যারসহ যখন বড় বড় মানুষরা এই বই প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত, তখন কেমন জানি লজ্জাবোধও হচ্ছে। অবশ্য ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মতো মানুষ কাজটার নেতৃত্বে না থাকলে হয়তো এই ভুলগুলোও কোনভাবে পার পেয়ে যেতো। উনি থাকাতে এবং বিষয়টার সাথে 'প্লেজারিজম' বা 'চৌর্যবৃত্তি' বিষয়টির যোগ থাকাতে আলোচনা বাড়ছে।

একথা ঠিক যে গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেই পারি এবং সেই তথ্য আমরা বই অথবা লেখায় ব্যবহারও করতে পারি। জিওগ্রাফিক এডকেশনাল সাইট একটি তথ্যসমৃদ্ধ সাইট। আজকাল অনেকেই এইসব সাইট থেকে তথ্য নেন ও এখানকার ফিচারগুলো দেখতে ভালবাসেন। এরমধ্যে কোন অপরাধ নেই।

কিন্তু অপরাধ হচ্ছে সেইটা, যখন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে কোনরকম রেফারেন্স না দিয়ে হুবহু তথ্য অনুবাদ করে ঢুকিয়ে দেয়া একটি বড় অপরাধ। যদিও এই দায় স্বীকার করে নিয়েছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। কারণ বাংলাদেশে দোষ স্বীকার করার কোন রেওয়াজ নাই। কিন্তু অপরাধ স্বীকার করার পরেও কথা থেকে যায়।

সাইট থেকে হুবহু তথ্য নেয়ার অভিযোগটি সত্য হলেও, গুগলের সাহায্যে অনুবাদ করা হয়েছে সেটা অবশ্য সম্পূর্ণ ঠিক নয়। কোন কোন জায়গার অনুবাদ পড়ে দেখলাম অর্থ মোটামুটি পরিষ্কার কিন্তু অনুবাদ বা লেখাটি আরো অনেক ভালো হতে পারতো। ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে ইংরেজি সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করার একটা আলাদা দক্ষতা প্রয়োজন, শুধু শব্দ লিখলেই চলবে না, মানে থাকতে হবে। এই অনুবাদটা তেমনি ধরনের খটমটে ও বাজে। তবে বইয়ের এই অংশটি ঠিক গুগল অনুবাদ নয়, তাহলে কারো পক্ষে অর্থ বোঝা সম্ভব হতো না।

আমরা জানি একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন। যারা জড়িত থাকেন তারা সবাই শিক্ষাক্ষেত্রের বিশিষ্টজন। তাদের আলোয় আমাদের আলোকিত হওয়ার কথা। সেখানে যদি তাদের কোনরকম দায়িত্বশীলতা না থাকে, তাহলে কী করা উচিৎ!

জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার সাথে যারা জড়িত, তারা কোন একজন বা দু'জন বা কয়েকজন মিলে যদি এইধরণের চৌর্যবৃত্তি ও ফাঁকিবাজি করেন, তাহলে সে অপরাধের জন্য শাস্তি হওয়া উচিৎ। বিভিন্ন জার্নাল, পত্রপত্রিকা থেকে তথ্য নিয়ে নিজের ভাষায় লিখলেও ক্রেডিট দিতে হয়। কিন্তু আমাদের পাঠ্যপুস্তকের এই লেখার কোন ক্রেডিট দেয়া হয়নি। ভাবটা এমন এটা উনিই বা ওনারা লিখেছেন।

জাফর ইকবাল স্যার ও হাসিনা খান বলেছেন পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে। বাংলাদেশে একবার কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে গেলে, তা পরিমার্জন হয় কিনা বা কবে হবে আমাদের জানা নেই। সবচাইতে বড় কথা সম্পাদকের একটা দায়িত্ব আছে, সেই দায়িত্বের মধ্যে ছাপাখানার ভুল থেকে শুরু করে তথ্যগত ভুল সবই পড়ে। এই ভুলের দায়িত্ব জাফর ইকবাল স্যারকেই বহন করতে হবে।

