কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মী এবং পুলিশের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে তাদের আন্দোলন বন্ধের চাপ দিতেই এ বিক্ষোভ হয়।
এদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুইজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে যারা
আবু সাঈদ (২৫)
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত যে ছয়টি খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে আবু সাঈদের মৃত্যু প্রথম।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একা একা দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই তাকে গুলি করেন এক পুলিশ অফিসার।
তিনি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই মাটিতে পড়ে যান।
তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাঈদ (২৫) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
সবুজ আলী (২৫)
ঢাকা কলেজের কাছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সবুজ আলী নিহত হয়েছেন।
তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন
সবুজ (২৫) ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
সবুজকে তাদের একজন কর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ এবং তার মৃত্যুতে সংগঠনটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
মো. শাহজাহান (২৪)
ঢাকা কলেজের কাছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মো. শাহজাহান (২৪) নিহত হন।
ওইদিন বিকালে ঢাকা সিটি কলেজের সামনের ফুটপাতে পথচারীরা তাকে পড়ে থাকতে দেখে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, শাহজাহান বলাকা সিনেমা হলের সামনের ফুটপাতে পাপোশ বিক্রি করতেন।
মো. ওয়াসিম আকরাম (২২)
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ওয়াসিম আকরাম নিহত হয়েছেন।
ওয়াসিম (২২) চট্টগ্রাম কলেজের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২০)
গতকাল চট্টগ্রামের মুরাদপুরে সংঘর্ষে ফয়সাল আহমেদ শান্তও নিহত হন।
২০ বছর বয়সী শান্ত ওমরগণি এমইএস কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মো. ফারুক (৩২)
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে সংঘর্ষে পথচারী ফারুক নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
ফারুক (৩২) একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ছিলেন।