Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
May 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, MAY 13, 2025
বাঁশের কঞ্চি ও লাউলের খোলে ম্রো ‘প্লুং’

বাংলাদেশ

উসিথোয়াই মারমা, বান্দরবান
24 September, 2022, 07:30 pm
Last modified: 24 September, 2022, 07:50 pm

Related News

  • বান্দরবানে খিয়াং নারী হত্যা: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ
  • চিম্বুক পাহাড়ে ভালুকের আক্রমণে নারী আহত
  • বান্দরবানে আদালতের রায়ে ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ বন্ধ, বন্যপ্রাণী সাফারি পার্কে স্থানান্তর
  • পাহাড়ে শুরু বর্ষবরণ উৎসব
  • বান্দরবানে রাবারবাগান থেকে ২০ শ্রমিককে অপহরণ

বাঁশের কঞ্চি ও লাউলের খোলে ম্রো ‘প্লুং’

উসিথোয়াই মারমা, বান্দরবান
24 September, 2022, 07:30 pm
Last modified: 24 September, 2022, 07:50 pm

বান্দরবানে ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই একপ্রকার বিশেষ বাঁশির সুর ও ছন্দের তালে নৃত্য পরিবেশন করে থাকে দলবেঁধে। বিশেষ কোন উৎসব হলে আর কথাই নেই। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ক্লান্তিহীনভাবে একটানা এই নাচ-গান। 

পশু বলির মতো বিশেষ কোন অনুষ্ঠান হলে রাতভর চলা এই নৃত্যকে তাল দিয়ে থাকে যে বাঁশির সুর, ম্রো জনগোষ্ঠীর ভাষায় সে বাঁশির নাম হল 'প্লুং'। একটি লাউয়ের খোল আর কয়েকটি বাঁশের কঞ্চি মিলে তৈরি হয়ে থাকে ম্রোদের এই 'প্লুং'। একটি লাউয়ের খোলকে দু'পাশে ছিদ্র করে কোনোটায় চারটি আর কোনোটায় ছয়টি বাঁশির কঞ্চি দিয়ে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন উৎসব-পার্বনে এ 'প্লুং' বাঁশির সুরের তালে ও ছন্দে রাতভর আনন্দে মাতেন তারা। 

লেখক ও তরুণ গবেষক ইয়াঙান ম্রো দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, প্লুং নিয়ে ম্রো সম্প্রদায়ের মধ্যে দুটি প্রচলিত কাহিনি রয়েছে। একসময় মহামারি হিসাবে পরিচিত পাওয়া কলেরা রোগ নিয়ে এ দুটি কাহিনি।

কোনো এক সময় পাহাড়ে উপর একটি ম্রো গ্রাম ছিল। একদিন হঠাৎ করে এ গামে সবাই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তার মধ্যে অনেক জন মারা যায়। অনেকেই মূমুর্ষ অবস্থায় ছিল। সে সময় কবিরাজির সেবা-শুশ্রুষা ও দেবতাদের পূজা দিয়েও প্রতিকারের উপায় না পেয়ে সকলেই অসহায় হয়ে পড়ে।

''তার মধ্যে গ্রামের সবচেয়ে এক প্রবীণ ব্যক্তি একদিন স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে এক সন্যাসী তাকে বলে একটি লাউয়ের খোল সংগ্রহ করে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মৌচাকের মোম দিয়ে একটি বাঁশি তৈরি করতে। সে বাঁশি বাজিয়ে গোটা গ্রামে সাতবার প্রদক্ষিণ করলে সবাই সুস্থ হয়ে যাবে। পাড়াবাসীকে সে স্বপ্নের কথা বলা হলে অবিশ্বাস করে সবাই তাকে হাসাহাসি ও তাচ্ছিল্য করত।''

