মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার (৮ জানুয়ারি) এ আদেশ দিয়েছেন।
এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
কেন বিএনপি নেতাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ।
কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন ৮ জানুয়ারি (আজ) পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জানুয়ারি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করার জন্য সরকারের করা আপিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, নয়াপল্টন সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে আটক করা হয়। পরেরদিন তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ মামলায় এর আগে চারবার নিম্ন আদালতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, তারা তাদের যুক্তিতে আদালতকে বলেছেন, মামলার প্রথম তথ্য প্রতিবেদনে বিএনপির দুই নেতার নাম ছিল না এবং তারা দুজনই বয়স্ক।
আইনজীবী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৯২টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ২০ থেকে ২৫টি মামলা এখনও সক্রিয়। বিএনপি মহাসচিব ২০১২ সাল থেকে ৩৫০ দিন কারাভোগ করেছেন।
অন্যদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সাল থেকে বিরোধীদলীয় এ নেতার বিরুদ্ধে ১৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।