ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে: ভোট দেওয়ার পর হিরো আলম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, এবার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম হবে। গতকাল রাতেই বগুড়া জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে মনে হচ্ছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া সদরের ৫৫ জন এরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপনির্বাচনের মতো এবার পোলিং এজেন্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান হিরো আলম। তিনি বলেন, এবার রাত থেকে সবগুলো কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টরা অবস্থান করছে। 'সারাদিন কী হবে জানি না,' বলেন তিনি।
জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হিরো আলম। তিনি বলেন, 'গতবার ভোট ভালোই পেয়েছিলাম। ওরা বলেছে, তুমি তো জিততে পারো নাই। আমি তাদের বলেছি, এবার ভোট দিয়ে দেখেন, আর একটাবার সুযোগ দেন। এবার ভোট সুষ্ঠু হবে; আর ভোট সুষ্ঠু হলে আমি অবশ্যই বলতেছি জিতব।'
তবে ঈগল মার্কার প্রার্থী টাকা দিয়ে অনেক ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম। টাকা দেওয়ার এরকম বেশ কিছু ছবিও আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভোটদান শেষ হিরো আলম তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া ৪-আসনের দিকে যান। এই আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ৬ জন ভোটের মাঠে লড়ছেন। বগুড়া-৪ আসনে এবার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন ভোটার রয়েছেন। মোট কেন্দ্র আছে ১১৪টি।
চলতি বছরের বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় তার। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানত।
এর আগেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া- ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে 'অনিয়মের অভিযোগ তুলে' নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।