Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
June 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JUNE 13, 2025
তাদের স্মৃতিতে লতা মঙ্গেশকর…  

বিনোদন

টিবিএস ডেস্ক
07 February, 2022, 03:30 pm
Last modified: 07 February, 2022, 03:55 pm

Related News

  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে
  • ৭ ম্যাচে ৭৫২ রান, গড়ও ৭৫২; করুন নায়ারে মুগ্ধ শচীন
  • ভারতের এই শিশুটিকে যেভাবে অনলাইনে ক্রিকেট তারকা বানালেন শচীন টেন্ডুলকার
  • গোলাপী এখন কোথায়?
  • ৬৪ বছর আগে এ গানে খরচ হয় ১ কোটি রুপি, লিরিক লেখা হয় ১০৫ বার, গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর

তাদের স্মৃতিতে লতা মঙ্গেশকর…  

হৃদয়ে শোক নিয়েই কিংবদন্তী শিল্পীর সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করেছেন অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। শর্মিলা ঠাকুর বলেন, "লতাজির যেমন ছবি তোলার শখ ছিল, তেমনই উনি ক্রিকেটের বড় ভক্ত এবং সমঝদার ছিলেন। পাটিয়ালার ধ্রুব পাণ্ডব স্টেডিয়ামে আমরা একসঙ্গে বসে কত ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ম্যাচ যে দেখেছি।"
টিবিএস ডেস্ক
07 February, 2022, 03:30 pm
Last modified: 07 February, 2022, 03:55 pm
ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

সত্তর বছর ধরে সিনেমার অভিনেতা, নির্মাতা, সুরকার, এমনকি দর্শকও বদলেছে। থেকে গিয়েছে একমেবাদ্বিতীয়ম সেই স্বর্গীয় কণ্ঠ। প্রতি প্রজন্মের নায়িকার থিম সং তারই। নার্গিস (পেয়ার হুয়া), মধুবালা (পেয়ার কিয়া তো), মীনাকুমারী (চলতে চলতে), মালা সিনহা (আপকি নজ়রোঁনে), ওয়াহিদা (আজ ফির), বৈজয়ন্তীমালা (হোঁটো মে অ্যায়সি বাত), শর্মিলা (আবকে সাজান), জয়া (ম্যায়নে কাহা ফুলোসে), রেখা (পরদেশিয়া) শ্রীদেবী (ম্যায় নাগিন), মাধুরী (দিদি তেরা), কাজল (তুঝে দেখা), ঐশ্বর্য (হামকো হামিসে)... নায়িকার রূপ বদলেছে, কিন্তু একই স্বর নদী হয়ে সুরে প্লাবিত করেছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি… হ্যাঁ, তিনিই লতা মঙ্গেশকর।

সুরসম্রাজ্ঞী ও ভারতের কোকিলকন্ঠী প্রয়াত হয়েছেন গতকাল রবিবার। দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই কিংবদন্তীর সঙ্গে কাটানো ছোট ছোট মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করেছেন অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। সবার সঙ্গেই যেন মাটির মানুষ হয়ে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর; সুরের মূর্ছনায় পুরো বিশ্ব মাতানোর ক্ষমতা থাকলেও বিনয় ছিল তার ভূষণ।

লতা মঙ্গেশকরের সবচেয়ে কাছের মানুষদের একজন ছিলেন তারই আপন বোন আশা ভোঁসলে। সঙ্গীতে যদিও দুজনের যাত্রাপথ আলাদা, তাদের রেষারেষি নিয়েও কম চর্চা হয়নি। তবুও 'মন কিউ বেহকা রে বেহকা আধি রাত কো...'র সুরে দুই বোনের কণ্ঠ পর্দায় মায়াবী করে তোলে এক রাতের দৃশ্য। লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের সুরে লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের দ্বৈত সঙ্গীত। তবে একসঙ্গে খুব বেশি গানে গলা মেলাননি দুই বোন।

