রমজানে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে সরকার: শফিকুল আলম

সরকার রমজানে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, রমজান মাসজুড়ে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে এবং সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করায় সরকার মনোনিবেশ করায় বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আজ শুনবার (১ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, 'রমজান মাসে ভোজ্যতেল, স্ন্যাকস, ছোলা ও খেজুরের মতো নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এসব পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্য বজায় রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।'
শফিকুল আলম বলেন, 'সরকার পুরো রমজান জুড়ে মূল্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। আমরা খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছি।'
তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশা করছি সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম আরও কমে আসবে।
পাশাপাশি বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সরবরাহ বজায় রাখার প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে শফিকুল বলেন, '৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী মাসগুলোতে সরকারকে বহুমুখী বন্যা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করতে হয়েছে। ছয়টি পৃথক বন্যার ঘটনা ঘটেছে।'
শফিকুল আলম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক যৌথভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এরই মধ্যে বলতে পারি, অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল হয়েছে। রমজানে পরিস্থিতি আরও উন্নতিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
শফিকুল আলম আশ্বস্ত করে বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের ভোজ্যতেল আমদানি ও পরিশোধন মনিটরিং করছে।
তিনি বলেন, 'আমদানি করা ভোজ্যতেলের যে পরিমাণ পরিশোধন করা হচ্ছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা আশা করি আগামী দিনে সরবরাহ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।'
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কম সংস্কার চায় তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আর যদি বেশি সংস্কার চান তাহলে ২০২৬ এর মার্চে নির্বাচন হবে।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিটি) উদ্বোধনে পিরোজপুর থেকে আসা পাঁচটি বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এর পেছনে পিসরকারের ভূমিকা নেই।'
তিনি বলেন, 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী পিরোজপুরের নেতৃবৃন্দ ও দুই শহীদ পরিবারের সদস্য পিরোজপুরের ডিসির কাছে পাঁচটি বাসের রিকুইজিশন দেন। তাদের চাপাচাপিতে পাঁচটি বাস দেওয়া হয় তবে এক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা যে পাঁচটি বাস ঢাকায় নিয়ে এসেছেন তার জন্য পেট্রোল খরচ নিজেরাই বহন করেছেন।'