আলোচনার পর মাদক আর মদ আলাদা করার সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদক থেকে মদকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
হাইকোর্ট সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় 'অ্যালকোহল'কে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে।
মদকে মাদকদ্রব্য আইনে শ্রেণিভুক্ত করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা আইন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ সচিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "মদ ও অ্যালকোহলকে মাদক বলে চিহ্নিত করা আছে। যেহেতু আদালত থেকে নির্দেশনা এসেছে, এখন এটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।"
"লিকারকে কীভাবে আলাদা দেখা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে জানাবো। আবার বসে ঠিক করব।"
মন্ত্রী জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে । সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সভায় মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে 'চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র' করার প্রস্তাব এসেছে। কারণ মাদকসেবীরা ৭০ শতাংশের ওপরে সুস্থ হয় না।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের সময় 'ডোপ টেস্ট' বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় মাদকসেবীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, দেশে চার লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মাদক মামলা রয়েছে। এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে।
"সীমান্তে সমন্বিত ব্যবস্থায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ এসেছে। অনলাইনে মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে, কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।"