আমরা মনে করি, এই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে পাঠ্যবইয়ের মতো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশের আগে তড়িঘড়ি করা উচিৎ নয়। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে ভুল করা এবং নিম্নমানের টেক্সট রচনা করাও উচিৎ নয়। কারণ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই আমাদের মূল শক্তি। তাদেরকে ভুল বা আংশিক বা মিথ্যা তথ্য দেয়া অপরাধ। এখন হয়তো এই ভুলটা বা চুরিটা ধরা পড়েছে। শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের চোখে যে ভবিষ্যতে আরো ভুল ধরা পড়বে না, তা বলা যায় না।

সত্তর-আশির দশকে স্কুলে পড়ার সময় আমরা যে পাঠ্যপুস্তক বা টেক্সট বই পড়েছি, সেই বই হয়তো আধুনিক ছিল না কিন্তু ভুলে ভরাও ছিল না। সহজ, সরল ও সাদামাটা ধরণের বইগুলোর ছাপা ছিল ম্লান, বইয়ের পাতা ছিল অনুজ্জ্বল ও সস্তা নিউজপ্রিন্টের। সবচাইতে জরুরি পাঠ্যক্রম ছিল স্কুলের এসব বই। সেসময় ইন্টারনেট, গুগল, বিভিন্ন তথ্যসাইট ছিল না। যা শিখতে হতো এই পড়ার বই থেকেই শিখতে হতো।

এই অনাকর্ষণীয় বইগুলোই ছিল আমাদের সম্বল। যেহেতু অন্য কোন দেশের বই বা সেসময়ের ইংরেজি মাধ্যমের আধুনিক ও উন্নত বই দেখিনি, তাই ১২/১৪ বছর ধরে আমাদের পাঠ্যপুস্তকই ছিল অমূল্য। আমি স্মরণ করতে পারছি ইংরেজি ও অংক বইটা বেশ দুর্বল ও গোলমেলে ছিল। আমরা অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী যেটুকু ইংরেজি শিখে বড় হয়েছি, সেগুলো ছিল গড়পড়তা। অংকও ছিল বেশ খটমটে এবং আকর্ষণবিহীন। বাকি বইগুলো চলনসই ধরণের।

কিন্তু ঐ বই পড়েই আমরা বড় হয়েছি। আব্বার সাথে যদি কখনো পরীক্ষার সাজেশন বিষয়ে কথা বলতাম, আব্বা একটি কথাই বলতো, টেক্সট বুক পুরোটা পড়। ঐটাই আসল। সবকিছুর উত্তর সেখানেই পাবে। সেভাবেই চললো স্কুল জীবন। কলেজে উঠে কিছু রেফারেন্স বই হাতে পেয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে পেলাম চমৎকার মলাটের ও গ্লসি পাতার বই।

মাঝখানে অনেক যুগ পার হয়ে গেছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে নানা সরকার নানাভাবে সাজিয়েছে। যে যেভাবে পেরেছে ইতিহাসের উপর কাঁচি চালিয়েছে। পাঠ্যবই কলেবরে বেড়েছে, কিছু ছবি রঙিন করা হয়েছে, পাতাগুলোও একটু ভাল হয়েছে এবং নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু গুণগত মান কতটা বেড়েছে তা গবেষণার দাবি রাখে।

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রতিটি বইয়ের জন্য লেখক-সম্পাদক থাকেন ১২-১৪ জন। বিষয় বিশেষজ্ঞ থাকেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও দেখেন। তাহলে এত দুর্দশা কেন? ওনারা কি কিছুই পরীক্ষা করেন না? করলে ভুল থাকে কেমন করে? 'সময় কম ছিল বলে এই ভুল হয়েছে', এই অজুহাত আর চলে না।

পাঠ্যবইয়ের ভুল বেশি চোখে পড়ে অভিভাবকদের, যারা নিজেরা সন্তানকে পড়ান। কিছু কবিতার কথা পর্যন্ত পাল্টে দেয়া হয়। বানান অন্যরকম হয়ে যায়, অসচেতন শব্দ ব্যবহার করা হয়, তথ্য আপগ্রেডেড হয় না, তথ্যগত অসংগতিও থাকে। পাঠ্যবই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে গিয়ে পৌঁছায়, সেখানে ভুল থাকলে কত বড় ক্ষতি হয়, তা সহজেই অনুমেয়।

