Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
August 02, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, AUGUST 02, 2025
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে চট্টগ্রামের ১০ লাখ বাসিন্দা

বাংলাদেশ

মিজানুর রহমান ইউসুফ
14 September, 2024, 12:05 pm
Last modified: 14 September, 2024, 12:08 pm

Related News

  • চট্টগ্রামে জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল, সাবেক ৩ মন্ত্রীসহ অভিযুক্ত ২৩১
  • চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
  • সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুজন বরখাস্ত
  • চট্টগ্রামে আইসিডি বেইজড নতুন কাস্টম হাউস গঠন করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • জলবায়ু ইস্যুতে এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে: আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে চট্টগ্রামের ১০ লাখ বাসিন্দা

একইসঙ্গে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন, নির্বিচারে পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত বসতি স্থাপন, অপরিকল্পিত চাষাবাদ, দুর্বল পাহাড় ব্যবস্থাপনা ও পাহাড়ধস রোধে করা সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের উদাসীনতাকেও পাহাড়ধসের অন্যান্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।
মিজানুর রহমান ইউসুফ
14 September, 2024, 12:05 pm
Last modified: 14 September, 2024, 12:08 pm
ফাইল ছবি: মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ধরনের পরিবর্তনের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধস হচ্ছে এবং এতে ওই অঞ্চলের ১০ লাখ বাসিন্দা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

একইসঙ্গে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন, নির্বিচারে পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত বসতি স্থাপন, অপরিকল্পিত চাষাবাদ, দুর্বল পাহাড় ব্যবস্থাপনা ও পাহাড়ধস রোধে করা সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের উদাসীনতাকেও পাহাড়ধসের অন্যান্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।

চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষকের নেতৃত্বে ২০১৫-১৬ সেশনের (২০তম ব্যাচ) ৪৪ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরিচালিত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় চলতি বছরের এপ্রিলে।

চট্টগ্রামে পাহাড়ধস

বাংলাদেশের পাহাড়ের অধিকাংশই বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত। 

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৬৮ সালে কাপ্তাই-চন্দ্রোঘোনা সড়কে প্রথম পাহাড়ধসের ঘটে। যদিও সেই পাহাড়ধসে কোনো হতাহতের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। 

পাহাড়ধসের কারণে ১৯৭০ সালে ঘাগড়া-রাঙ্গামাটি সড়কে প্রথম এক জনের মৃত্যু হয়। তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

২০০০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পাহাড়ধসের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি বছর গড়ে ১১টি পাহাড়-ধসের ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হন। গত ১৭ বছরে সবচেয়ে বেশি, ২০৮টি পাহাড়ধস হয় চট্টগ্রাম জেলায়; এরপর সর্বোচ্চ পাহাড়-ধস হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ১৯৩টি; পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হয়েছে ১২৪টি। এছাড়া, বান্দরবন জেলাতে ১১৮টি এবং খাগড়াছড়িতে ৮৭টি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টিপাত

১৯৬৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই অঞ্চলের পাহাড়ধসের ঘটনা বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, পাহাড়-ধসের অধিকাংশ ঘটানা ঘটেছে জুন-জুলাই (বর্ষাকালে) মাসে।
চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বছরে প্রায় ৩০০০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়, এরমধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় জুন-জুলাই মাসে। সাধারণত এই দুইমাসে প্রতিদিন গড়ে ২০ মি.মি. করে মাসিক ৬০০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩০ বছরে বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ শতাংশ। স্বল্পকালীন (২ থেকে ৭ দিন) সময়ে একদিনে ৪০ মি.মি. এর অধিক বৃষ্টিপাত পাহাড়ধসের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

২০১৭ সালের জুন মাসের ভয়াবহ পাহাড়ধসে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেন ১৬৪ জন; এরমধ্যে শুধু রাঙ্গামাটি সদরেই মৃত্যবরণ করেন ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩০০০ ঘরবাড়ি। রাঙ্গামাটির সাথে চট্টগ্রাম এর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে প্রায় ৩ মাস। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ২০কি.মি সড়ক ধসে ভেঙ্গে পড়ে। 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) হিসাবে, রাঙ্গামাটিতে তাদের ২৬৪ কি.মি সড়কের মধ্যে ১৪৫টি স্থানে সড়কের ওপর পাহাড়ধস হয়। পার্বত্য অঞ্চলের ৭টি সড়ক রুটের ৩৭টি স্থান ভেঙ্গে পড়ে। বাংলাদেশে পাহাড়ধসের ইতিহাসে এরকম ভয়াবহ বিপর্যয় আর কখনো হয়নি।