''কিন্তু পাড়ার সে প্রবীণ ব্যক্তি দমে না গিয়ে স্বপ্নে পাওয়া সন্ন্যাসীর কথামত লাউয়ের খোল ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে একটি বাঁশি তৈরি করলেন। আর সে বাঁশি বাজিয়ে গ্রামের চারদিকে সাতবার প্রদক্ষিণ করার পর কলেরা আক্রান্ত সবাই সুস্থ হয়ে যায়। এরপর থেকে এ বাঁশির নাম 'রিনা প্লুং হয়ে যায়। 'রিনা' মানে কলেরা আর 'প্লুং' হল বাঁশি।'

অন্যদিকে প্লুং নিয়ে আরেকটি কাহিনি পাওয়া যায় ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ হওয়া বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও লেখক সিংইয়ং ম্রোর লেখা 'ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি' বইতে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, অনেক দিন আগে হঠাৎ ম্রো অধ্যুষিত এলাকায় মহামারি কলেরা রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে বহু লোক মারা যায়। এসময় এক ম্রো যুবক কলেরা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার পর তাকে শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার সময় অলৌকিকভাবে সে পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠে এমন ছিল সে কাহিনি। 

জীবন ফিরে পাওয়ায় তাকে আর দাহ করা হল না। আর বাড়ি ফিরে ম্রো যুবকটি জাহাজের পাওয়া বাঁশির মত হুবহু বাঁশি তৈরি করলেন। এরপর থেকে ম্রোদের এই বাঁশির নাম রিনা প্লুং বা কলেরা বাঁশি নামে পরিচিতি পায়। তবে রিনা প্লুং শুধুমাত্র গানের আসর এবং যুবক-যুবতীদের আনন্দ-উল্লাস করার মূর্হতে বাজানো হয় বলে 'ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি' বইয়ে উল্লেখ করেন লেখক সিংইয়ং ম্রো।

ম্রো বাঁশি সম্পর্কিত এ দুটি কাহিনি ঠিক কত সময়ের আগে কথা জিজ্ঞেস করা হলে লেখক ইয়াঙান ম্রো বলেন, এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট সময়কাল পাওয়া যায়নি। তবে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠদের মাধ্যমে জানলাম অন্তত পাঁচ-ছয়শ বছর আগের কোন এক সময়কার কাহিনি হবে। এ দুটি কাহিনি এখনও বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত ম্রোদের মুখে মুখে ঘোরে। 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এই ম্রো বাঁশি তৈরি করে আসছেন চিম্বুক পাহাড়ে রামরিপাড়ার কারবারি (গ্রামপ্রধান) ৭৫ বছর বয়সী চিংতুই ম্রো। তার মতে, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কেউ এই বাঁশি তৈরি করতে জানে না। তবে দুর্গম এলাকার ম্রো বাসিন্দারদের অনেকেই এখনও ম্রো বাঁশি তৈরি করে থাকে। কিন্তু হাতের দক্ষতা না থাকলে ভালভাবে সুর ফুটে উঠবে না।

এই বাঁশি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে কারিগর চিংতুই ম্রো বলেন, ছোট বাঁশি তিন থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত তৈরি করা হয়। মাঝারি সাইজের বাঁশি তৈরি করা হয় বার, চব্বিশ, ছাব্বিশ ও বিলাল্লিশ ইঞ্চি পর্যন্ত। এছাড়া সবচেয়ে বড় বাঁশি তৈরি করা হয় ১৮ ফুট পর্যন্ত। বড় সাইজের বাঁশির সুর অনেক দূর থেকেও শুনা যায়। সবগুলো একসাথে বাজালে মনে হবে পাহাড় কেঁপে উঠে।'

''শুকনো লাউয়ের খোলকে দুই পাশে ছিদ্র করে পাঁচটি অথবা ছয়টি ছোট বাঁশের কঞ্চি ঢুকিয়ে মৌচাকের মোম দিয়ে আটকনো হয়। লাউয়ের খোলে প্রধানমুখে আটকানো বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মুখে বাতাস দিলে ভেতরে কম্পন তৈরি হয়ে শব্দ সৃষ্টি হয়। আর প্রত্যেক বাঁশের কঞ্চিতে একটি করে ফোটা থাকে। এসব ফোটায় হাতের আঙ্গুল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তৈরি হয় বিভিন্ন সুর ও ছন্দ।''