ভারতের কিছু বই কয়েকটি স্কুলে পড়ানো হয়, সেখানে রুপির হিসেবে অংক করানো হচ্ছে। দেশের বিজ্ঞানী, নেতা, কবি, সাহিত্যিক এসব বাদ দিয়ে ভারতীয়দের কাহিনী পড়ানো হচ্ছে। জানার মধ্যে কোন অন্যায় নেই, কিন্তু দেশী চরিত্রগুলো কোথায় গেলো? ভারতীয় বই হলে তো সেদেশের নাম পরিচয়, অংকই থাকবে। কিন্তু তা কতটা পড়াবো, কিভাবে পড়াবো এ আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। একেক স্কুলে যে একেক ধরণের পাঠ্যবই অনুসরণ করা হচ্ছে, তা দেখার জন্য কি কোন কর্তৃপক্ষ আছে? থাকলে এদিকে কেউ নজর দেয় না কেন?

যারা পাঠ্যবই লিখছেন, যারা তথ্য সম্পাদনা করছেন, যারা ভাষার ব্যবহার দেখছেন, যারা প্রুফ রিডিং করছেন, তারা যদি একসাথে বসে অর্থাৎ সমন্বিতভাবে পাঠ্যবই প্রণয়নের কাজটি করেন, তাহলে অনেক ভুলই সংশোধন করে নেওয়া সম্ভব। তথ্য ব্যবহার করার সময় রেফারেন্স উল্লেখ করলে, অসুবিধা কোথায়? আধুনিক সিস্টেম অনুযায়ী সব লেখায়, বইতে রেফারেন্স ব্যবহার করা উচিৎ। আসলে পাঠ্যপুস্তক রচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটি খুব অবহেলার মধ্য দিয়ে হয়, আর সেকারণেই বছরের পর বছর ভুল থেকেই যায়।

আমরা যারা কাজের প্রয়োজনে রিপোর্ট লিখি বা কোন কেস স্টাডি লিখি, তাদের বলে দেয়া হয়, যে যার মতো লিখলেও ছকবদ্ধভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে দেখলে বোঝা যায় সবগুলো লেখার মধ্যে একটা স্টাইল অনুসরণ করা হয়েছে এবং কোন ধরণের অসঙ্গতি নেই। সেখানে পাঠ্যবইয়ে অসংগতি থেকেই যাচ্ছে। একেক বইয়ে একেক ধরনের তথ্য থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হতেই পারে।

এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ কতটা সময় দেয় একটি নির্ভুল, সুন্দর পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের পেছনে? লেখক, সম্পাদকদের সম্মানীর পরিমাণটাও শুনেছি কম। লেখক, সম্পাদকরাই বা কতটা সময় ও মনোযোগ দেন? যদি তাদের হাজার কাজের মধ্যে একটি কাজ হয় পাঠ্যপুস্তক রচনা, তাহলে তো এরকমই হবে।

নিছক উদাসীনতা থেকে শিশুদের ভুল কিছু শেখানোটা রীতিমত অপরাধ। এর শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমি জানি না বিশ্বের আর কোন দেশে শিশুদের পাঠ্যবইতে ভুল থাকে কিনা! এমনকি আমাদের দেশের ইংরেজি মাধ্যমের বই, যেগুলো বিদেশ থেকে আসে, সেগুলোও ভুল শূন্য। 

সবসময়ই দেখে আসছি নতুন পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ শুরু হওয়ার পর ঘুম ভাঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের। সমালোচনার মুখে পড়া ভুলগুলো সংশোধনের পাশাপাশি নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই পরিমার্জনের দায়িত্বও দেওয়া হয় একটি কমিটিকে। এনসিটিবি এখন কীভাবে এই ভুল শুধরাবে? এতগুলো বই ত্রুটিমুক্ত করে পুনরায় তা ছাপিয়ে দেশের আনাচে-কানাচে থাকা ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেয়া কতটা সম্ভব?