সে সময় ৫ দিনে গত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ১২ ও ১৩ই জুন রাঙ্গামাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত (২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ মি.মি) রেকর্ড করা হয়েছে। 

এর আগে, রাঙ্গামাটিতে ১৯৬০ সালের ২১ জুলাই ৩৫২ মি.মি, ২০০৪ সালে ১১ জুলাই ৩৩৭ মি.মি, ১৯৮৩ সালের ৫ আগষ্ট ৩৩৫ মি.মি, ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ৩১৭ মি.মি, ১৯৯৯ সালের ২৬ জুন ৩০৭ মি.মি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল।

এর আগে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০০৭ সালের ১১ ই জুন  ২৪ ঘণ্টায় ৪০৮ মিমি বৃষ্টিপাতের পর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে নগরীর ৬টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়।

স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়কর দুটি পাহাড়ধসের সময় (২০০৭ ও ২০১৭ সালে) ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪০৮ মি.মি ও ৩৬৫ মি.মি।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল সরওয়ার টিবিএসকে বলেন, ৩০ বছর আগেও চট্টগ্রামে পুরো বর্ষা মৌসুমজুড়ে অল্প অল্প করে বৃষ্টি হতো। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একবার বৃষ্টি শুরু হলে টানা ভারী বর্ষণ হতে থাকে। এতে পানির অতিরিক্ত চাপ সইতে না পেরে পাহাড়ধসের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, "গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিও পাহাড়ধসে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তীব্র দাবদাহে পাহাড় শুকিয়ে চিড় ধরে যায়। আবার বর্ষায় সেই চিড় বা ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে পাহাড়ধস তরান্বিত হয়।"

"মনুষ্যসৃষ্ট অনেক কারণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন পাহাড়ধসের ঝুঁকি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে আমাদের গবেষণায় প্রতিয়মান হয়েছে," যোগ করেন তিনি।

থামানো যাচ্ছে না পাহাড় কাটা

চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন্দরনগরীতে ৫৩টি জায়গায় পাহাড় কাটার চিহ্ন পেয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি স্থানে পাহাড় কাটা হয় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালে পাহাড় কাটার অপরাধে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) পাহাড় কেটে বায়েজিদ হয়ে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কি.মি. সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে। পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সিডিএ-কে বেশকিছু শর্ত সাপেক্ষে আড়াই লাখ ঘনমিটার পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়, কিন্ত প্রকল্প এলাকায় ১৬টি পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ থেকে কাটা হয় সাড়ে ১০ লাখ ঘনমিটার পাহাড়। 

এই পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম সিডিএ কে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৩ টাকা জরিমানা করে ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে। পরবর্তীতে এই সড়কের পাশ ধরে ব্যাপক আকারে পাহাড় কাটা শুরু হয়।

চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর, জঙ্গল লতিপপুর এবং জালালাবাদসহ অধিকাংশ পাহাড়ে সারা বছরই কোনো না কোনো কৌশল অবলম্বন করে প্রশাসনের নজরদারি ফাঁকি দিয়ে চলে পাহাড় কাটা।

পাহাড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ১০ লাখ মানুষের বসবাস

পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাবে চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে ৩০টি। এই পাহাড়গুলো বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে কেটে গড়ে তোলা হয়েছে বসতি (বস্তি থেকে শুরু করে আবাসিক এলাকা) সংশিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা (যেমন-দোকান, অফিস ইত্যাদি), ইটভাটা, শিল্পকারখানা, আবাসন প্রকল্প এবং যোগাযোগের জন্য সড়ক ব্যবস্থা। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশনের তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শহরে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের সংখ্যা ১৭টি, এরমধ্যে সরকারি মালিকাধীন ৭টি পাহাড়ে বসবাস করছে ৩০৪টি পরিবার এবং ব্যক্তিমালিকাধীন ১০টি পাহাড়ে রয়েছে ৫৩১ পরিবারের বসবাস।

গবেষণা বলছে, চট্টগ্রামে পাহাড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুরে। এখানে প্রায় ১২ হাজার পরিবারের অন্তত ৬০,০০০-৭০,০০০ মানুষের বসবাস; এরপর রয়েছে নগরীর মতিঝর্ণা ও আদালত ভবনের পাহাড়ে। 

