ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা দেখছি না: নজরুল ইসলাম খান

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি কোনো বাধা দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেছেন, 'ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আশা করব, শিগগিরই সরকার এ ব্যাপারে তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য নিয়ে আসবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেবেন।'
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সাবেক হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে প্রায় ১৬ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি শহীদ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মামলা-হামলার শিকার হওয়ার পরও বিএনপি সবাইকে সাথে নিয়েই লড়াই-সংগ্রাম করে গেছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই এবং ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের দাবির একটা অংশ পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। কিন্তু আরেকটি মূল দাবি গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা এখনো অসম্পূর্ণ আছে।'
এদিকে সংস্কার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'জুলাই জাতীয় সনদ এখনো স্বাক্ষর হয়নি। কিন্তু গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে মৌলিক বিষয়গুলো একত্র করে সনদ হয়েছে। মোট ৮২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ৫১টি বাদে বাকি সবগুলোতে একমত হয়েছি। ১১৫টি প্রস্তাব আছে সেখানে আমরা বিভিন্ন মতামত এবং আমাদের ভিন্ন মতসহ একমত হয়েছি। আশা করি সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই রাষ্ট্র গঠন করতে এক থাকবে।'
'জুলাই সনদে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে যেগুলোতে সবাই একমত হয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের একটা সময়সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পরবর্তী জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পরে বাস্তবায়ন হবে। এজন্য প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। আমরা প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকার প্রদান করেছি। খসড়ার দুয়েকটি শব্দগত ও বাক্যগত সমস্যা ছিল, সেগুলো সংশোধন করে জমা দিয়েছি। তা বাস্তবায়নের পথে যেসব সাংবিধানিক সংশোধনী, অন্যান্য আইনের সংশোধনী, বিভিন্ন বিধি-বিধানের সংশোধন প্রয়োজন হবে, সেগুলো করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি', বলেন তিনি।
জুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার ওপরে কোনো আইন নেই। এটা হচ্ছে ডক্ট্রিন অব লেজিটিমেট এক্সপেক্টেশন অব পিপল। এটাই জনগণের অভিপ্রায়। এখানে সবাই একত্র হয়ে জুলাই সনদ তৈরি হবে।'
এর আগে আজ সকালে নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ির আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় গিয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।