পদোন্নতিসহ ২ দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের, নইলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকে থাকা পদোন্নতিসহ দুই দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম। নতুবা আগামী ৮ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন, এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রির বৈশ্বিক স্বীকৃতি বজায় রাখা এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
তারা বলেন, পদোন্নতিযোগ্য সকল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অতি দ্রুত ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, ৩ নম্বর গ্রেডপ্রাপ্ত যোগ্য সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পরপর ২য় ও ১ম গ্রেড প্রদান করে তাদের যোগ্য পাওনা দিতে হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) তারা জানিয়েছেন, দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা না হলে আগামী ৮ মার্চ থেকে তিন দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এরপরও দাবি পূরণ না হলে ১১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হবে, তবে জরুরি সেবা চালু থাকবে।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের আহ্বায়ক ডা. মির্জা মো. আসাদুজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "পদোন্নতির যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ এবং ডিজি অফিস ও মন্ত্রণালয়ে ফাইল বারবার আপডেট করার পরও বছরের পর বছর আমাদের পদোন্নতি আটকে রাখা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "সকল মেডিকেল কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য। অথচ আমাদের সাড়ে সাত হাজার যোগ্য প্রার্থী অপেক্ষায় আছে।"
"গত চার-পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু আমাদের ঘোরাচ্ছে। নতুন সরকার আসার পরও আমরা একাধিকবার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।"
শিক্ষক সংকটের কারণে এমবিবিএস ডিগ্রির বৈশ্বিক স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, "ফেব্রুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব মেডিকেল এডুকেশন আমাদের এমবিবিএস ডিগ্রির স্বীকৃতি বাতিল করেছে শুধু শিক্ষক সংকটের কারণে।"
"স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেডিকেল কলেজে নতুন ভবন নির্মাণ করেছে, কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি। অথচ আমাদের যোগ্য ডাক্তাররা রয়েছেন, কিন্তু মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।"
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমলারা মরণোত্তর পদোন্নতি পাচ্ছেন, কিন্তু ডাক্তারদের বিষয়ে চরম উদাসীনতা দেখানো হচ্ছে। বারবার এসব বিষয় জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি।"
"আমরা কর্মবিরতিতে যেতে চাই না, তার আগেই সমস্যার সমাধান চাই," বলেন তিনি।