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ৩,০০০ ভূমিহীন পরিবারের প্রায় ১২,০০০ মানুষ। উপজেলার বাৈরয়ারঢালা, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও পৌরসভার বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বসতি গড়ে উঠেছে।

কক্সবাজারে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় ১২,০০০ মানুষ। অন্যদিকে, মহেশখালী উপজেলার ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছে প্রায় ৮,০০০ মানুষ। 

টেকনাফ উপজেলার ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় ১,২০০ পরিবার। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ২৩০টি পরিবার। টেকনাফের ২নং ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে রয়েছে ২০-২৫টি পরিবার। বান্দরবন জেলার ৭টি উপজেলায় ১,৪৪৪টি পরিবার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। 

২০১৭ সালের জুন মাসের পাহাড়ধসের পর রাঙ্গামাটি শহরের ৩০টি স্থানকে বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার, রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার পরিবারের বসতি রয়েছে। 

পার্বত্য অঞ্চলের এ সকল বসতির মানুষ উচুঁনিচুঁ পাহাড়, পাহাড় পার্শ্ববর্তী অথবা পাহাড়ের পাদদেশে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। এ সকল পরিবার ও বসতি প্রতিনিয়তই পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়গুলোতে অন্তত ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।

উপেক্ষিত পাহাড়ধস রোধে করণীয় সুপারিশ 

২০০৭ সালের ভয়াবহ পাহাড়ধসকে চিন্তায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি পাহাড়ধসের কারণ সমূহকে চিহ্নিত করে, পাহাড়ধস প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন মেয়াদী (স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ) ২২টি সুপারিশ প্রদান করেন । 

তদন্ত কমিটির করা সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— জরুরি-ভিত্তিতে পাহাড়ী এলাকায় বনায়ন, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন ড্রেন ও মজবুত সীমানা প্রচীর নির্মাণ, পাহাড়ের পানি ও বালুর দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা, টেকসই বসতি স্থাপন, পাহাড়ী বালু উত্তোলন বন্ধ করা, পাহাড়ি এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নিষিদ্ধ করা ও ৫ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা।

চট্টগ্রাম পাহাড় রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান টিবিএসকে বলেন, "গত ১৭ বছরে একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন করেনি সরকার। ভারী বর্ষণ হলে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েই দায়িত্ব সারে প্রশাসন।"

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন, পাহাড় কাটা, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন বন্ধ করতে না পারলে ও পাহাড়ধস রোধে প্রণয়ন করা সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা না গেলে, ভবিষ্যতে পাহাড়ধসে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
 

Related Topics

টপ নিউজ

পাহাড়ধস / চট্টগ্রাম / পাহাড় কাটা / জলবায়ু পরিবর্তন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • শুল্ক ছাড়ের আড়ালের ‘গোপন’ শর্ত জনগণ জানতে পারল না: আলতাফ পারভেজ
  • এফিডেভিট কী, কেন ও কীভাবে করবেন?
  • বাংলাদেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক কমানোর পর ভারতের টেক্সটাইল শেয়ার দর কমল ৭% পর্যন্ত
  • ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ৭ দিন পরে বাংলাদেশি পণ্যে সংশোধিত মার্কিন শুল্ক কার্যকর হবে
  • প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থানে আছে: মার্কিন শুল্ক প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি
  • কলকাতা থেকে ফিরে গ্রেপ্তার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাফি  

Related News

  • চট্টগ্রামে জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল, সাবেক ৩ মন্ত্রীসহ অভিযুক্ত ২৩১
  • চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
  • সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুজন বরখাস্ত
  • চট্টগ্রামে আইসিডি বেইজড নতুন কাস্টম হাউস গঠন করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • জলবায়ু ইস্যুতে এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে: আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

Most Read

1
মতামত

শুল্ক ছাড়ের আড়ালের ‘গোপন’ শর্ত জনগণ জানতে পারল না: আলতাফ পারভেজ

2
মতামত

এফিডেভিট কী, কেন ও কীভাবে করবেন?

3
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক কমানোর পর ভারতের টেক্সটাইল শেয়ার দর কমল ৭% পর্যন্ত

4
অর্থনীতি

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ৭ দিন পরে বাংলাদেশি পণ্যে সংশোধিত মার্কিন শুল্ক কার্যকর হবে

5
বাংলাদেশ

প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থানে আছে: মার্কিন শুল্ক প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি

6
বাংলাদেশ

কলকাতা থেকে ফিরে গ্রেপ্তার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাফি  

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net