যে যতবার নির্বাচিত হয়েছেন, তার সম্পদ ততবার গাণিতিক হারে বেড়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বিগত নির্বাচনে যে যতবার নির্বাচিত হয়েছেন, তার সম্পদ ততবার গাণিতিক হারে বেড়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নাগরিক প্ল্যাটফর্ম-এর উদ্যোগে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও ন্যায্যতার লক্ষ্যে নাগরিক এজেন্ডা' শীর্ষক ধারাবাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের শেষপর্বে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর এই সম্মাননীয় ফেলো বলেন, "হলফনামায় প্রার্থীরা যে সম্পদের বিবরণ দেওয়া আছে, আর ট্যাক্সের রিটার্ন দেওয়া আছে সেখানে দুটিই সমান। এক একজনের সম্পদ কয়েকশ গুণ বেড়েছে, কিন্তু তাদের কর দেওয়ার হার কি সেভাবে বেড়েছে?"
তিনি বলেন, "প্রার্থীরাদের দেখবেন সবাই-ই খামারী আর মাছ চাষী হয়ে গেছেন।"
তিন পর্বের ধারাবাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের শেষপর্বটি আয়োজিত হয় ব্রাক সেন্টার ইন এ। এই মিডিয়া ব্রিফিং-এ সুশাসন সম্পর্কিত তিনটি বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা ধারণা করেছিলাম ২০২৪ সালের নির্বাচন ২০১৮ কিংবা ২০১৪ এর মতো হবে না। আমরা ভেবেছিলাম একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে; কিন্তু যা ভেবেছিলাম তা তো হলো না।"
"ইশতেহারের বিষয়গুলো আসে জনগণের কাছে। আগের ইশতেহার কেন্দ্র করে যে মূল্যায়ন করার কথা ছিল সেটা হয়নি। আগামীতে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন, সেটাও মূল্যায়ন করা গেল না।"
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক শূন্যতার মাঝে নির্বাচনী ইশতেহার এসেছে। যা নিয়ে কারও আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, "ইতিহাস বলে, যদি প্রথাগত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ত্রুটি ঘটে, তবে সেখানে নাগরিকের ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্ব নিয়ে সামনে আসে। তখন বৈষম্য বাড়ে।"
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, "নির্বাচন আসবে যাবে, কিন্তু যদি নির্বাচন মানুষের কল্যাণে না হয়- সে নির্বাচন জনগণের উপকারে আসবে না। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির অবস্থা যেখানে যাচ্ছে, সেখানে সামনের অর্থনীতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন?"
"আগামী দিনে প্রথাগত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি ভঙ্গ হয়, তবে সবাইকে ভুগতে হবে। ইতিহাসের কাছে নাগরিকদের দায় আরও বেড়ে গেল।"
দেবপ্রিয় বলেন, "আমার দেশের সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে। অন্য কেউ এসে সমাধান করে যাবে, সেটার আশায় বসে থাকাও বোকামী।"
"দেশে নির্বাচন হচ্ছে না, বিশেষ নির্বাচনী প্রচারণা হচ্ছে," যোগ করেন তিনি।