Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
May 19, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, MAY 19, 2025
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টেটাযুদ্ধের নেপথ্যে ভয়ঙ্কর বাণিজ্য

বাংলাদেশ

নুরুল আমিন
30 January, 2021, 09:25 am
Last modified: 07 May, 2023, 06:27 pm

Related News

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫, বাড়িঘর ভাঙচুর
  • শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ: অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৮
  • ফরিদপুরে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ঢাকা কলেজ আর সিটি কলেজের নিত্য লড়াইয়ের নেপথ্যে কী?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টেটাযুদ্ধের নেপথ্যে ভয়ঙ্কর বাণিজ্য

যে কোন সংঘর্ষের আগে গোষ্ঠীপ্রধানরা দরবারে বসেন। টেটাযুদ্ধের সিদ্ধান্তের পর মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। মাইকের ঘোষণা শুনে হাতে টেটা-বল্লম, আবার কারো হাতে গুলতি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের প্রতি ধেয়ে যান তারা। ঘরের নারীদের সঙ্গে থাকে মরিচের গুঁড়া।
নুরুল আমিন
30 January, 2021, 09:25 am
Last modified: 07 May, 2023, 06:27 pm

তিতাস নদীর দু'পারের শান্ত গ্রাম। কৃষি কাজ ও ব্যবসা করে জীবন-সংসার চলে এখানকার অধিকাংশ মানুষের। সহজ-সরল গ্রামের মানুষগুলোকে দেখে বোঝার উপায় নেই টেটা হাতে কতটা হিংস্র তারা।

এই রক্তক্ষয়ী টেটাযুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর বাণিজ্য। গোষ্ঠী প্রধানদের আধিপত্য ধরে রাখা এবং রমরমা বাণিজ্যের কারণে এই অঞ্চলে টেটাযুদ্ধ চলছে প্রায় একশত বছর ধরে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে প্রায় ৩০ বছর ধরে। অরুয়াইল বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত ছয় বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

২০১২ সালে এই দুই ইউনিয়নের মধ্যে টেটাযুদ্ধে খুন হন পাকশিমুল ইউনিয়নের কলেজ ছাত্র দুলাল মিয়া। এই হত্যার ঘটনা ২৭ লাখ টাকায় মীমাংসা হলেও ভুক্তভোগী দুলালের পরিবার পেয়েছে ২১ লাখ টাকা। পুলিশ প্রশাসন এবং আদালতের কথা বলে বাকী টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে গোষ্ঠীর মাতব্বররা।

দুলালের বাবা আবু জাহের মিয়া বলেন, 'ছেলে মারা যাওয়ার পর ফোরকান মাতব্বর ও পাকশিমুল ইউনিয়নের সাবেক কুতুব চেয়ারম্যানের পরামর্শে ৭৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করি। পুলিশ তদন্ত শেষ করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। গোষ্ঠী প্রধানদের পরামর্শে বাকী আসামীদের বাদ দেয় পুলিশ। দুপরে টাকায় মামলা মীমাংসার কথা বলে। তারা বলে তুই তো আর ছেলেকে ফিরে পাবি না। টাকা নিয়ে মীমাংসা করে ফেল'।

'পরে তাদের প্রস্তাবে আমি রাজি হই। আমি ২১ লাখ টাকা পেয়েছি', যোগ করেন তিনি।

শুধু দুলাল হত্যা নয়, টেটাযুদ্ধে নিহত ৭টি ঘটনা অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, মামলার বাদীকে ভয়-ভীতি ও  মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে  ধামাচাপা দেয়া হয় হত্যা মামলা।

স্থানীয় ও একাধিক মামলার আসামীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসামী বাদ দেয়া ও নতুন নাম অন্তর্ভূক্ত করার কাজটি করেন স্থানীয় সিন্ডিকেট।  এই  সিন্ডিকেটে রয়েছে পুলিশ, বাদী ও আসামী পক্ষের প্রভাবশালীরা।

অরুয়াইল বাজারের চিকিৎসক ও দুলাল হত্যা মামলার আসামী আব্দুল জলিল বলেন, 'মারামারির দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। গোষ্ঠীপ্রধানদের নির্দেশে আমাকে আসামী করা হয়'।