অবশ্য এনসিটিবির পক্ষ থেকে বলা হয় যে আমরা যেসব ভুল পাব, তা রেকটিফিকেশন লেটার (সংশোধনী চিঠি) দিয়ে প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাব। ওনাদের বলব, সেগুলো প্রিন্ট করে প্রতিটি স্কুলে দিয়ে দিতে, যেন শিক্ষকরা পড়ানোর সময় ঠিক করে পড়ান। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বিতরণ করা মাধ্যমিক স্তরের তিনটি বইয়ে ৯টি ভুলভ্রান্তির সত্যতা পেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এজন্য ভুলগুলো সংশোধন করে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। কী একটা আজব পদ্ধতি চালু করেছেন তারা!

যারা শিশুদের জন্য বই লিখছেন, তাদের অবশ্যই শিশুর বুদ্ধি বিকাশের বিভিন্ন স্তর, তাদের শব্দ গ্রহণ ক্ষমতা, শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ, প্রয়োজনীয় তথ্য ইত্যাদি বিষয় ভেবেই বই প্রকাশনার কাজে হাত দেয়া উচিৎ।

পাঠ্যবইতে ভুল নিয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়, তারা সময় নিয়ে পর্যালোচনা করেন, এরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তারপর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বা হয়। এটা নতুন নয়, প্রতিবছরই এমনটা হয় কিন্তু দোষীরা চিহ্নিত হয় না, তাদের কোন শাস্তি হয় না। ভুল বারবার হতে দেখে পাঠ্যবই প্রণেতাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, আর তারা ভুলে ভরা পাঠ্যবই শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নিছক উদাসীনতা থেকে শিশুদের ভুল কিছু শেখানোটা রীতিমত অপরাধ। এর শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমি জানি না বিশ্বের আর কোন দেশে শিশুদের পাঠ্যবইতে ভুল থাকে কিনা! এমনকি আমাদের দেশের ইংরেজি মাধ্যমের বই, যেগুলো বিদেশ থেকে আসে, সেগুলোও ভুল শূন্য। 

দেশে কি এমন যোগ্য লোক নেই যারা শুদ্ধ বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান জানেন? এমন মানুষ কি নেই যারা শিশুদের জন্য, শিশুদের মতো করে বই লিখতে পারেন? এমন মানুষ নেই যারা শিশুদের জন্য শিশুতোষ, ভালো লেখা যাচাই-বাছাই করতে পারেন?

পাঠ্যবইয়ে প্রতিবারই ভুল থাকে- এমন প্রশ্নের জবাবে যখন কর্তৃপক্ষীয় পর্যায় থেকে বলা হয়, প্রতিবারই আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করি, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। প্রতিবছর ভুল সারানোর চেয়ে ভুল যেন না হয়, সেটাই তো গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ।

অবশ্য এই ভুল হওয়া নিয়েও কর্তৃপক্ষের দায়সারা ব্যাখ্যা আছে। তারা যাদের দিয়ে বই লিখিয়েছেন তাদের প্রোফাইল ভালো, যাদের দিয়ে যৌক্তিক মূল্যায়ন করানো হয় তাদের প্রোফাইল ভালো এবং যাদের দিয়ে পরিমার্জনা করানো হয়েছে তাদেরও প্রোফাইল ভাল। সবাই নাকি 'হাই ক্লাস লোক'। এখানে ভুল হলে ওনারা কী করবেন? কথা সত্য। এর মানে ভুল চলতেই থাকবে।   

  • শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
     

Related Topics

টপ নিউজ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) / পাঠ্যবইয়ে ভুল / পাঠ্যবই

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার
  • আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার
  • ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

Related News

  • এনসিটিবি’র সামনে হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা
  • ফেব্রুয়ারিতেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষা উপদেষ্টা 
  • ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠ্যপুস্তক পাবে সব শিক্ষার্থী: প্রেস উইং
  • নতুন বই হাতে পেতে অপেক্ষা, এনসিটিবি’র ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহের পরামর্শ
  • বছরের প্রথম দিনে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা 

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা

3
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

4
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

5
বাংলাদেশ

আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার

6
আন্তর্জাতিক

ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net