মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আমরা বিচলিত নই: বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ বিচলিত নয়।
তিনি আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) তার শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, 'আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো যুক্তরাষ্ট্র যাইনি, ভবিষ্যতেও যাব না।'
তিনি বলেন, 'রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও অনুকম্পায় নয়। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন বিরোধিতা করছে।'
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছি। ব্যক্তিগত লাভ বা আমার পরিবারের কথা চিন্তা করিনি। আমার মনোযোগ সর্বদা বৃহত্তর কল্যাণের দিকে ছিল।
'জটিল মামলার নিষ্পত্তিতে আমি সবসময় দেশব্যাপী বিচারকদের অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারাদেশের আদালত অঙ্গনে আমরা 'ন্যায়কুঞ্জ' স্থাপন করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিমকোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি।'
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে ভিসানীতি চালু করে। এর চার মাস পরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, এটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, এবং বিরোধী দলগুলোর সদস্যরা রয়েছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর নতুন এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো। তখন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়াদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।