১০ বছর পর চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ, পথে পথে বাধার অভিযোগ

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যা, মামলা দায়েরের প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির মহাসমাবেশ। দীর্ঘ ১০ বছর পর আয়োজিত এই সমাবেশকে ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেলেও, কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে আসছে। কিন্তু পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি।'
খাগড়াছড়ির পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ইদ্রিস আলী বলেন, 'সকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পরিবহনে করে রওনা দিলেও মাটিরাঙা, মানিকছড়ি ও মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে।'
এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল আমিন টিবিএসিকে বলেন, 'আজ সকালে মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হামলায় অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সকাল ৯টার দিকে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ও বারাইয়ার হাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে।'
চট্টগ্রামে সর্বশেষ নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর আজ (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাসমাবেশ। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতির মাধ্যমে ব্যাপক শোডাউন করতে চায় বিএনপি।
এদিকে মহাসমাবেশ বিকেলে হলেও সকাল থেকেই প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল অভিমুখে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যেই পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়াও লালখান বাজান, সিআরবি, টাইগারপাস এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। ওয়াসা থেকে আগ্রাবাদ ও দেওয়ানহাট থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।