কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো ১৫১ আসামিকে এখনও ধরা যায়নি

বাংলাদেশের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫৩ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তসহ ১৫১ জন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদের মধ্যে বুয়েটের বহুল আলোচিত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জেমীও রয়েছেন।
গত বছরর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের দিন, ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে থেকে মোট ২০২ জন আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিল ৮৮ জন।
সহাকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও মিডিয়া) জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, 'পালিয়ে যাওয়া আসামিদের মধ্যে ৮৮ জন ছিল ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। এদের মধ্যে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পালিয়ে যাওয়া ১১৪ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পতালক আসামিদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।'
এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির পালিয়ে যাওয়ার গণমাধ্যমে আসার পর রাতে বুয়েটে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
রাতেই এক সংবাদ সম্মেলনে তারা পালিয়ে যাওয়া আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
আবরার ফাহাদের ছোট ভাই বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বলেন, 'আওয়ামী লীগের সময় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আবার নতুন করে একজন কারাগার থেকে পালিয়েছে। আমাদের চাওয়া চারজনকেই যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আসামিরা হয়তো বা দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে। তবে সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে তারা অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যেন দেশে ফিরে আনা হয়।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ই অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ৮ই ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।