সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সরানো হলো দুর্ঘটনা কবলিত ৩ বগি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় তিনটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টায় দুর্ঘটনা কবলিত বগিগুলো রেললাইন থেকে সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি সচল করা হয় বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
এ দুর্ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও শতাধিক যাত্রী।
আজ মঙ্গলবার সকালেও দুর্ঘটনাস্থলে ছিল উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড়। ট্রেনের ধ্বংসস্তূপের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল হতাহত যাত্রীদের জিনিসপত্র।
এর আগে, গতকাল (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে ঢাকাগামী এগারোসিন্ধুর ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কন্টেইনার ট্রেনের সংঘর্ষ হলে এতে এগারোসিন্ধুর ট্রেনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে দুইটি বগি সম্পূর্ণভেবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
দুর্ঘটনার পর ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন সিকদার জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এগারোসিন্ধু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। স্টেশনের আউটার থেকে লাইন পরিবর্তন করে আরেক লাইনে প্রবেশ করছিল। তবে সম্পূর্ণ ট্রেনটি আরেক লাইনে প্রবেশের আগেই ওই লাইনে আরেকটি কন্টেইনার ট্রেন ঢুকে পড়ে। এতে ট্রেনটির পেছনের দিকে সংঘর্ষ হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, রেললাইনের ক্রসিংয়ে সমস্যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা তদন্তে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।"
তিনি আরও বলেন, "সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে উদ্ধার কাজে সহযোগীতা করেছে। এ দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ দাফনের জন্য নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।"