অপরিণত বয়সে বাবার চলে যাওয়া এবং সংসারের দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ায় বোধহয় একটু বেশি রক্ষণশীল হয়ে পড়েছিলেন লতা। তাই মাত্র ১৬ বছর বয়সে আশা ভোঁসলের বিয়ে করার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়েই অভিমানের চোরা স্রোত বইছিল দুজনের মধ্যে। কিন্তু ছোটবেলায় তিনিই দিদির 'প্রিয়' বোন ছিলেন। নাসরিন মুন্নি কবীরের সাক্ষাৎকারভিত্তিক বই 'লতা মঙ্গেশকর: ইন হার ওন ভয়েস'-এ আশা লিখছেন, ''ছোটবেলায় ভাইবোনদের মধ্যে আমিই ছিলাম দিদির সবচেয়ে কাছের। আমাকে কোলে নিয়ে ছুটে বেড়াত সারাক্ষণ।'' 'সেকেন্ড বেস্ট' তকমা নিয়েও বোনকে শিল্পী হিসেবে কোন জায়গায় রাখতেন আশা, তারও আভাস মিলেছে এই বইয়ে।

লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

হিন্দি প্লেব্যাকে সুরাইয়া-শমশাদ পরবর্তী সময়ে যেমন 'পাতলি আওয়াজ়' নিয়েও জায়গা তৈরি করে নিচ্ছিলেন লতা, অন্য দিকে স্বকীয়তায় গীতা দত্তের শূন্যস্থান পূরণ করছিলেন আশা। যশ চোপড়া একবার বলেছিলেন, ''আমার ছেলের (আদিত্য চোপড়া) প্রথম ছবি 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'র জন্য লতাজির কাছেই প্রথম যাই। তিনি বলেছিলেন, 'জারা সা ঝুম লু ম্যায়' ভালো গাইবে আশা।'' 'গান কেড়ে নেওয়া'র বিপরীতে এমন উদাহরণও ছিল। আর সেই কারণেই তাঁদের নামের পাশে প্রথম বা দ্বিতীয়র র‍্যাংকিং চলে না। সেই কারণেই তাঁরা কিংবদন্তী।

লতা মঙ্গেশকরের সাথে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কথা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন। ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে রানু মুখোপাধ্যায়। তার মুখেই শোনা যাক সেকথা, "আমার যখন কার্যত চোখ ফোটেনি, তারও আগে থেকে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত লতাজির।  মুম্বাইয়ের খার অঞ্চলের গীতাঞ্জলি ছিল আমাদের বাংলো। লতাজি, আশাজি (আশা ভোঁসলে), গীতা মাসি (দত্ত) নিয়মিত আসতেন। অনেক গান-বাজনা হত। সুবীরকাকু (সেন) আসতেন সপরিবারে। আসলে, বাবাকে (হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়) এরা প্রত্যেকে খুব ভালবাসতেন। তাই ডাকলে, এমনকি অনেক সময়ে না ডাকলেও, বাড়িতে চলে আসতেন।

শুনেছি আমার জন্মের আগে বাড়িতে একটি বড় অনুষ্ঠান হয়েছিল। পন্ডিতজি ছিলেন সেখানে। রাজ কাপুর ছিলেন মুখ্য অতিথিদের মধ্যে। সেখানে লতাজি বাবা-মায়ের ঘরে এসে মাটিতে বসে গান গেয়েছিলেন। বাবা বাজিয়েছিলেন হারমোনিয়াম। অনেকে জানেন না, লতাজি 'আনন্দঘন' ছদ্মনামে চারটি মারাঠি ছবির গানে সুর দিয়েছিলেন। আরও একটি বিষয় সম্পর্কেও মানুষ হয়তো তেমন অবগত নন; তা হলো লতাজি ছিলেন খুব ভালো একজন ফটোগ্রাফার। যারা উনার তোলা দেখেননি, তারা বিশ্বাস করতে পারবেন না যে, ক্যামেরা হাতে পেলে, সাদা-কালোয় কি ম্যাজিক তৈরি করতে পারতেন লতাজি! আমার বোধহয় তখন বছর তিনেক বয়স। মাসিরা আমায় শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিল। লতাজি এসে সেদিন বেশকিছু ছবি তুলে দিয়েছিলেন আমার, যা অমূল্য সম্পদ।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সাথে লতাজি। ছবি: সংগৃহীত

