Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 05, 2025
সরকার যে প্রকৃত ব্যবসা চালাতে পারে না তার প্রমাণ

বাংলাদেশ

রফিকুল ইসলাম
27 August, 2022, 12:10 am
Last modified: 27 August, 2022, 11:35 am

Related News

  • বাজেট ২০২৫–২৬: ব্যবসায়ী মহলে স্পষ্ট অসন্তোষ
  • লোকসানের কারণে ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারছে না আইএফআইসি ব্যাংক
  • আমদানি কম, আস্থা নেই, প্রবৃদ্ধি শ্লথ: বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে?
  • কর ও জরিমানা কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় উদ্যোগে স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ীরা
  • এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগদ সহায়তা ও ভর্তুকির বিকল্প সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

সরকার যে প্রকৃত ব্যবসা চালাতে পারে না তার প্রমাণ

একচেটিয়া ব্যবসায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা করতে পারলেও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়লেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
রফিকুল ইসলাম
27 August, 2022, 12:10 am
Last modified: 27 August, 2022, 11:35 am

কোনো ব্যবসা পরিচালনা এবং সেটিকে লাভজনক করার জন্য কি সরকারের ওপর নির্ভর করা যায়? তথ্য-প্রমাণ বলছে, দেশের শিল্প ও বাণিজ্য খাতের যেখানে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আধিপত্য বেশি, সেখানেই পিছিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।

একই ধরনের ব্যবসায় বেসরকারি খাত ভালো মুনাফা করলেও বছরের পর বছর লোকসান গুনছে সরকারি প্রতিষ্ঠান।

মূলত অদক্ষতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সিদ্ধান্তে দীর্ঘসূত্রতা, দুর্নীতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে লোকসানে ডুবছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই দাবি মুক্তবাজার অর্থনীতির সমর্থকদের প্রচারিত মিথ নয়। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-ই বলছে, যেসব খাতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই কেবল সেখানেই ভালো করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

অ-আর্থিক খাতের ৪৯টি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা করেছে ২ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪২৮ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ছিল ১৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা।

মুনাফার এই হতাশাজনক অবস্থার অন্যতম কারণ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আয় কমে যাওয়া। সরকারি কোষাগারে বড় একটা অঙ্ক যায় সংস্থাটি থেকে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বিপিসির মুনাফা ছিল ৯ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে সংস্থাটি ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ১ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা মুনাফা করে।

বিপিসিও বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা করে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি এখনও মুনাফা করতে পারলেও ভালো করতে পারছে না অন্যরা।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুযায়ী, বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে সরকারের বিভিন্ন বিনিয়োগ থাকলেও মুনাফা করতে পাছে খুব কম।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাসিফিকেশনের তথ্যানুযায়ী, ইউটিলিটি, পরিবহন ও যোগাযোগ, বাণিজ্য, কৃষি ও মৎস্য, নির্মাণ ও সেবাসহ অন্যান্য সেক্টরে অ-আর্থিক খাতের ৪৯টি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে সরকারের বিনিয়োগ রয়েছে।

এসবের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি আমদানি ও বিতরণ, শিপিং, টেলিকমিউনিকেশন, সাবমেরিন ক্যাবল ও ইউটিলিটি খাতে কোনো প্রতিযোগী না থাকায় একচেটিয়া ব্যবসা করে ভালো মুনাফা করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা।

নিজ ক্ষেত্রে বিটিআরসি একাই ব্যবসা করছে।

বেসরকারি খাতের কাছে সরকারি উদ্যোগগুলোর মুখ থুবড়ে পড়ার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ সম্ভবত টেক্সটাইল শিল্প।

টেক্সটাইল শিল্পে বেসরকারি খাতের উত্থানের আগে সরকারি মিলগুলো ভালো ব্যবসা করছিল।

কিন্তু ১৯৮০-র দশক থেকে টেক্সটাইল শিল্প বিশেষ করে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পে বেসরকারি খাত তরতর করে এগিয়ে গেলেও পেছনে হেঁটেছে সরকারি টেক্সটাইল মিলগুলো।

টেক্সটাইল মিলের পরিচালক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) অধীনে একসময় ৮৬টি মিল থাকলেও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পর রয়েছে ২৫টি।

বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা আরএমজির রপ্তানি আয় থেকে ভালো মুনাফা করলেও বিটিএমসি ১৭ কোটি টাকা লোকসান গুনছে।

টেক্সটাইল খাতে বেসরকারি খাত ভালো করলেও সরকারি খাত পারছে না কেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিএমসির চিফ অপারেটিং অফিসার মো. নুরুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিষয়টি ব্যাখ্যা করা সহজ নয়।

'বিষয়টি খুব জটিল। টেক্সটাইল সেক্টরে বেসরকারি খাত ভালো করছে ব্যবস্থাপনার কারণে। কিন্তু সরকারি মিলগুলোতে ম্যানেজমেন্ট ও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে, যার কারণে ভালো করা যাচ্ছে না,' বলেন তিনি।

তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতার অভাবের দিকে ইঙ্গিত করেন তারা।

একই খাতে সরকারচালিত উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ছে কিন্তু বেসরকারি উদ্যোগ দারুণ মুনাফা করছে—এরকম উদাহরণ কি আরও আছে?

হ্যাঁ, আছে। 

ঢাকা মহানগর ও ঢাকার বাইরে বাস সেবা প্রদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) উদাহরণ দেওয়া যাক।

বেসরকারি উদ্যোক্তারা এই খাতের ব্যবসায় ভালো মুনাফা করলেও লোকসানে বিআরটিসি। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ১০০ কোটি টাকা। 

মজার বিষয় হলো, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের আটটি সরকারি সংস্থার মধ্যে শুধু বিআরটিসিই লোকসান দিচ্ছে।

সরকারের অদক্ষতার বহুল উদ্ধৃত একটি উদাহরণ হলো—সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। এই প্রক্রিয়ায় অফ-সিজনে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল কেনা হয়, ফলে খরচ বেশি হয়।

সরকারের কোষাগার থেকে বিপুল নগদ সহায়তা ও বৈদেশিক ঋণ নিয়েও সরকারি প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক ক্রয় সিদ্ধান্ত নিতে না পারার একটি মর্মান্তিক উদাহরণ দেওয়া যায় বিআরটিসির মাধ্যমে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটি ভারতের ক্রেডিট লাইনের ১৭২ মিলিয়ন ডলার কম্পোনেন্টের আওতায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র দুই বছরে ১ হাজার ২০০টি নতুন ডাবল ও সিঙ্গেল ডেকার বাস কিনেছে। এমন বিশাল নতুন বাসের বহর দেশের যেকোনো বেসরকারি বাস কোম্পানির চেহারাই পাল্টে দিতে পারে। কিন্তু এই বাসগুলোও বিআরটিসিকে লাভের মুখ দেখাতে পারেনি।

বিআরটিসির ২৪টি ডিপো, চারটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সুপরিসর ওয়ার্কশপ এবং ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরে একরের পর একর জমি আছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার, যার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির বাস ও ট্রাকের যাত্রী ও ব্যবহারকারীদের সেবা দেয়। কিন্তু বিআরটিসি সেবামুখী বা বাণিজ্যিক, কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানই হতে পারেনি; ব্যবসা বা সেবা খাতে বেসরকারি খাতের অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারা তো দূরের কথা।

বর্তমানে ঢাকায় এবং কয়েকটি আন্তঃজেলা রুটে বিআরটিসির ১ হাজার ৫৯৪টি বাস চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর এই বছর প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিআরটিসি প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ৬.৩১ টাকা এবং বাসপ্রতি ৪.৮১ লাখ টাকা লোকসান গুনেছে।

বিআরটিসি ছাড়া সমুদ্র পরিবহন কর্পোরেশন, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সেতু কর্তৃপক্ষ মোট ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়েও গত ১২ বছরে ১৩ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বলে জানা গেছে সংস্থাটির কাগজপত্র থেকে।

রাষ্ট্র-চালিত পরিবহন সংস্থাটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৬৩ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের পর এক বছরে দেওয়া সর্বোচ্চ লোকসান।

সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান বিমানও লোকসান গুনছে। এক নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ঋণাত্মক আয় ৯৫০.৯৩ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৫৮.৪০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যদিও আগের অর্থবছরে লোকসান ছিল ৮১.১৩ কোটি টাকা।

