বৃহস্পতিবার ৬ সংস্কার কমিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওইদিন বিকেল ৪টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকটি কমিশনের প্রধানরা নিশ্চিত করেছেন।
আজ রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকের স্থান সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে কমিশন প্রধানরা জানান, এপর্যন্ত তাঁদের কেবল বৈঠকের তারিখ ও সময় সম্পর্কেই জানানো হয়েছে। বৈঠকের স্থান ও এজেন্ডার মতো বিস্তারিত তথ্য পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কেউ একজন জানাবেন।
তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, একটি সংস্কার কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনাই এর মূল বিষয়বস্তু (এজেন্ডা) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, কমিশনগুলোর কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, প্রতিটি কমিশনের সদস্য সংখ্যা ৯ জন হতে পারে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর– গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এসব কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জনগণের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে একটি স্থায়ী রূপ দিতে এসব কমিশন গঠিত হয়েছে।
কমিশনগুলোর প্রধান হিসেবে নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ছয়জনকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংস্কার কমিশনের প্রধান যারা
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)–এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বদিউল আলম মজুমদার একজন অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, রাজনীতি বিশ্লেষক, স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা 'দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট'-এর বাংলাদেশি শাখার পরিচালক ও বৈশ্বিক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সফর রাজ হোসেন। তিনি সাবেক জনপ্রশাসন সচিব।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। তিনি ২০০৯ সালের জুলাইয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ইফতেখারুজ্জামান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক। ২০১৫ সালের মে মাসে তিনি বিশ্বব্যাংক কর্তৃক গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে। তিনি সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একাধিক মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ড. শাহদীন মালিককে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