বাবাকে এতটাই শ্রদ্ধা করতেন লতাজি যে বাবার 'হোম প্রোডাকশনের' রেকর্ডিংয়ে কোনোদিন একটা টাকাও নেননি। একবার বাবার প্রযোজনায় এবং হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'বিবি অউর মকান' গানের রেকর্ডিংয়ে সত্যজিৎ রায় এসেছিলেন। সৌমেন্দু রায় ছিলেন ছবির ক্যামেরায়, সেই সূত্রেই সম্ভবত। সে দিন রেকর্ডিংয়ে ছিল লতাজি আর আশাজির ডুয়েট। সত্যজিৎ রায় আগ্রহ নিয়ে রেকর্ডিং তো শুনলেনই, একই রকম উৎসাহ নিয়ে লতাজির সঙ্গে ছবিও তুললেন। আরো অনেক ছবি তোলা হয়েছিল সবাই মিলে। অপূর্ব সে সব ছবি। 
বাড়ি বদলের কারণে পরে অনেক ছবি হারিয়ে গিয়েছে। এই ক্ষতি সত্যিই পূরণ হওয়ার নয়। তবে ছবি হারালেও, কোটি কোটি ভারতবাসীর মতো আমার হৃদয়েও লতাজি থেকে যাবেন আজীবন।"

লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিচারণ করেছেন আরও এক সুহৃদ, পশ্চিমবঙ্গের গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই লতা মঙ্গেশকরের গান শুনে বড় হয়েছেন তিনি। আরতি বলেন, "চৌদ্দ বছর বয়সে অল ইন্ডিয়া মেট্রো-মার্ফি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম। সেখান থেকেই লতা দিদির সাথে পরিচয়, প্রতিযোগিতার পর মান্নাদাকে বললাম গ্রিনরুমে দিদির সাথে দেখা করবো। এরপর থেকে আমার লতাদির বাড়িতে যাতায়াত লেগেই থাকতো, আমার কাছে মুম্বাই মানেই ছিল লতা মঙ্গেশকর। মুম্বাই গিয়ে যদি দেখা না করতাম, রাগ করতেন। একবার এক গানের রেকর্ডিংয়ে গিয়েছি। হেমন্তদাকে (মুখোপাধ্যায়) বললেন, 'আরতি এসেছে? আমার সঙ্গে দেখা করতে এলো না তো! ওকে বোলো আমার সঙ্গে দেখা করে যেতে।'

সবার সাথে যোগাযোগ রাখতেন লতাদি। কারও কিছু হলে পাশে দাঁড়াতেন। আমি মু্ম্বাই গেলে আমার কাছ থেকে কলকাতার সকলে কেমন আছেন, সন্ধ্যাদি (মুখোপাধ্যায়) কেমন আছেন খবর নিতেন। এটা ওর খুব বড় গুণ ছিল। আর সবার জন্য অনেক করেছেনও। অনেক নতুন পরিচালকের ছবিতেও গান গেয়েছেন। দিদির গানের জন্যই ছবি হিট হয়ে যেত। তার জন্য যে বিশাল পারিশ্রমিক পেয়েছেন, তা তো নয়। এখনকার শিল্পীদের তুলনায় তখন পারিশ্রমিক কতই ছিল! কিন্তু দিদি মানুষের জন্য এগুলো করতেন।"

ক্লাসিক্যাল মিউজিশিয়ান ওস্তাদ রশিদ খানের স্মৃতিতেও লতাজি অমলিন। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে এই বিখ্যাত শিল্পী বলেন, "জীবনে আল্লাহর কাছ থেকে যা যা পেয়েছি, তার মধ্যে একটি বিশেষ সৌভাগ্য হলো স্বয়ং লতাজির কাছ থেকে গান তোলা। জানি না কতটা কী গাইতে পেরেছি, কিন্তু আমার গানের একজন শিক্ষক লতা মঙ্গেশকর। একটি বৈষ্ণব ভজন কী করে গাইতে হবে ভাবতে ভাবতেই লতাদিদির শরণাপন্ন হওয়া। তখন তো আমি কলকাতায়, উনি মুম্বাইয়ে। কিন্তু ফোন করতেই লতাজি অকৃপণ। ফোনেই আদর করে আমায় পুরো ভজনটা তুলিয়ে দিলেন।

এই তো ২০১৪ সালেই গোয়ায় আমার অনুষ্ঠানে একেবারে সামনে বসে দেড়-দুই ঘন্টা আমার গান শুনেছেন লতাজি এবং উনার ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের পুরো পরিবার। এরপরে উইংসের ধারে উঠে এসে যা বললেন তা ভাবলে আজও শিহরণ হয়! লতাজি আমায় বললেন, ''খাঁ সাহাব কেয়া আচ্ছি আওয়াজ আপকো দি হ্যায়!"

লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে এই কিংবদন্তীর স্মৃতিচারণ করেছেন একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। জানালেন, "লতাজির গানের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সফরও দীর্ঘ। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, এমন কত গানে যে 'লিপ দিয়েছি' তার ইয়ত্তা নেই। 'অমর প্রেম' ছবিতে রাহুলদেব বর্মণের সুরে 'রায়না বিত যায়ে' যিনি এক বার শুনেছেন, তিনি কি তা ভুলতে পারবেন কখনও? ওই ছবিতেই তার গাওয়া 'বড়া নটখট হ্যায় রে কৃষ্ণ কানহাইয়া' গানটিও আমার বড় প্রিয়।

লতাজীর সাথে বহুদিনের স্মৃতি আমার, বহুদিনের পারিবারিক যোগাযোগ। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই টাইগার (মনসুর আলি খান পতৌদি) ছিল লতাজির গানের ভক্ত। তালাত মাহমুদ, মহম্মদ রফির পশাপাশি ওকে তন্ময় হয়ে লতা মঙ্গেশকরের গান শুনতে দেখেছি। লতাজির রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় গিয়ে ছবি তুলেছে টাইগার। দুর্দান্ত সেই সব ছবি। আমাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

লতাজির যেমন ছবি তোলার শখ ছিল, তেমনই উনি ক্রিকেটের বড় ভক্ত এবং সমঝদার ছিলেন। গানের বাইরে তার আগ্রহ-উৎসাহ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে। আর সেই প্রত্যেকটি বিষয়েই তিনি ছিলেন অসম্ভব 'সিরিয়াস'। পাটিয়ালার ধ্রুব পাণ্ডব স্টেডিয়ামে বসার খুব সুন্দর ব্যবস্থা ছিল, পৃথক এনক্লোজ়ারে। ওখানে আমরা একসঙ্গে বসে কত ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ম্যাচ যে দেখেছি। আজ সেই সব স্মৃতিই বারবার ফিরে আসছে।"

শচিনদেব বর্মণ এবং রাহুলদেব বর্মণের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত

ওস্তাদ আমজাদ আলি খান স্মৃতিচারণ করে বলেন, "লতা মঙ্গেশকর ছিলেন আমার বড় বোনের মতো। এতটা খ্যাতিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন ভীষণ উদার, বিনম্র এবং বিনয়ী। আমার স্ত্রী শুভলক্ষ্মীকে সবসময় 'ভাবী' বলে সম্মান দিয়ে সম্বোধন করতেন। বাহু-মা বা বৌমা বলতেই পারতেন চাইলে, কিন্তু তা না বলে 'ভাবী' বলেই ডাকতেন। দিল্লিতে উনি আমার বাড়ি এসেছেন, আমরা অনেক বার গিয়েছি মুম্বাইয়ে উনার বাড়ি প্রভুকুঞ্জে। উনার পুরো পরিবারের সঙ্গেই আমাদের বরাবরের সুসম্পর্ক।

শর্মিলা ঠাকুর যেমনটা বলেছেন, ক্রিকেটের প্রতি লতার ভালবাসার কথা অজানা নয়। শচীন টেন্ডুলকারের প্রতি নিজের টানের কথাও বারবার বলেছেন। শচীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক যে কতখানি আন্তরিক ছিল, তা জানিয়েছিলেন লতা। বলেছিলেন, ''শচীন আমাকে মায়ের মতোই ভালবাসেন। আমিও মায়ের মতোই ওঁর জন্য প্রার্থনা করি। প্রথম যে দিন আমাকে 'আই' (মা) বলে ডেকেছিলেন... সে দিনটি কখনও ভুলব না। আমার মনে হয়েছিল, ওঁর মতো ছেলে পাওয়া সৌভাগ্য।"

