চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারের স্থানান্তর বাড়ায় এ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোট ২ লাখ ২৮ হাজার ১৮৪ টিইইউ (বিশ ফুট সমতুল্য ইউনিট) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
এর মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৫ টিইইউ আমদানি কার্গো, আমদানিকৃত পণ্যের ১১ হাজার ৩৭০ টিইইউ খালি কনটেইনার, ৬৫ হাজার ৪৫০ টিইইউ রপ্তানি কার্গো এবং রপ্তানিপণ্যের ৪৪ হাজার ৩০৯ টিইইউ খালি কনটেইনার।
এর আগের বছর, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোট হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৮ টিইইউ। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৬ টিইইউ আমদানি কার্গো, ৫ হাজার ৮৯১ টিইইউ আমদানি করা খালি কনটেইনার, ৬১ হাজার ৯৯ টিইইউ রপ্তানি কার্গো এবং ৪৫ হাজার ৯৯২ টিইইউ রপ্তানি করা খালি কনটেইনার ছিল।
ফলে এক বছরের ব্যবধানে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১১ হাজার ৩১৬ টিইইউ বা ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
এ সময়ে আমদানি কার্গো হ্যান্ডলিং ৩ হাজার ১৬৯ টিইইউ (৩.০৫ শতাংশ) এবং রপ্তানি কার্গো হ্যান্ডলিং ৪ হাজার ৩৫১ টিইইউ (৭.১২ শতাংশ) বেড়েছে।
তবে, ২০২৫ সালের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।
বন্দর-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সাধারণত বছরে ৫-১০ শতাংশ বাড়ে। রমজানের আগে আমদানি বেড়েছে, পাশাপাশি রপ্তানিও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৪ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৩৫ হাজার ৪৩০ টিইইউ বেশি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমদানি ও রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির আশা করছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের সম্প্রসারিত কার্যক্রম এবং পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালের সক্ষমতা বাড়াতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এ প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, 'বৈশ্বিক সংকট কাটিয়ে ওঠার পর ব্যবসা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এর ফলে আমদানি ও রপ্তানি বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে। এছাড়া বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ইতিবাচক ফল দিচ্ছে।'