তিনি বলেন, 'টেটাযুদ্ধ হলেই গোষ্ঠী প্রধানদের রমরমা বাণিজ্য হয়। মামলা চালানোর কথা বলে আসামী ও বাদী পক্ষের প্রভাবশালীরা গোষ্ঠীর লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলেন। এই টাকার অল্প কিছু খরচ করে বাকী টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন'।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টেটাযুদ্ধ নিয়ে তিন বছর কাজ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বর্তমান পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন,  'দুই কারণে এই অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে টেটাযুদ্ধ চলছে। তিনি বলেন, গোষ্ঠী প্রধানদের রমরমা বাণিজ্য এবং ইগো বা আধিপত্য টিকিয়ে রাখাই এই সংঘর্ষের মূল কারণ'।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ফৌজদারি অপরাধের কিছু ধারা আছে যেগুলো আদালতের অনুমতি নিয়ে আপোস করা যায়।তবে  খুনের ঘটনা আপোস মীমাংসা যোগ্য নয়। কোর্ট এই ধরনের অনুমতি দেয়ার নজির নেই। যদি দিয়ে থাকে নিয়ম বর্হিভূত। 

চার আনির কানের দুল চুরি নিয়ে ৫ লাশ

ব্রাহ্মনবাড়িয়া সরাইল থানার অরুয়াইল ইউনিয়েনের ধামাউড়া গ্রাম। ২০১১ সালে এই গ্রামে চার আনার একটা কানের দুল  চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে  গাজী ও বারী গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় প্রথম  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ।

পরবর্তী প্রায় এক যুগ ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় গোষ্ঠীর পাঁচ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বারী গোষ্ঠীর কয়েকশ পরিবার।

জানা গেছে, বারী গোষ্ঠীর মো. নূরুল্লাহর বিরুদ্ধে গাজী গোষ্ঠীর মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে জোসনা বেগমের চার আনা ওজনের একজোড়া কানের দুল চুরির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি পারিবারিকভাবেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়।

পরবর্তীতে বারী গোষ্ঠীর প্রভাবশালী মাতব্বর মোকারম হোসেনর ইন্ধনে নুরুল্লাহ ওই দিনই জোসনার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় গ্রামের গাজী ও বারীর গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

কানের দুল নিয়ে সংঘর্ষে প্রথম মারা যান গাজী বংশের বোরহান উদ্দিন। নিহতের ছেলে মনির হোসেন বলেন, 'চার আনার কানের দুল নিয়ে সংঘর্ষের শুরু। এই সংঘর্ষে আমার বাবাও মারা গেছেন'।

'প্রায় এক যুগ ধরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। চলছে পাল্টাপাল্টি হত্যার ঘটনা।  বাবা মারা যাওয়ার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক হত্যার ঘটনায় আমাকেও আসামী করা হয়। বাবা হত্যার বিচার দূরের কথা উল্টো মিথ্যে মামলার আসামী হয়ে ৩৯৯ দিন জেল খেটেছি', যোগ করেন তিনি।

জানা গেছে, এই কানের দুল নিয়ে সংঘর্ষে মারা গেছেন গাজী গোষ্ঠীর নবী হোসেন, ছোয়াদ মিয়া । অন্যদিকে, এই সংঘর্ষে বারী গোষ্ঠীর মারা গেছেন জজ মিয়া, সখিনা আক্তার । এই ছয় জন মারা গেলে এসব হত্যাকান্ডের কোন বিচার হয়নি। প্রতিটি ঘটনায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গোষ্ঠীপ্রধানরা মিলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, 'বাবা মারা যাওয়ার পর বারী গোষ্ঠীর পক্ষে মারামারিতে নেতৃত্ব দেয়া মোকারম হোসেনসহ ১৬ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় মামলা করি। পুলিশ মোকারম হোসেনকে গ্রেফতার করে। মাত্র সাতদিন পর সে জামিনে বেরিয়ে আসে'।

তারপর একের পর এক মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে থাকে আমার পরিবার ও গোষ্ঠীর লোকজনদের। পরে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমঝোতায় মামলাটি মীমাংসা হয়। এই হত্যা মামলা মীমাংসা বাবদ আট লাখ টাকা পেয়েছি আমরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বে নিহত ৫ হত্যাকাণ্ডের কোনটির বিচার হয়নি। মোটা অংকের টাকায় মামলাগুলো ধামাচাপা দিয়েছে স্থানীয় প্রতিনিধি ও গোষ্ঠী প্রধানরা।

অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া ওয়ার্ডের মেম্বর সত্তোরোর্ধ্ব তাজুল ইসলাম বলেন, 'দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বসে সবকিছু মীমাংসা করে দিয়েছি'।

ফৌজদারি অপরাধ এভাবে মীমাংসা করা যায় কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়ে এসব মীমাংসা করে দিয়েছি'।
 
শত বছর ধরে চলছে টেটাযুদ্ধ

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে কোন সংঘর্ষের আগে গোষ্ঠীপ্রধানরা দরবারে বসেন। সেখান থেকেই সিন্ধান্ত আসে টেটাযুদ্ধের। সিন্ধান্তের পর মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। মাইকের ঘোষণা শুনে হাতে টেটা-বল্লম, আবার কারো হাতে গুলতি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের প্রতি ধেয়ে যান তারা। ঘরের নারীদের সঙ্গে থাকে মরিচের গুঁড়া। দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তারা বাতাসে উড়িয়ে দেয় সেই মরিচের গুঁড়া। এই গুঁড়া বাতাসের অনুকূলে উড়ে গিয়ে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে সহায়ক হয়।

এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে টেটাযুদ্ধ। দীর্ঘক্ষণ ধরে এই সংঘর্ষ চালাতে প্রতি গোষ্ঠীর থাকে 'ব্যাকআপ টিম'। একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই ব্যাকআপ টিম নামিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়াদের মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয়। এই মারামারিকে কেন্দ্র করে অনেক আয়োজন করে খাবার রান্না করা হয়। দেখে মনে হয় যেন উৎসব চলছে।

অরুয়াইল ইউনিয়নের মেম্বর তাজুল ইসলাম বলেন, দাদার মুখেও টেটাযুদ্ধের নানা কাহিনী শুনেছি। এই অঞ্চলে শত বছরের বেশি সময় ধরে এই সংঘর্ষ চলছে।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সিলেটের হবিগঞ্জ , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলায় প্রায় শত বছর ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। এই মারামারির পিছনে ভৌগলিক কারণও রয়েছে।

তিনি বলেন, যে সব এলাকায় মারামারি হয় সেখানে ভালো রাস্তাঘাট নেই। কোন ঘটনা ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহজে সেখানে পৌঁছতে পারে না। এছাড়াও শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবও রয়েছে।

টেটাযুদ্ধের যত কারণ

আম পাড়া, ফুটবল খেলা, খড় শুকাতে দেওয়া, জায়গা নিয়ে বিরোধ, রান্নার ধোঁয়া অন্য বাড়িতে যাওয়া, পূর্বশত্রুতা, চায়ের দোকানে বসে আগে পরে চা দেওয়ার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ এই অঞ্চলের নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি ঈদের নামাজের জামাতে বসা নিয়েও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এখানে। তবে সব ঘটনার নেপথ্যে থাকে আধিপত্য বিস্তার। করোনার সময় লকডাউনে যখন বড় জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল, সেই সময়েও টেটাযুদ্ধে নেমে প্রতিপক্ষের পা কেটে বুনো উল্লাস করেছে এই অঞ্চলের মানুষ।

এই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জিনাদ হুদা  বলেন, 'ভৌগলিক ও পরিবেশগত কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। যারা নদী ও চর অঞ্চলের মানুষ, তারা প্রচুর সংগ্রাম করেন। অনিশ্চয়তার মাঝে থাকেন। ফলে ছোট-ছোট ব্যাপারে রেগে গিয়ে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে'।
 
টাকা আসে বিদেশ থেকে

প্রতিটি টেটাযুদ্ধে মোটা অংকের টাকা ব্যয় হয়। টেটা – বল্লম বানানো, মারামারিতে অংগ্রহণকারীদের খাওয়ানো, প্রশাসন সামলানো, মামলা ও আদালতের খরচ চালানোর জন্য গোষ্ঠীর অবস্থা সম্পন্নদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা তোলা হয়।পাশাপাশি নিজেদের গোষ্ঠীর যারা বিদেশে থাকেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করে মাতব্বরা। নিজের গোষ্ঠীর আধিপত্যের কথা চিন্তা করে বিদেশ থেকে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকাও পাঠান একেক জন।

পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, 'মারামারি হলেই বিদেশ বসে অনেকে উস্কানি দেন। মারামারির খরচ চালানে মোটা অংকের টাকাও আসে দেশের বাইরে থেকে'।