সমীক্ষার হিসাব অনুযায়ী, সাতটি অ-আর্থিক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে শিল্প খাত।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্দশা

শিল্প খাতে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—বিটিএমসি, ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন।

রুগ্‌ণ পাট খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় সরকার একটি বি-জাতীয়করণ নীতি নিয়েছে। দুটি পাটকলকে ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আরও সাতটি পাটকল বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে সবচেয়ে বেশি ৯৭১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, যার আওতায় রয়েছে ১৫টি চিনিকল। 

২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছর চিনি উৎপাদনকারী ইউনিটগুলো গড়ে ৮০০ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে। এর জেরে সরকার ২০১৯ সালে একটি আধুনিকায়ন উদ্যোগ নেয়।

এ বিষয়ে এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সবগুলো শিল্প ইউনিটই লোকসানে রয়েছে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়্যারমান আরিফুর রহমান অপু টিবিএসকে বলেন, 'বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা কম মূল্যে কাঁচামাল আমদানি করার পর পরিশোধিত করে চিনি উৎপাদন করে আর সরকারি মিল আখ থেকে চিনি উৎপাদন করে।'

আখ থেকে চিনি উৎপাদন ব্যয়বহুল হওয়ায় সরকারি চিনিকল মুনাফা করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে চিনিকলগুলোকে মুনাফায় ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আরিফুর রহমান।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের লোকসান হয়েছে ৬৭৫ কোটি টাকা।

নির্মাণ খাতে টাকার বৃষ্টি

নির্মাণ খাতে সরকারি সংস্থা হচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই খাতের সবাই ভালো মুনাফা করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা।

এ খাতে সবচেয়ে বেশি ২১০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রাজউক।

সেবা ও অন্যান্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা

সেবা ও অন্যান্য খাতে সরকারের ১৮টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টি মুনাফা করেছে। অবশিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের লোকসান বাদ দিয়ে এই খাত থেকে মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৫৯ শতাংশ কম।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, ট্যুরিজম বোর্ডসহ সেবা খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মুনাফা করেছে।

তবে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, পর্যটন কর্পোরেশন, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট লোকসানে রয়েছে।

চোখের সামনেই আছে বেসরকারিকরণ ও মুনাফা মডেল 

ঢাকা চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান টিবিএসকে বলেন, 'একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো চলে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে ধরনের জবাবদিহি আছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় সেরকম জবাবদিহি না-ও থাকতে পারে।

'সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর লাভ করতে পারছে না, তাই এখন সমস্যা নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। আমরা সবসময়ই বেসরকারিকরণের আহ্বান জানিয়ে আসছি।'

তিনি কর্ণফুলী ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করে সরকারি-বেসরকারি পদ্ধতির মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগের পরামর্শও দেন। কাফকোতে জাপানি ও ইউরোপীয় বিনিয়োগকারী রয়েছে।

রিজওয়ান বলেন, 'বর্তমানে বাজারে সারের সংকট থাকা সত্ত্বেও কাফকো লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমরা জবাবদিহির অভাব দেখি। সেক্ষেত্রে তারা বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করতে পারে।'

Related Topics

টপ নিউজ

সরকারি ব্যবসা / ব্যবসা / রাষ্ট্রীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান / রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি / লোকসান / একচেটিয়া ব্যবসা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'
  • আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান
  • টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে
  • কোম্পানির তহবিলের ওপর করের চাপ কমাল সরকার
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

Related News

  • বাজেট ২০২৫–২৬: ব্যবসায়ী মহলে স্পষ্ট অসন্তোষ
  • লোকসানের কারণে ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারছে না আইএফআইসি ব্যাংক
  • আমদানি কম, আস্থা নেই, প্রবৃদ্ধি শ্লথ: বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে?
  • কর ও জরিমানা কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় উদ্যোগে স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ীরা
  • এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগদ সহায়তা ও ভর্তুকির বিকল্প সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

Most Read

1
বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি

2
বাংলাদেশ

ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'

3
আন্তর্জাতিক

আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান

4
অর্থনীতি

টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে

5
অর্থনীতি

কোম্পানির তহবিলের ওপর করের চাপ কমাল সরকার

6
অফবিট

দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net