‘চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ হাজার কনটেইনার’: দ্রুত নিলামে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চায় কর্তৃপক্ষ

বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী নিলাম প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে বন্দর ইয়ার্ডে বর্তমানে পড়ে থাকা ১০ হাজার কনটেইনার নিলাম ত্বরান্বিত করতে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
এসব কনটেইনার পরীক্ষা ত্বরান্বিত করতে তিন বাহিনী থেকে জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বন্দর চেয়ারম্যান কৃত্রিম দ্রব্য সংকটের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করুন। বন্দরের ভেতরে ও বাইরে যেন কোনো ভিড় তৈরি না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আমদানিকারকরা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য মাদার ভেসেল থেকে মালামাল লোডিংয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লাইটার জাহাজগুলোকে বন্দর সীমা ত্যাগ করার নির্দেশনাও দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
যাতায়াত খরচের বিষয়ে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালে নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান।
এখন আমদানিকারক ও শিপিং কোম্পানিগুলো আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে।
বে টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান এটিকে বাংলাদেশের জন্য 'গেম চেঞ্জার' হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ক্রমান্বয়ে অগ্রগতি করছি, এবং আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ আমরা প্রকল্পের অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি আশা করছি। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডলিং ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং চট্টগ্রাম শহরের যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।'
তিনি আরও বলেন, আগে বন্দরে প্রবেশের জন্য জাহাজগুলোকে আট দিন অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন জাহাজগুলো সরাসরি প্রবেশ করতে পারে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।