পুত্রস্নেহ থাকলেও শচীনের জন্মদিন কখনো উদ্যাপন করা হয়ে ওঠেনি। কারণও জানিয়েছিলেন লতা। একবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ''শচীনের জন্মদিন ২৪ এপ্রিল। সেদিন আমার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুবার্ষিকী। তাই ওই দিনটিতে আমাদের কখ্নো দেখা হয়নি। একবার তো আমরা ২৩ এপ্রিল দেখা করেছিলাম।" শচীনই যে প্রকৃত অর্থে 'ভারতরত্ন'— সে কথাও বহু বার বলেছেন তিনি।

লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাহত রূপঙ্কর বাগচী, অনুপম রায়, লোপামুদ্রা মিত্রর মতো সঙ্গীত শিল্পীরাও।

ফোনে রূপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমেই তার বক্তব্য, ''যেন সদ্য মাতৃহারা হলাম। যে কোনও সন্তান সদ্য মাকে হারালে যে ভাবে যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে ওঠে, আমার সেই অবস্থা। ভাষায় বোঝাতে পারছি না।''

লোপামুদ্রা মিত্র স্মরণ করলেন কিংবদন্তীকে, ''সবসময়ের আফসোস, কোনোদিন সরাসরি কিশোর কুমারকে দেখতে পাইনি। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা সেই আক্ষেপ যেন কিছুটা মিটিয়েছিল। লতাজির সঙ্গে তাঁর সব বোনেরা সেদিনের মঞ্চে ছিলেন। যদিও সেদিন কথা হয়নি। কিন্তু ঈশ্বরের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে জীবন সার্থক হয়েছিল।''

প্রিয় শিল্পীর প্রয়াণে বাকরুদ্ধ জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী অনুপম রায়। অনুপম বরাবরই স্বল্পবাক। এদিন তার আফসোস, ''ওঁর সময়ে জন্মালে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেতাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ জন্মে সেই সাধ পূরণ হল না।'' লতাজিকে তাই তাঁর গানেই বিদায় জানানো ছাড়া উপায় নেই।

রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৯২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়েছেন কোটি কোটি মানুষের প্রিয় শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। আর পেছনে ফেলে রেখে গেছেন শচীন, শর্মিলা, আমজাদ খান প্রমুখের মতো অসংখ্য গুণগ্রাহী, যাদের ভালোবাসায় অমর হয়ে থাকবেন এই সুরসম্রাজ্ঞী।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা          
 

Related Topics

টপ নিউজ

লতা মঙ্গেশকর / স্মৃতিচারণ / আশা ভোসলে / শচীন টেন্ডুলকার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক, ১ জনকে জীবিত উদ্ধার
  • দেশেই কোচ অ্যাসেম্বল করতে তিন কারখানার আধুনিকায়নে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রেলের
  • চুক্তি 'হয়ে গেছে', চীন দেবে বিরল খনিজ, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে পারবেন চীনা শিক্ষার্থীরা: ট্রাম্প
  • এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট দুর্ঘটনা: ফের আলোচনায় মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং
  • এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের শেয়ারদরে ৮ শতাংশ পতন
  • আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত; দেখুন ভিডিও

Related News

  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে
  • ৭ ম্যাচে ৭৫২ রান, গড়ও ৭৫২; করুন নায়ারে মুগ্ধ শচীন
  • ভারতের এই শিশুটিকে যেভাবে অনলাইনে ক্রিকেট তারকা বানালেন শচীন টেন্ডুলকার
  • গোলাপী এখন কোথায়?
  • ৬৪ বছর আগে এ গানে খরচ হয় ১ কোটি রুপি, লিরিক লেখা হয় ১০৫ বার, গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক, ১ জনকে জীবিত উদ্ধার

2
বাংলাদেশ

দেশেই কোচ অ্যাসেম্বল করতে তিন কারখানার আধুনিকায়নে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রেলের

3
আন্তর্জাতিক

চুক্তি 'হয়ে গেছে', চীন দেবে বিরল খনিজ, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে পারবেন চীনা শিক্ষার্থীরা: ট্রাম্প

4
আন্তর্জাতিক

এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট দুর্ঘটনা: ফের আলোচনায় মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং

5
আন্তর্জাতিক

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের শেয়ারদরে ৮ শতাংশ পতন

6
আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত; দেখুন ভিডিও

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net