লাউয়ের খোল ও বাঁশের কঞ্চি প্রক্রিয়া করতে সময় লাগে। এগুলো একসঙ্গে পেলে ছোট সাইজের বাঁশি একদিনে কয়েকটি বানানো যায় জানিয়ে কারিগর চিংতুই ম্রো আরও বলেন, প্রত্যেক বাঁশির একেকটি নাম রয়েছে। প্লুং কাকমা, প্লুং ক্লাং, তিংতেং প্লুং, ত্র, রিনা প্লুং ও পুরুই ইত্যাদি। নৃত্যের বাঁশি, কলেরা বাঁশি (রিনা প্লুং), গো হত্যা বাঁশি এবং উৎসব-পার্বন উপলক্ষে বাজানোর জন্য আলাদা করে বাঁশি রয়েছে। প্রত্যেক দলের একসেটে চব্বিশটি বাঁশি থাকবে। সর্বনিম্ন চৌদ্দটি বাঁশি লাগে। এর চাইতে কম হলে সুর পরিপূর্ণ হয় না।

রামরি পাড়ার বাসিন্দা ও ম্রো গানের শিল্পী প্রেনপ্রে ম্রো দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিভিন্ন উৎসব পার্বন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্লুং বাজানো হলেও ম্রোদের বলিদান অনুষ্ঠান ও নববর্ষে চাংক্রান উৎসবে এ বাঁশির সুর জমে উঠে। বলিদানের অনুষ্ঠানে এই বাঁশির সুরে রাতভর নাচ চলে। তখন পালাক্রমে বিভিন্ন দল বাঁশির সুরে ছন্দ মিলিয়ে নাচে। একেকটি দলে থাকে অন্তত সাত থেকে পনের জনের সদস্য।

নৃত্য দলের শিশু ও মেয়েদের গলায় থাকে রুপার মালা আর পায়ে থাকে নুপুর। গভীর রাতে রুপার মালা ও নুপুরের শব্দ আর সেই বিশেষ বাঁশির সুর একাকার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। এসব সুর শুনলে তখন মনের মধ্যে অন্যরকম ভাললাগার অনুভূতি কাজ করে, যোগ করেন প্রেনপ্রে ম্রো।

বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক মংনুচিং মারমা জানান, ২০২১ সালে চিম্বুক পাহাড়ের রামরি পাড়া এলাকায় ২৫ জনকে ম্রো প্লুং বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতে আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থী পেলে আবারও এ বাঁশি তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

Related Topics

টপ নিউজ

প্লুং / ম্রো / ম্রো জনগোষ্ঠী / বান্দরবান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত: ভারত চেয়েছিল শক্তি দেখাতে, কিন্তু প্রকাশ পেল দুর্বলতা
  • লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল
  • লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে
  • হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড
  • পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না, পুনর্গঠিত হচ্ছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Related News

  • বান্দরবানে খিয়াং নারী হত্যা: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ
  • চিম্বুক পাহাড়ে ভালুকের আক্রমণে নারী আহত
  • বান্দরবানে আদালতের রায়ে ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ বন্ধ, বন্যপ্রাণী সাফারি পার্কে স্থানান্তর
  • পাহাড়ে শুরু বর্ষবরণ উৎসব
  • বান্দরবানে রাবারবাগান থেকে ২০ শ্রমিককে অপহরণ

Most Read

1
মতামত

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত: ভারত চেয়েছিল শক্তি দেখাতে, কিন্তু প্রকাশ পেল দুর্বলতা

2
বাংলাদেশ

লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল

3
বাংলাদেশ

লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

4
বাংলাদেশ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে

5
অর্থনীতি

হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড

6
বাংলাদেশ

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না, পুনর্গঠিত হচ্ছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net