কোথায়, কারা তৈরি করে টেটা-বল্লম

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলার প্রায় শতাধিক কামার এই টেটা-বল্লম তৈরি করেন। প্রভাবশালীদের চাপ ও টাকার লোভে এসব দেশি অস্ত্র তৈরি করা হয়। লোহা দিয়ে বিশেষ কায়দায় মারামারির জন্যই বানানো হয়। আর গুলতি ও বাঁশ আনা হয় সিলেট থেকে।

এই অঞ্চলের সহিংস মারামারির ঘটনা বন্ধ করতে এসব দেশীয় অস্ত্রের উৎস বন্ধে যৌথভাবে কাজ করেছেন তিন জেলার পুলিশ। তারা কামারদের তালিকা করে তাদের এসব অস্ত্র বানানো থেকে বিরত রাখতে কাজ করছেন।

পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, 'এসব অস্ত্রের উৎস বন্ধ করতে পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। কামারদের একটি তালিকা করে তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধে কাজ করছে পুলিশ'।

মারামারির পরেই লুটপাট

মারামারিতে কেউ মারা গেলে এলাকাছাড়া হয় পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। আর এই সুযোগে বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট হয়। স্থানীয় কিছু লোক সুযোগের সন্ধানে থাকেন কখন মারামারি হয়। মারামারির সংবাদ পেলেই রাতে ভুক্তভোগী কিংবা আসামী পক্ষের বাড়িতে গিয়ে লুটপাট করেন তারা।
 
২ বছরে ১৫১ খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের হিসেব বলছে, গত দুই বছরের সরাইল, নবীনগর, নাসিরনগরসহ এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪৩৭ টি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনায় মারা গেছেন ১৫১ জন। আহত হয়েছেন ৭১৮৫জন। 
 
নরসিংদীতে ৩ বছরে ৯৫ খুন

শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, ঢাকার পাশ্ববর্তী নরসিংদী জেলায়ও দীর্ঘদিন ধরে চলছে টেটাযুদ্ধ। গত তিন বছরে এই জেলায় সংঘর্ষে মারা গেছেন ৯৫ জন।
এসব সংঘর্ষের অধিকাংশই হয়েছে চর দখলকে কেন্দ্র করে। নদীভাঙ্গনের পর জেগে উঠা চরের দখল নিয়ে  এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
 

Related Topics

টপ নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া / টেটাযুদ্ধ / সংঘর্ষ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় বিমানবন্দরে আটক নায়িকা নুসরাত ফারিয়া
  • যেভাবে পাইলট ছাড়াই ২০০ যাত্রী নিয়ে জার্মানি থেকে স্পেনে গেল এক বিমান
  • শুধু অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী নন এনবিআর কর্মকর্তারা; আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
  • শক্তিশালী হতে ঠিক কতটা প্রোটিন লাগে?
  • ৬ বিমা কোম্পানির আত্মসাৎ ৩,৭৩৬ কোটি টাকা, গ্রাহক সুরক্ষায় নতুন আইনের পরিকল্পনা
  • ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে লোটো-র নতুন কারখানা উদ্বোধন, প্রায় তিনগুণ হবে উৎপাদনক্ষমতা

Related News

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫, বাড়িঘর ভাঙচুর
  • শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ: অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৮
  • ফরিদপুরে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ঢাকা কলেজ আর সিটি কলেজের নিত্য লড়াইয়ের নেপথ্যে কী?

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় বিমানবন্দরে আটক নায়িকা নুসরাত ফারিয়া

2
আন্তর্জাতিক

যেভাবে পাইলট ছাড়াই ২০০ যাত্রী নিয়ে জার্মানি থেকে স্পেনে গেল এক বিমান

3
বাংলাদেশ

শুধু অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী নন এনবিআর কর্মকর্তারা; আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

4
আন্তর্জাতিক

শক্তিশালী হতে ঠিক কতটা প্রোটিন লাগে?

5
অর্থনীতি

৬ বিমা কোম্পানির আত্মসাৎ ৩,৭৩৬ কোটি টাকা, গ্রাহক সুরক্ষায় নতুন আইনের পরিকল্পনা

6
অর্থনীতি

১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে লোটো-র নতুন কারখানা উদ্বোধন, প্রায় তিনগুণ হবে উৎপাদনক্ষমতা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net