হাইকোর্ট অভিমুখে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাইকোর্টের গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নরা তাদের 'জাস্টিস মার্চ' কর্মসূচি শুরু করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের গেটে অবস্থান নিলে একটি প্রতিনিধি দল আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।
তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- 'ডাক্তার' পরিচয়ের ব্যবহার একচেটিয়াভাবে এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত করা।
বিক্ষোভটি ডাক্তার পরিচয় দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা বেআইনিভাবে 'ডাক্তার' পরিচয় ব্যবহার করছেন। তারা ২০১৩ সালে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের দিকে ইঙ্গিত করেন যেখানে এই পরিচয় ব্যবহারের আইনগত স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। তবে ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
আজ হাইকোর্ট এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে আন্দোলনকারীরা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান, যাতে 'ডাক্তার' পরিচয়ের অপব্যবহার প্রতিরোধ করা যায়।
প্রধান দাবির পাশাপাশি তারা আরও কয়েকটি বিষয়ে সোচ্চার, যার মধ্যে রয়েছে ১০,০০০ চিকিৎসকের দ্রুত নিয়োগ, বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করা, এমএটিএস শিক্ষার্থীদের প্যারা মেডিকেলের দিকে পুনঃনির্দেশনা এবং ডাক্তার সুরক্ষা আইন কার্যকর করা।
এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (আরএমসিএইচ), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিএমসিএইচ) ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (এসজেডআরএমসিএইচ), বগুড়ার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন, যার ফলে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।